আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব যেকোন পরিস্থিতিতে রিলাক্স থাকার উপায় । আশা করি আপনাদের অনেক ভাল লাগবে।
রিলাক্স থাকার উপায়
দিন যত যাচ্ছে মানুষ তত বেশি কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ছে। আমাদের চাহিদা, আকাঙ্খার কোন সীমা পরিসীমা নেই। কেউবা পড়াশোনা নিয়ে, কেউবা ব্যবসা-বানিজ্য নিয়ে, কেউবা কর্মজীবন নিয়ে, কেউবা সংসার সন্ততি নিয়ে ভীষণরকম ব্যস্ত। ইট-পাথরের মধ্যে আবদ্ধ এই জীবনটা যেন একঘেয়ে চির ব্যস্ততায় ভরপুর। কিভাবে যেকোন উপায়ে আরো সামনে অগ্রসর হয়ে নিজের জীবনের টার্গেট ও স্বপ্ন গুলো আরো দ্রুত উপায়ে পরিপূর্ণ করা যায় দিনশেষে সেটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায়।
এই বেপরোয়া মানসিকতার জন্য আমাদের জীবনে অনেক সময় কাঙ্খিত সময়ে লক্ষ্য না পূরনের হতাশা, বা ব্যর্থতার সীমাহীন মানসিক চাপ আসে। এই স্ট্রেসময় কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা অনেক সময় রিলাক্স হতে পারি না। বুঝতে পারি না আমাদের আসলে কি করতে হবে। জীবনের স্রোতে খেই হারিয়ে চুড়ান্ত হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ি আমরা। প্রবল মানসিক চাপ সামলাতে না পেড়ে অনেকে হতাশায় ভেঙ্গে পড়ে, অনেকে বেছে নেয় আত্নহননের মত ভয়ংকর সিদ্ধান্ত।
মানসিক এই স্ট্রেস আমাদের জীবনের প্রতিদিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই স্ট্রেস প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে মধ্যবয়স্ক, তরুণ, এমনকি শিশুরাও অনুভব করে। আমাদের মনে তাই প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে যদি এ ধরনের মানসিক স্ট্রেস এর মধ্যে একজন ব্যক্তি যায় তবে সে কিভাবে তার মোকাবিলা করবে?
মানসিক স্ট্রেস নিয়ে সঠিকভাবে রিলাক্স করার কৌশল না জানার কারনে একেকজন একেকভাবে এই স্ট্রেস এর প্রতিক্রিয়া দেখান। প্রবল মানসিক চাপে কেউ একেবারে ভেঙ্গে পড়েন আবার কেউ দিনের পর দিন চীনের মহাপ্রাচীর এর মত এই মানসিক চাপ আটকে রেখে শক্তিশালীভাবে মোকাবিলা করেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা স্ট্রেস ও উদ্বেগ কারো আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি নষ্ট করে দিতে পারে। এমনকি কারো শারিরীক বা মানসিক স্বাস্থ্যেরও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে দিতে পারে এই প্রবল অবসাদ। তাই, নিজের জীবনে চলার পথে নিজের উদ্বেগ ও অবসাদকে দূরে সরিয়ে রেখে আমাদের উচিত একদম শান্ত ও শক্তিশালী মানসিকতা নিয়ে পুরোপুরি রিল্যাক্সড থেকে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার সাথে মোকাবিলা করা। তাহলে পাঠক আসুন জেনে নেই যেকোন পরিস্থিতিতে রিলাক্স থাকার উপায় গুলো কি কি।
রিলাক্স থাকার কৌশলগুলো কি কি?
