বর্তমানে এমন একটা সময় এসেছে যেখানে বেকার থাকা একটা অভিশাপের মতো। আর একটা বেকার সমাজ দেশ ও জাতির জন্য বোঝাস্বরূপ। তাই এই বেকার মুক্ত সমাজ গড়তে আউটসোর্সিং এর ভূমিকা অপরিহার্য।
বর্তমান সময়ে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ যুবক যুবতী তাদের কর্মসংস্থান করে তুলতে সক্ষম হয়েছে।আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই যেকোনো সময় যেকোনো দেশের কোম্পানির হয়ে অথবা কোন ব্যক্তির জন্য মুক্ত চাকরি করা যায়।
আপনার আশেপাশে অনেক লোক আছে সাংবাদিক ,ফটোগ্রাফার, চাকরিজীবী তারা সবাই নিজ নিজ বস এর আওতাধীন কাজ করে থাকে। তারা কিন্তু মুক্ত না, তাদের সবার নিজ নিজ সঠিক সময়ে কাজ করতে হয়।কিন্তু আপনি যদি আউটসোর্সিং পেশায় যুক্ত হতে চান তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট সময় নিয়ে কাজ করতে হবে না। আপনি আপনার ইচ্ছা দিন যেকোনো সময় আউটসোর্সিং পেশায় কাজ করতে পারেন এবং যে কোন জায়গা থেকেই কাজটি করা যায়।যদি আপনার কাছে একটি ভালো মানের কম্পিউটার এবং আপনার মাঝে সৃজনশীল চিন্তা ধারা থেকে থাকে তাহলে আপনি আউটসোর্সিং পেশায় যুক্ত হতে পারেন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শব্দ দুটি এ দেশে অনেকের কাছেই পরিচিত। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক তাদের বেকারত্ব দূর করেছে। বর্তমানে দেশের ডিজাইনার, ওয়েব ডেভলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, মার্কেটিং ডিজাইনার, এবং অ্যাফিলিয়েটিং মার্কেটিং করে আউট সোর্সিংয়ের যুক্ত হতে পারেন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শব্দ দুটি এ দেশে অনেকের কাছেই পরিচিত। দেশের প্রচুর ওয়েবসাইট ডেভেলপার, গ্রাফিকস ডিজাইনার, রাইটার, মার্কেটার বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন, আবার অনেকে নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে মার্কেটে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন।বর্তমানে বিশ্বে আউটসোর্সিং তালিকায় বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে। এখানে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ কাজ করেন মাসিক আয়ের ভিত্তিতে।
আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এ যুক্ত হতে হলে আপনাকে নির্দিষ্ট কয়েকটি মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হবে। এবং সেগুলি হল আপনার কাজ খুঁজে পাওয়ার উৎস।বর্তমান সময়ে কিছু প্রচুর প্রচারিত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে।
যেমন:- ১. ফাইবার ডটকম ২.ফ্রিল্যান্সার ডটকম ৩.আপওয়ার্ক ডটকম ইত্যাদি।
এইসব মার্কেটপ্লেসে আপনার সৃজনশীল চিন্তাধারা দিয়ে আপনি যে কাজে দক্ষ সে কাজের মাধ্যমে আপনার কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচুর ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ করতেছে। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর খাতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সাররা গড়ে উঠছে।
তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বেকার মুক্ত দেশ করা যাবে।
কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু প্রতারক গুষ্টি এই আউটসোর্সিংকে প্রতারণার কাজে লাগাতে চাচ্ছে। এরা আউটসোর্সিংয়ের দালালী শুরু করে দিছে। এ প্রতারণা চক্রটি আউটসোর্সিং আপনাকে শেখাবে বলে আপনার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করবে। তাই প্রতারণা গোষ্ঠী থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
১. আউটসোর্সিং কেন করবেন?
আপনার যদি কারো দায়বদ্ধ থেকে কাজ করতে ইচ্ছা না হয় তাহলে আউটসোর্সিং আপনার জন্যই। এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনাকে খারদ আবদ্ধ থাকতে হবে না এবং কারো কথা মত নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী কাজ করতে হবে না। আপনার ইচ্ছামত যে কোন যায়গায় যেকোন সময় এই কাজটি করতে পারেন। এবং আপনি আপনার নিজের একটা পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারেন।
আউটসোর্সিং এর সুবিধা সমূহ:-
১. আউটসোর্সিং করলে আপনাকে দায়বদ্ধ থাকতে হবে না কারো কাছে।
২. যেকোনো জায়গায় যেকোন সময় এ কাজটি করা যায়।
৩. সৃজনশীল চিন্তা ধারার মাধ্যমে আপনি আপনার নিজের আইডিয়া দিয়ে কাজ করতে পারবেন।
তাছাড়া আরও নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এই আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করলে।
তাছাড়া আপনাকে আউটসোসিং করতে হলে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ জানা থাকতে হবে সেটি হলো ,ইংরেজিতে দক্ষ হওয়া।আউটসোর্সিং এবং আন্তর্জাতিক মানের কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে খুব ভালো দক্ষতা এবং কথা বলতে হবে। তাই আউটসোর্সিং ইংরেজী জানাটা খুবই জরুরী। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় আউটসোর্সিং বেকার মুক্ত সমাজ গড়তে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।