প্রফেসর স্টেনলির গবেষণা বলছে, কোনো বিষয় অল্প বয়সেই পরিষ্কার করে বুঝতে পারা আত্মস্থ করার এবং সমাধান দেওয়ার ক্ষমতা এই বিষয়গুলো যে শিশুর মাঝে যত বেশি থাকে তার পরবর্তী জীবনে সফল হওয়ার সম্বভনা তত বেশি থাকে।
অর্থাৎ যদি আপনার শিশুকে কোনো প্রকার চাপের মুখে না ফেলে তার বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করেন তাহলে আপনার শিশুকে জিনিয়াস হিসাবে গড়ে তুলতে বেশি সময় লাগবে না। যাই হোক চলুন আজ আমরা আমাদের বাচ্চাকে জিনিয়াস করে গড়ে তুলতে কি কি বিষয়ের উপরে নজর দিবেন সে সম্পর্কে আলোচলা করি —
নুতুন কিছু শিখতে উৎসাহ দিন
আপনার শিশু প্রতিনিয়ত শিখতে চায় তাই আপনার উচিত আপনার বাচ্চকে নুতুন নুতুন সবকিছুর সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া। এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার বাচ্চাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরে আস্তে পারেন। এই ক্ষেত্রে নুতুন নুতুন তথ্য আপনার বাচ্চা জানতে পারবে। এছাড়া আপনি আপনার বাড়িতে বসে TV তে আপনার বাচ্চাকে বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্টুন বা সাথে বসে দেশ এবং বিশ্বের খবর দেখেন তাহলে শিশুর নিজেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।
তাদের প্রতিভা এবং আগ্রহকে উৎসাহিত করা
ধরুন আপনার বেবি একটা কার্টুন আকল আপনি যদি সেই কার্টুন দেখে বাচ্চাকে কোনো উৎসাহ প্রদান না করেন তাহলে পরবর্তীতে সে আর কার্টুন আঁকতে চাইবে না। অর্থাৎ বাচ্চার আগ্রহ নষ্ট হয়ে জানে। কিন্তু আপনি যদি আপনার বাচ্চার কার্টুন দেখে তাকে উৎসাহ প্রদান করেন তাহলে সে আরো অনেক কিছু করার চেষ্টা করবে এবং প্রতিটি কাজ আপনাকে সে দেখাবে।
বাচ্চার বুদ্ধিবৃত্তিক এবং আবেগের চাহিদাকে সাহায্য করতে হবে
আপনার বাচ্চা কি চায় সেই বিষয়কে আপনার গুরুত্ব দিতে হবে। মনে রাখবেন শিশুরা অনেক প্রশ্ন করে। জানতে চায় আপনাকে তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে হবে। এতে করে আপনার বাচ্চার বুদ্ধিবৃত্তি বৃদ্ধি পাবে।
জানা বা শেখার চেষ্টার প্রশংসা করুন
আপনার শিশু যদি কিছু জানতে চায় তাহলে তাকে বুঝিয়ে বলুন যেন, সে সব কিছু বুঝতে পারে। সে যদি কোনো প্রশ্ন করে তাহলে তাকে উত্তরটা দিয়ে তাকে পরবর্তী প্রশ্ন করার জন্যে উৎসাহ প্রদান করুন। যেমন ধরুন আপনি টিভি দেখছেন এমন সময় শিশু যদি আপনাকে প্রশ্ন করে বাবা TV কি? আপনি তাকে সেই প্রশ্নের উত্তরে বললেন TV মানে হলো Television এখন আপনি যদি তাকে বলেন তুমি কি যেন LED TV কি? তাহলে আপনার আর প্রশ্নের মধ্যেই কিন্তু শিশু একটা নুতুন কিছু জানতে পারলো।
ব্যর্থতা ভীতিকর কিছু নয়
আপনার শিশু যদি কোনো কিছু করতে ব্যার্থ হয় তাহলে তাকে কখনোই বলবেন না তুমি এটা পারবে না বা তোমায় দ্বারা এটা সম্বভ না। কেননা শিশু কখনোই তুমি পারবে না শোনার পরে সেই কাজে আগ্রহ দেখাবে। তাতে শিশুর বিকাশের বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আর এই জন্যে শিশুকে সবসময় তার কাজের উৎসাহ প্রদান করুন। শিশুকে কখনো ভয় দেখবেন না যে তুমি এটা পারবে না। বা তোমাকে দিয়ে সম্বভ না। শিশু কে কোনো কাজ না পারলে তার পাশে বসে তাকে সেই কাজে সাহায্য করুন। এবং তাকে সাহস দিন। আজ হয় নি তো কি হয়েছে কাল ঠিক হবে। তোমায় আবার চেষ্টা করতে হবে।
উপসংহারঃ
পরিশেষে বলতে চাই আপনার শিশুর মানুষিক বিকাশ ঘটাতে বা বাচ্চাকে জিনিয়াস হিসাবে গড়ে তুলতে আপনাকে তার পাশে বন্ধুর মতো থাকতে হবে। তার ভালোলাগা খারাপ লাগা বিষয়গুলো আপনার ও বিবেচনায় রাখতে হবে। তাকে সবসময় উৎসাহ দিয়ে কাজের আগ্রহ আরো বাড়াতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তী পোস্ট পেতে কমেন্টস এর মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।