সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন জীবনের অংশ হয়ে গেছে । একে এড়িয়ে জীবন যাপন করা এখন প্রায় অসম্ভব । পৃথিবীতে একণ ২০০ কোটি ৯৩ লাখ মানুষ শুধু ফেসবুক ব্যবহার করেন । আর বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহার করেন ৪ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ । টুইটার , ইনেষ্টাগ্রাম —এসবেও আছেন লাখো মানুষ ।
এ রকম বাস্তবতায় আজকাল লেখকদের হয়তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকতেই হয়।ুলেখক হিটেন ভিয়াস বলেছেন লেখকদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে সামাজিক মাধ্যমগুলো। কারন এর মাধ্যমে লেখকদের আরও বেশি সামাজিক মাধ্যমনির্ভর হওয়া উচিত॥
কেন লেখকেরা ব্যবহার করবেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ?
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হচ্ছে এর মাধ্যমে পাঠকের সামনে নিজেকে পরিচিত করানো যায়া । একটা সময় ছিল যখন নিজের লেখক পরিচয় তৈরি করার জন্য পত্রিকা বা সাময়িকীগুলোর দ্বরস্থ হতে হতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো সেই বাস্তবতার রাশ টেনে ধরেছে । এখন লেখকেরা নিজেই নিজের লেখা ফেসবুকে পোষ্ট করতে পারেন । মূহুর্তে হাজারো মানুষের কাছে পেীছে যায়। আর এভাবেই একসময় লেখক পরিচয় তৈরি হয়ে যায় ।
আগে বই প্রকাশের জন্য প্রকাশক খুজতে হতো । এখন ফেসবুকেই তাদের পাওয়া যায় । এটাতো লেখকদের জন্য বড় ধরনের উপকার । আবার পাঠকদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্যও একসময় অপেক্ষা করতে হতো লেখক দের । এখন লেখা প্রকাশের সাথে সাথে পাঠকদের মন্তব্য জানা যায় । লেখকের পোষ্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে পাঠক সরাসরি বলে দেন তার ভালো বা মন্দ লাগার কথা।
আপনি যদি নন- ফিকশন লেখক হয়ে থাকেন এবং তথ্যভিত্তিক লেখা লিখে থাকেন . এবং তথ্যভিত্তিক লেখা লিখে থাকেন , তাহলে ফেসবুক আপনার জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম হতে পারে । কারন ফেসবুক ব্যবহার কারিরা তথ্যভিত্তিক লেখা বেশি পছন্দ করে থাকেন । রটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক মর নাম্যান ও জেফরি বোয়াস গবেষনায় দেখিয়েছেন, ফেসবুকের সাধারন পোষ্টের চেয়ে তথ্যভিত্তিক পোষ্টের ফলোয়ার তিন গুণ বেশি ।
বাজার গবেষণাকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান চ্যাডউইক মার্টিন বেইলি (সি এসবি ) বলেছে , বিনোদনরমূলক পোষ্ট পড়েন ৭২ % মানুষ পরামর্শ ও সমাধানমূলক পোষ্ট পড়েন ৫৮% মানুষ এবং রম্য পোষ্ট পড়েন ৫৮% মানুষ । সুতারং আপনি বিনোদনধর্মী লেখক কিংবা রম্য লেখক_যে ধরনের লেখকই হোন না কেন, আপনার জন্য বিরাটসংখ্যক পাঠক অপেক্ষা করছেন ফেসবুকে ।
বইয়ের প্রচার, প্রচারনার ও বিপণনের জন্যও সামাজিক মধ্যিম এখন অপ্রতিদ্বন্দী হয়ে উঠেছে । লেখক নিজেই এসব প্ল্যাটফর্মে নিজের বইযের প্রচার চালাতে পারেন ।
লেখকদের জন্য লেখক-পাঠক মিথস্ক্রিয়া একটু কঠিনই ছিল । বিভিন্ন জায়গায় সভা সেমিনার , পাঠচক্রের আয়োজন করে পাঠকদের সঙ্গে কথা বলতে হতো । এখন লেখক নিজে যখন-তখন ফেসবুক থেকে লাইভে আসতে পারেন, সরাসরি কথা বলতে পারেন । সকল দিকথেকে চিন্তা করলে বর্তামানে অনলাইন প্লাটফর্ম প্রতিটা লেখকের জন্যই গ্রুত্ব পূর্ন , তাই আপনি যদি একজন অফলাইন লেখক হয়ে থাকেন তবে আর দেরি না করে এখনি অনলাইনে একটা প্লাটফর্মে যোগদিন , এবং সফল করুন আপনার স্বপ্ন । প্রিয় ভাই ও বোন এতক্ষন এই গ্রুত্ব পূর্ন লিখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।