আসসালামু প্রিয় পাঠকগণ! আশা করি সবাই আল্লাহ’র অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন আরেকটি পোস্ট নিয়ে (ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়)। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আজকের পোস্টটি। চলুন শুরু করা যাক আজকের পোস্ট।
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়
বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। অনলাইন থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। অনলাইন থেকে আয় করার সেরা উপায় গুলো হলো ব্লগ , ইউটিউবিং ও ফ্রিল্যান্সিং। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ব্লগ করা। ব্লগিং করে আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং ও ইউটিউবিং করে আয় করতে পারবেন। আজকে আমরা জানবো ব্লগ কি, ব্লগিং কিভাবে করে, ব্লগিং করে আয় করার উপায়, ব্লগিং করার জন্য কি লাগবে, ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়। এগুলো জানতে হলে পুরো আর্টিকেল টি সম্পুর্ন পড়ে শেষ করবেন।
ব্লগ কি?
ব্লগ হলো একটি অনলাইন ডায়েরী। যেখানে আপনি বিভিন্ন বিষয়ে লিখালিখি করতে পারবেন। আপনার জানা অজানা জ্ঞানের কথা অনলাইনে লিখে মানুষকে জানাতে পারবেন এবং আয় ও করতে পারবেন। সহজ ভাবে বললে, অনলাইনে লেখালিখি করা কে ব্লগিং বলে। যারা ব্লগিং করে তাদেরকে ব্লগার বলা হয়। বর্তমানে ব্লগ একটি জনপ্রিয় উপায় অনলাইন থেকে ইনকাম করার। অনেকে ব্লগ কে নিজের জীবনের পেশা হিসেবে নিয়েছেন। কারন ব্লগিং করে মাসে হাজার থেকে লক্ষ টাকা আয় করা যায়। আপনি নিজের ওয়েবসাইট খুলে সেখানে আর্টিকেল বা ব্লগ লিখতে পারেন।
ব্লগ কিভাবে করে? কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো
ব্লগ কিভাবে করে বা শুরু করে এটা অনেকেই জানে না। ব্লগিং করা খুবই সহজ। ব্লগিং করার জন্য আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট লাগবে৷ আপনি যদি ব্লগিং করতে চান তাহলে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করতে হবে। ব্লগ ওয়েবসাইট দুই রকম হয়ে থাকে। একটি গুগল ব্লগার ও অন্যটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট। গুগল ব্লগার হলো গুগলের নিজস্ব একটি সাইট। যেটা গুগল থেকে ফ্রি দেওয়া থাকে।
অর্থাৎ ব্লগার হলো একটি ফ্রি সাইট। যেখানে আপনি ওয়েবসাইট তৈরী করতে হলে কোনো অর্থ ব্যয় করতে হবে না। এই সাইটটি গুগল থেকে কাস্টমাইজ করা ও এখানে গুগল থেকে একটি সাব ডোমেইন দেওয়া থাকে৷ অর্থাৎ আপনার ব্লগের জন্য কোনো ধরনের ডোমেইন অর্থ দিয়ে ক্রয় করতে হবে না। গুগল থেকেই ব্লগারস্পটে ডোমেইন দেওয়া থাকে। তবে ব্লগারে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে৷ ব্লগার ওয়েবসাইটি সম্পুর্ন গুগলের মালিকধীন। গুগলের কোনো নিয়ম ভঙ্গ করলে গুগল যেকোনো সময় আপনার ব্লগ সাইটি ডিলিট করতে পারে।
এছাড়াও আরো অনেক কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে আপনি প্রোফেশনাল ভাবে ব্লগিং করার জন্য একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট একটি জনপ্রিয় প্লার্টফর্ম। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট আপনি বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করে ওয়েবসাইট কে নিজের মতো করে সাজাতে পারবেন। তবে এই ওয়েবসাইট তৈরী ও ব্যবহার করতে হলে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে। কারন এটি গুগলের মতো ফ্রি সাইট না। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের জন্য আপনাকে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে হবে টাকা খরচ করে।
ডোমেইন হলো আপনার আপনার ওয়েবসাইটের নাম। একটি সুন্দর ডোমেইন আপনার ওয়েবসাইটকে ব্রান্ড হিসেবে পরিনত করে। অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা কোম্পানি রয়েছে যারা ডোমেইন ও হোস্টিং বিক্রয় করে৷ এসব ওয়েবসাইট থেকে আপনি ৮০০- ১৫০০ টাকার মধ্যে ডোমেইন কিনতে পারবেন খুব সহজেই। তবে প্রতি বছর আপনাকে এগুলোর জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হবে এসব ওয়েবসাইটকে।
ব্লগিং করার জন্য কি লাগবে?
ব্লগিং করতে হলে আপনার একটি ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইল থাকতে হবে। আপনি মোবাইল দিয়ে সহজেই ব্লগিং করতে পারবেন। আপনাকে ব্লগ লিখার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং রিসার্চ করতে হবে। যেকোনো একটি বিষয় বা Niche এর উপর আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যেকোনো বিষয় আপনি ব্লগিং করতে পারবেন।
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় তা জানতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে ব্লগিং করে কিভাবে আয় করা যায়। ব্লগিং করে আয় করার উপায় হলো গুগল এডস্যান্স। গুগলের একটি আয় করার সার্ভিস হলো গুগল অ্যাডসেন্স। আপনার ব্লগে গুগলের অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে এড বসিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার ব্লগে ভিউ বেশি হলে আয় ও বেশি হবে৷ অনেকেই ব্লগিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করছেন। তাহলে আজকে আমরা জানলাম ব্লগ কি ও ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়।
প্রিয় পাঠকগণ, আজ এই পর্যন্তই। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।