জীবনের সকল উদ্বেগ, অবসাদ, অনিশ্চয়তাকে দূরে সরিয়ে রেখে যেকোন পরিস্থিতিতে ঠান্ডা মাথায় রিলাক্স থাকার দারুণ ও সেরা সব উপায়গুলো একে একে নীচে বর্ণনা করা হল। পাঠক আশা করি বাস্তব জীবনে এ উপায়গুলো মেনে চললে আপনারা উপক্রিত হবেন।
১) খাবার ও পানীয়ের মাধ্যমে কৌশলে রিলাক্স করাঃ
আমাদের দৈনন্দিন গ্রহণ করা খাবার ও পানীয় আমাদের ইন্দ্রিয় সুখের সাথে জড়িত। তাই নির্দিষ্ট উপাদানে ভরপুর খাবার ও পানীয় গ্রহণের মাধ্যমে আমরা কৌশলে ইন্দ্রিয়সুখ লাভের মাধ্যমে রিলাক্স করতে পারি। যেমনঃ
ক) গ্রিন টিঃ গ্রিন টি স্ট্রেস কমানোর রাসায়নিক দিয়ে ভরপুর যা রিলাক্স থাকার উপায় হিসেবে ধরা যেতে পারে। এই রাসায়নিকটির নাম এল-থিয়েনিন। তাই প্রতিদিন সকালে বা কাজের ফাঁকে গ্রিণ টি গ্রহণ হতে পারে স্ট্রেস কমিয়ে রিলাক্স মুডে থাকার দারুন একটি কৌশল। এছাড়া গ্রিন টি এর হালকা সবুজ রঙ আমাদের মনকে করে শান্ত ও প্রফুল্ল।
খ) ডার্ক চকোলেটঃ ডার্ক চকোলেট এ থাকা কোকোয়া বিভিন্ন এন্টি –অক্সিডেন্ট দিয়ে ভরপুর। ডার্ক চকোলেট স্ট্রেস হরমোন করটিসল কমাতে সাহায্য করে। তাই যারা প্রায়শই হাই স্ট্রেস এ থাকেন তারা ডার্ক চকোলেট ট্রাই করতে পারেন। স্ট্রেস এর বিরুদ্ধে রিলাক্স থাকার যুদ্ধে ডার্ক চকোলেট হতে পারে আপনার অন্যতম হাতিয়ার।
গ) মধু পানঃ আমাদের পাঁচটি ইন্দ্রিয়কে প্রশান্তি দানের মাধ্যমে যে কোন পরিস্থিতিতে রিলাক্স থাকার আরেকটি কৌশল হল নিয়মিত মধু পান। মিষ্টিজাতীয় খাদ্য দ্রব্য আমাদের ইন্দ্রিয়সুখ দানের মাধ্যমে মুডকে কঠিন স্ট্রেস লেভেল থেকে হালকা পর্যায়ে নিয়ে আসে। তাই নিয়মিত সকালে একচামচ বা দিনের যেকোন সময় দুধ বা চায়ের সাথে মিশিয়ে মধু পান করুন।
ঘ) মৌসুমী ফলঃ আমাদের দেশে বিভিন্ন মৌসুমী ফল পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে আম অন্যতম। আমের মধ্যে লিনালুল রাসায়নিক কম্পাউন্ড থাকে যা স্ট্রেস কমিয়ে রিলাক্স মুড আনতে দারুন সহায়তা করে। তাই মুডকে প্রশান্ত ও রিলাক্স করতে আমের মত মৌসুমী ফল খেতে পারেন।
ঙ) চুইংগাম চিবানোঃ আপনারা অনেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সিনেমাগুলোতে দেখতে পারবেন আমেরিকান সৈনিকরা চুইংগাম চিবোচ্ছে। যুদ্ধ একটি জীবন-মরণ ভীষন স্ট্রেসফুল ভয়ানক অবস্থা, যার থেকে পরিত্রাণ পেতেই আমেরিকান সৈনিকরা মুডকে রিলাক্স রাখতে এই কৌশল অবলম্বন করত। মানসিক অবসাদ দূর করতে চুইংগাম চিবানোও হতে পারে মুডকে রিলাক্স রাখার অন্যতম সমাধান।
২) হৃদয়ে প্রশান্তি খুঁজুনঃ
দৈনন্দিন জীবনে যেকোন অবসাদময় অবস্থায় রিলাক্স করতে শুধু শারীরিক নয় মানসিক বা হৃদয়ে প্রশান্তি খুঁজে পাওয়াও অত্যান্ত জরুরী। হৃদয়ে প্রশান্তি বা রিলাক্স মুড আনার কিছু চমৎকার উপায় বা রিলাক্স থাকার উপায় সম্পর্কে আসুন জেনে নেয়া যাক।
ক) মেডিটেশনঃ আত্মিক প্রশান্তি লাভের জন্য মেডিটেশন এর কোন বিকল্প নেই। অনেক মহাপুরুষ নিয়মিত ধ্যানের মাধ্যমে আত্মিক প্রশান্তি ও বিশুদ্ধতা লাভ করেছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স) ও মহামতি গৌতম বুদ্ধ। আত্মিক প্রশান্তি ও বিশুদ্ধতা লাভ করে সবসময় ঠান্ডা ও রিলাক্স থাকার এটি একটি পরীক্ষিত, বাস্তবিক প্রাচীন কৌশল। বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় একটু ঘাটাঘাটি করলেই ধ্যানের নানা কৌশল সম্পর্কে আপনারা জানতে পারবেন। এছাড়াও আমাদের বাংলাদেশের গর্ব ডিসকভারি সুপারহিউম্যান গ্রান্ডমাস্টার সিদ্ধাচার্য ড. ইউরি বজ্রমুনি বজ্রপ্রাণ ধ্যান সম্পর্কে নানা কৌশল শিখিয়ে থাকেন যা যেকোন পরিস্থিতিতে স্ট্রেস দূর করে মনকে প্রফুল্ল ও রিলাক্স থাকতে সহায়তা করে।
