হ্যালো বন্ধুরা! সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদেরকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানাতে যাচ্ছি। সো চলুন আজকের আর্টিকেলটি শুরু করি।
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও এর গুরুত্ব
জীবনকে আয়ত্ত করতে হলে আমাদের প্রথমে জীবনকে জানতে হবে। অর্থাৎ, জীবন কী?, জীবনে আমার লক্ষ কী?, জীবনে আমি করতে এসেছি? এসব বিষয় সম্বন্ধে আমাদের পূর্ণ ধারণা থাকতে হবে। আমরা জানি যে, আমাদের জন্মের পর আমরা প্রত্যেকে পরনির্ভরশীল। মা-বাবা আমাদের আদর, স্নেহ দিয়ে বড় করে তোলে। এরপর আমরা যখন বড় হতে শুরু করি, ঠিক তখন থেকে আমাদের মাঝে জীবনের লক্ষ ধীরে ধীরে তৈরী হতে থাকে।
এই লক্ষই আমাদের ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আবার আমি এটা বলবো না যে, আমাদের সবকিছু জীবনের হাতে তুলে দেওয়া উচিত। আমাদের এটা মনে রাখতে হবে যে, জীবনে কিছু করে দেখাতে হলে, অনেকটা নিজের প্রতি নির্ভরশীল হতে হবে, কঠোর পরিশ্রম করত হবে, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে, নিজেকে তৈরী করতে করতে হবে আগামী প্রজন্মের জন্য। আবার, একই সাথে আমাদের মনোযোগী হতে হবে।
অলস-কুঁড়ে, মুর্খ, অপরিশ্রমী, পরনির্ভরশীল, লক্ষহীন জাতি দেশের বোঝা স্বরূপ। সভ্যতার উন্নয়নে জাতির ভূমিকা অপরসীম। জীবনকে জানতে হলে জীবনকে উপলব্ধি করতে হবে। সব সময় এই জীবন আমাদের নতুন কিছু শিক্ষা দিচ্ছে। জীবনই মানবজীবনে সবচেয়ে বড় শিক্ষক। তাই জীবন সেই শিক্ষক যে তার প্রকোপে আমাদের কী করতে হবে, কী শিখতে হবে, কী সিদ্ধান্ত নিতে হবে এসকল শিক্ষা জীবন খুব সহজেই আপনাকে সঠিক সময়ে সঠিক সময়ে শিখিয়ে দেবে। এমন অনেক লোক আছে যারা প্রতিনিয়ত অর্থের পেছনে ছুটছে।
এসকলের মাঝে তারা কখনোই জীবনের সাধ উপলব্ধি করতে পরবে না। কারণ যত অর্থ তত লোভ আর এই লোভ তাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এসব অর্থ দিয়ে তোমাকে সবাই পার্থিব জীবনে সম্মান করবে, মূল্য দেবে। আর যখন এ অর্থ শেষ হয়ে যাবে তখন তোমাকে কেউ গ্রার্য্য করবে না বরং সবাই ভুলে যাবে। আর অন্যদিকে তুমি যদি কোনো সৎ উদ্দেশ্যে জাতির কল্যাণে তোমাকে উৎসর্গ করো তখন এ জীবন তোমাকে চিরজীবি করবে।
তুমি চলে গেলেও এই জীবনের বৈচিত্র্য তোমাকে অমর করে তুলবে। তুমি বিশ্বে এক মর্যাদাবান ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। জীবনে এর থেকে তৃপ্তি তুমি কোথাও উপলব্ধি করতে পারবে না। তাই জীবনে কিছু করে দেখাতে হবে। অর্থের পেছনে না ছুটে যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তাহলে লোভ নামে এই অপায়া রাক্ষস ধ্বংস হবে। জীবন হবে চিরশান্তির। কিন্তু আমরা জাত হিসেবে সৌখিন নই।
কারণ, আমরা নিজেরটা ছেড়ে অন্যের ব্যাপারে নাক গলাতে বেশী পছন্দ করি। এখান থেকে তৈরী হয় দ্বন্দ। এর ফলে ব্যক্তি নিজেকেও বিপদে ফেলে, অন্যকেও বিপদে ফেলতে আসক্ত করে। আাবার এর ফলে হিংসার জন্ম হয়। এই হিংসা জীবনকে নরকের সমান করে তোলে। জীবন সুখ তো থাকেই না, বরং এসকল ব্যক্তি সভ্যতার অগ্রযাত্রায় বাধার সৃষ্টি করে থাকে। অসৎ কর্ম, হিংসা, লোভে জীবন হয় বিষাক্ত আর পরিশ্রম, আস্থা ও সৎ কর্ম মানুষকে দেয় সর্গশান্তি।