আসসালামু আলাইকুম’ সবাইকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।আজকে আবার লিখতে বসলাম কিভাবে ভাল ইনকাম করা যায়।আপনি যদি নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন নিশ্চয় ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিংএর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করার চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু অনলাইনে আয় সে তো মরীচিকা, হয়তো অনেকবার চেষ্টা করেছেন কিন্তু সফল হননি।কিন্তু অনলাইনে ইনকাম করে তাদের জীবন ধারাও পাল্টাতে শুরু করেছে। সারাক্ষণের সঙ্গী হাতের স্মার্টফোন বা মুভি দেখার কম্পিউটার টাই যদি হয়ে যায় আপনার উপার্জনের মাধ্যম, তাহলে নিশ্চয় মন্দ হয় না। আর আপনি যদি পরের অধীনে কাজ না করে স্বাধীন ভাবে আয় উপার্জন করতে চান তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য এই লেখাটি হতে পারে সঠিক দিক নির্দেশনা।
নিচের কাজগুলো থেকে আপনাকে যে কাজটি ভাল লাগবে আপনি সেটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবেন।
১।আপনার হাতে যদি প্রচুর সময় থাকে তাহলে আপনি ক্যাপচা সল্ভ করে আয় করতে পারেন।একজন ক্যাপচা solver হিসাবে, আপনাকে ক্যাপচার ইমেজ পড়ে বুঝতে হবে এবং সঠিক অক্ষর বা চিহ্ন লিখতে হবে। ভাল আয়ের জন্য আপনাকে খুব দ্রুতই টাইপ করতে জানতে হবে।
আপনি প্রতি ১০০০ ক্যাপচা সমাধান করে $ ২ পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ক্যাপচা সমাধান করতে আগ্রহী হন তবে Kolotibablo, MegaTypers, CaptchaTypers, ProTypers, Captcha2Cash, 2Captcha, Qlinkgroup, VirtualBee, FastTypers ইত্যাদি।
২।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম:
যদি আপনি অনলাইনে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে খুব সিরিয়াস হয়ে থাকনে এবং যদি পরিশ্রমী আর ধরজশীল মানুষ হন তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্লিপকার্ট, আমাজন, ইবে, ক্লিক ব্যাঙ্ক, সিজে, আলিবাবা ইত্যাদি শত শত অনলাইন মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে আপনি অনলাইনে তাদের পন্যের প্রচার করতে পারেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সঠিক পণ্য কেনার জন্য গ্রাহকদের সহায়তা করতে পারেন। পরিবর্তে উক্ত পণ্যের বিক্রয়ের উপর পন্য এবং মার্কেট প্লেস ভেদে আপনি ৪% থেকে ২০% পর্যন্ত কমিশন উপার্জন করতে পারেন।তাহলে এখন থেকেই কাজ শুরু করে দিন।
৩।ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আয় করুন:
এডসেন্স এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর পরে অনলাইন ইনকামের আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং।
আপনি যে কাজে দক্ষ তার উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে মাসে $৫০০ থেকে $২০০০+ পর্যন্ত আয় করত পারেন।
আপনি যেখানে কাজ পেতে পারেনফ্রিল্যান্সার ডট কম, ওয়ার্ক এন্ড হায়ার, আপ ওয়ার্ক, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি।তাই দেরি না করে আজ থেকেই কাজ শুরু করে দিন।
৪।কন্টেন্ট রাইটিং বা লেখালেখি করে আয়:
বিভিন্ন ধরনের লেখার জন্য কন্টেন্ট রাইটাররা বিভিন্ন পরিমানে পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। তবে সাধারনত কন্টেন্ট রাইটাররা ৫০০ শব্দের কন্টেন্ট এর জন্য ৫ ডলার বা তারও বেশি অর্থ পেয়ে থাকেন।
আপনি কন্টেন্ট লেখার কাজ পেতে Elance, iWriter, WriterBay, FreelanceWriting, TextBroker, ExpressWriters.com, FreelanceWritingGigs.com মত সাইটে যেতে পারেন।
৫।অ্যাডসেন্স এবং অন্যান্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক থেকে আয়:
যদিও এই তালিকায় আমার সবচেয়ে প্রিয় উপায় এটি কিন্তু আমি এটিকে ৫ নাম্বারে রেখেছি কারণ এটি অন্য ৪টি উপর থেকে একটু কঠিন এবং গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করতে বেশ সময় লাগে।
সারা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট ওনার তাদের সাইট দিয়ে মাসে হাজার থেকে লক্ষ ডলার ইনকাম করছে। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করতে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে (অবশ্য চাইলেই যে কেউ এখন নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে) এবং কিছু ট্রিকস অবলম্বন করে ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক বা ভিজিটর আনতে হবে তাহলে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স এবং অন্যান্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।তাহলে আজ থেকেই শুরু করে দিন আপনার কাজ।
পরিশেষে একটি কথাই বলতে পারি যে আপনাকে অবশ্যই যেকোন একটি কাজ আপনাকে শুরু করতেই হবেই।আল্লাহাফেজ।