খ) ব্যায়ামঃ নিয়মিত সকালে উঠে দৌড়ানো ও ২০-৩০ মিনিট ব্যায়াম আমাদের শরীর ও মনকে করে প্রশান্ত, রিলাক্স ও শক্তিশালী। ব্যায়ামের মাধ্যমে লাভ করা শারীরিক সামর্থ্য আমাদের এড্রেনালিন ক্ষরণকে বাড়িয়ে তোলে এবং জীবনযাত্রাকে করে তোলে আরো সজীব ও প্রাণবন্ত।
গ) শ্বাস-প্রশ্বাস এর ব্যায়ামঃ ধ্যানের পাশাপাশি শ্বাস-প্রশ্বাস এর ব্যায়াম আপনার হৃদয় ও মনে রিলাক্স ভাব আনতে সহায়তা করতে পারে। শ্বাস-প্রশ্বাস এর ব্যায়াম এর নানা কৌশল বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া যেমন ইউটিউব এ খুঁজে পাবেন। আবার টাকা দিয়ে কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েও আপনি এই ব্যায়াম এর কৌশল রপ্ত করতে পারেন। আমাদের হৃদয় ও মনে প্রশান্তি ও রিলাক্স ভাব আনা অনেকাংশেই নির্ভর করে আমাদের মস্তিস্কের কোষে অক্সিজেন সরবরাহের উপর। তাই রিলাক্স থাকতে শ্বাস-প্রশ্বাস এর ব্যায়াম এর উপর গুরুত্ব দিন।
ঘ) মার্শাল আর্ট শিখুনঃ শরীর, হৃদয়, ও মনে প্রশান্তি, আত্মবিশ্বাস ও রিলাক্স মুড আনার আরেকটি দারুন কৌশল হচ্ছে বিভিন্ন আত্মরক্ষার কৌশল বা মার্শাল আর্ট শেখা। শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, কঠোর সাধনা, একাগ্রতা, পরিশ্রম ইত্যাদির মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস, আত্মউন্নয়ন ও হৃদয়গভীরে প্রশান্তি আনাই মার্শাল আর্ট এর মূল শিক্ষা। বাংলাদেশে বিভিন্ন মার্শাল আর্ট প্রচলিত। যেমন- কারাতে, শাওলিন কুংফু, তাইকুনদো, মুয়ে থাই, তাই-চি। গর্ব করার মত আমাদের বাংলাদেশ এর নিজস্ব একটি ঐতিহ্যবাহী মার্শাল আর্ট মাধ্যমও আছে যার নাম হচ্ছে বুত্থান।
৩) বিভিন্ন রকম উপায়ে শরীরকে হালকা করুনঃ
বিভিন্ন রকম উপায়ে শরীরকে হালকা করে অন্তরে ও শরীরে প্রশান্তি বা রিল্যাক্স ভাব আনা সম্ভব। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ
ক) ম্যাসাজঃ
দেহ মনে রিলাক্স ভাব আনার জন্য অবসাদপূর্ণ মনোভাবের সময় বাজারে এভেইলেবল নানা রকম ম্যাসাজ ক্রিম ব্যবহার করে হাত ও পা এর জয়েন্ট গুলো ম্যাসাজ করুন। এতে অবসাদ দূর হয়ে মনে রিলাক্স একটা ভাব চলে আসবে।
খ) আকুপ্রেসারঃ
আকুপ্রেসার হল শরীর এর নির্দিষ্ট পয়েন্ট এ চাপ প্রয়োগ করে ব্যথা নির্মূল বা হজম প্রক্রিয়া সহজ করার একটা পদ্ধতি। আকুপ্রেসার জাপানি “সাইটস্যু” র মত একধরনের ম্যাসাজ থেরাপি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আকুপ্রেসার প্রয়োগ করে দেহ ও মনে প্রশান্তি এনে রিলাক্স করা সম্ভব।
গ) মাথার স্ক্যাল্প বা তালু ম্যাসাজঃ
প্রচন্ড পরিমাণ রেগে গেলে আমাদের মস্তিষ্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠে। রাগের মাথায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে মানুষ খুন খারাপি পর্যন্ত করে ফেলে। তাই এই সংশয়জনক অবস্থায়ও রিলাক্স করতে মাথায় ঠান্ডা পানির সাথে ম্যাসাজ করার শ্যাম্পু দিয়ে মাথার তালু বা স্ক্যাল্প ভালমত ম্যাসাজ করলে রাগ বিদূরিত হয়ে একটা রিলাক্স ভাব আসবে। স্ট্রেস বা রাগ দূর করে দেহ মনে রিলাক্স ভাব আনার এটা একটা দারুন কৌশল।
