Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

স্বরচিত কবিতা পাঁচ পাঁচটি (আয় শান্তির পথে)

এলবাম “আয় শান্তির পথে”
রচনা:- রায়হান ইমতিয়াজ
উৎসর্গ:- আমার জন্মদাতা পিতা ও গর্ভধারণী মায়ের নামে।

১/ তরুন তরুনীর গান

আমরা তরুন তরুনী সময় আমাদের এখনই
ক্যারিয়ার গড়ার
আমরা হব আলোকপ্রদীপ কাটবো মূঢ় আধার।
আমরা দীপ্ত আমরা বল ভাঙবো দুর্নীতির কলাকল
ভেঙেচুরে দেবো যত অনাচারের ঘাঁটি,
সুশিক্ষা দিয়ে গর্ব উন্নত জাতি
এই কামনাই হোক সবার।
আমরা তরুন তরুনী সময় আমাদের এখনই
জ্ঞান অর্জন করার
কুসংস্কার কাটিয়ে খুলবো জ্ঞান-দার।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেব সৎ সাহসী জ্ঞান
তাদের মাঝেই বাঁচবো আমরা হয়ে নওজোয়ান
আমরা দীপ্ত আমরা বল জ্ঞানহীন দুর্বল
জ্ঞানহারা ঠাহরবাদী হব নাকো আর
এই কামনাই হোক সবার।
আমরা তরুন তরুনীর সময় আমাদের এখনই
উন্নয়নশীল দেশটি গড়ে সামনে এগোবার
সত্য পথে যুদ্ধ আমরা করবোই বারেবার
এই কামনাই হোক সবার।

২/ স্বপ্নে দেখা দেশ

স্বপ্নে দেখা দেশ থাকবো সেখানে বেশ
যেই দেশে নেই রে ভাই জাতি ভেদাভেদ
যেই দেশে মানুষ চিনে মানুষ দেখে
ভালোবাসা দেয় ছড়িয়ে সবার তরে।
যেই দেশে নেই রে ভাই অত্যাচারীর অত্যাচার
শান্তিপ্রিয় মানুষ সবাই, সবার সম অধিকার
যেই দেশে নেই রে ভাই ঠাহরে বাণী
জ্ঞান দ্বারা বিচার করে সত্য জ্ঞানী।

অহমিকা বিসর্জন দিয়ে সকলে
আপনাকে বিলিয়ে দেয় দুঃখীর মাঝে
সীমার অধিক চাহিদা যেই দেশে নেই
স্বপ্নে দেখা সেই দেশে আমি যেতে চাই।

৩/ জ্বালবো আলো

আমি হব আধার রাতের প্রদীপ
তমিস্রা কাটিয়ে দিয়ে জ্বালবো আলোর দ্বীপ
দ্বীপে দ্বীপে আলো জ্বেলে আনবো বয়ে প্রভাত
প্রভাতের এই সূর্যোদয়ে কাটিয়ে দেব রাত।
আলো দেখতে চায় না যারা
আধারে থাকুক তারা, খ্যাক শেয়ালের দল
প্রদীপ হাতে মানুষ তোরা চল এগিয়ে চল।

প্রভাতের আলো যাদের সহে না হৃদয়ে
চোখ বুজে থাকুক তারা অন্ধকারের খুঁজে
প্রদীপ হাতে যখন তারা মানুষ দেখতে পায়
অমনি করে আগুন জ্বলে তাদের সারা গায়।
জ্বলে জ্বলোক পুরুক তাদের হিংসা ভরা মন
প্রদীপ হাতে মানুষ তোরা চল এগিয়ে চল
ঠাহরবাদীর ফতোয়া তলে থাকবো না আর
মানবতার দীপ্ত-আলো জ্বালাবো এবার।

৪/ কাকে ভাবো পর

ভেবে দেখেছ মানুষ আমার আমি কে
কে আমি আজ আমি বলি, বলি তুমি সে?
ছিলাম ঐ নীলিমায় সমিরণে যুগ
গাত্রহীন অলৌকিক অনড় সে রুপ
সৃজিয়া মায়া, কায়ায় জীবন গমন
হয়েছি প্রকাশ পৃথিবীতে আগমন
কেন এই প্রকাশ ছিল কি কোনো আঁশ
সেই বাণী অস্মরণে হলো সব নাশ।

মহামানবের বাণী মেনে চলো যদি
হলেও হতে পারে সে আপন স্মরণ
মিছে মায়ায় পড়না, হবিনা অধম
পাব কিরে আর ফিরে মানব জনম
কাকে ভাবো পর আমি কার কে আমার
উদয় বিলয় পাঁচটি ঢুকরা নূর।

৫/ আয় শান্তির পথে

আয় আয় আয়রে সবাই শান্তির পথে
নতুন নতুন আবিষ্কারের পৃথিবী সাজাতে
আছো কেন বন্দী হয়ে জাতি ভেদাভেদে
মানবতার স্লোগান ধরি সবাই আয় একসাথে।
শিশু জীবন পার করেছি পার করেছি কিশোর
চিরযৌবন লাভ করেছি থাকবো কেন অসুর।
এক হয়েছি চারজনে আজ শূন্যেরই বাজারে
আপনাকে প্রকাশিতে নতুন আবিষ্কারে!
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই একই মানুষ
মানবতার বাধন ছিড়ে হবো না বেহুশ।
কৃষ্ণ মোহাম্মদ সিদ্ধার্থ আর হয়েছেন যীশু
ছিলো সবে মানবতায় দেখো ফিরে পিছু।

বাইবেল গীতা বেদ আর কুরআন করেছেন তারাই দান
ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় লেখা রূপক এসব জ্ঞান।
রূপকের এই শাস্ত্রে আছে মানবতার আলো
ধর্মশাস্ত্র ব্যবহারে সেই আলোটি জ্বালো।
মানুষ সত্য মানুষ এক মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ
মানবতায় হয় মানুষ নয়রে পন্ডিত শাস্ত্রে
টিয়া ময়না শালিক পাখি সখে মানুষ পোষে
যা শিখায় তাই বলে পিঞ্জিরায় সে বসে।
তাই বলে কি শালিক টিয়া হয়ে গেলো জ্ঞানী?
রূপক বিদ্যা ত্যাজ্য করো
সত্য সঠিক বিদ্যা শেখো
দেখবা তখন মানুষ এক সকল সৃষ্টির মূলে
মানবতায় শান্তি আছে যেওনা ভুলে।
সকল শাস্ত্রে আছে লেখা
মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা
মানুষ শান্তি বয়ে আনে বিত্ত গ্রন্থ নহে
যুগে যুগে যুগাবতার মুখেমুখে বলে
ঐক্য হলে শান্তি মিলে বিভক্তিতে নহে
ঐক্য হয়ে এসো সবাই নিজ কাজে দাও মন
তবে ধন্য পূর্ণ হবে তোমার মানব জনম।

************সমাপ্ত************

রচনা:- রায়হান ইমতিয়াজ
ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ।

Related Posts

21 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No