৪) নিজের সৃজনশীল দিকগুলোকে অন্বেষণ করুণ / রিলাক্স থাকার উপায়
নানা রকম অবসাদময় কুচিন্তা দুশ্চিন্তা থেকে মনকে ডাইভার্ট করে নিজের সৃজনশীল দিকগুলোতে আলোকপাত করার মাধ্যমে আমরা দেহ মনে রিলাক্স ভাব আনতে পারি। রিলাক্স থাকার উপায় – যেমনঃ
ক) পাজল সলভঃ
বিভিন্ন পাজল বা ধাঁধা সমাধান করে আমরা আমাদের মস্তিস্ককে ব্যস্ত রাখার মাধ্যমে দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থেকে দেহ মনে রিলাক্স ভাব আনতে পারি। যেমন- ক্রসওয়ার্ড পাজল সলভ করা, দাবা খেলার ধাঁধার সমাধান, সুডোকু মেলানো, অঙ্কের ধাঁধা ইত্যাদি।
খ) লিখালিখি করাঃ
মনের অবসাদ দূর করে রিলাক্স ভাব আনতে লিখালিখি করার মত সৃজনশীল উপায় একটি দারুন মাধ্যম। অনেকেই ডায়েরি লিখে থাকেন। দৈনন্দিন জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে ডায়েরিতে সুন্দর করে সাজিয়ে লিখার মাধ্যমে আমরা আমাদের মনের অবসাদ দূর করে রিলাক্স থাকতে পারি। আবার অনলাইনে ব্লগ লিখেও মানসিক অবসাদ থেকে দূরে থাকা যায়। এতে যেমন অবসাদ দূর হয়ে রিলাক্স ভাব আসবে সেইসাথে কিছু অর্থও উপার্জন করা যাবে।
গ) গান শোনাঃ
মিউজিক বা গান ও সুরের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি আনা অনেক প্রাচীন একটি মাধ্যম। আপনার প্লেলিস্ট ভরিয়ে তুলুন দারুন সব রিলাক্সিং মিউজিক দিয়ে। তারপর যেকোন অবসাদময় মূহুর্তে সেগুলো শুনুন। এটা আপনার মুড কে হালকা করে দেহ মনে প্রশান্তি এনে দিবে। আবার স্ট্রেস দূর করতে আপনি শাওয়ার নেয়ার সময় গলা ছেড়ে গানও গাইতে পারেন। যেটা আপনার অবসাদ দূর করে মনে রিলাক্স ভাব এনে দেবে।
৫) অবসাদের সময় মন ভালো করার সঙ্গ খুঁজুন / রিলাক্স থাকার উপায়
প্রচন্ড মানসিক অবসাদের সময় মন ভালো করে দেয়ার মত কারো সাথে সময় কাটানো হতে পারে রিলাক্স থাকার একটি ভাল কৌশল। সেই সঙ্গ হতে পারে আপনার প্রিয়জন, প্রিয় বন্ধুর সাথে আড্ডা, সঙ্গিনীর সাথে অন্তরঙ্গ সময় কাটানো, প্রিয় পোষ্যের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া ইত্যাদি। আবার ভালবাসার মানুষগুলোকে নিয়ে দূরে নির্মল প্রকৃতির মাঝে কোথাও ঘুরেও আসতে পারেন। এটা আপনার মানসিক অবসাদ,স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা কে দূর করে মনে প্রশান্তি বা রিলাক্স ভাব এনে দেবে।
৬) চমৎকার সুগন্ধির ঘ্রাণ নিনঃ
আমরা অনেকেই “পারফিউম” সিনেমাটি দেখেছি। সিনেমাটি দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন মানুষের এই ঘ্রাণ নেয়ার ইন্দ্রিয়ের কত ক্ষমতা। দারুন দারুন কিছু পারফিউমের ঘ্রাণ নেয়া মুহুর্তেই আপনার মনের অবসাদ দূর করে এনে দিবে চাঙ্গা, রিফ্রেশিং, রিলাক্স একটা ভাব। আবার অবসাদের সময় রিলাক্স ভাব আনতে আপনি আপনার পছন্দের অনেক প্রাকৃতিক জিনিসেরও ঘ্রাণ নিতে পারেন। যেমন রজনীগন্ধা, হাসনাহেনা, গোলাপ বা বেলী ফুলের গন্ধ। সেই সাথে লেবুর ঘ্রাণ ও নিতে পারেন যা স্ট্রেস দূর করতে অনেক সহায়তা করে।
পাঠক আজ এই পর্যন্তই। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।