আসসালামুয়ালাইকুম।
আজকের গল্পটি হচ্ছে, ঘুমন্তপুরীর রাজকন্যা অত্যন্ত মজাদার একটি গল্প। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তো চলুন গল্পটা শুরু করা যাক।
এক দেশে এক রাজপুত্র ছিল। যেমন তার রূপ তেমনি তার গুণের ও তুলনা ছিল না। পুজারা সবাই রাজপুত্রকে ভীষণ ভালোবাসে। এককথায় রাজপুত্র যেন সকলের চোখের মনি। একদিন রাজপুত্রের কি খেয়াল হলো। ঠিক করল দেশভ্রমণে যাবে। কথাটা সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পরলো। দেশের সব মানুষ দুঃখে ভেঙে পড়ল। রানিত খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিলেন। প্রানের প্রিয় রাজপুত্রকে ছেড়ে কি করে বাঁচবেন? কিন্তু রাজামশাই বাধা দিলেন না। বললেন, ‘ঠিক আছে, ও যেতে যখন চাইছে একবার বেড়িয়েই আসুক। রাজা রাজপুত্রের সাথে সৈন্য পাঠাতে চাইলে রাজপুত্র তাতে মানা করে দিল। নতুন পোশাক পরে ও কোমরে নতুন তরোয়াল ঝুলিয়ে একাই দেশ ভ্রমণে বেরিয়ে পরলো। আপন মনে রাজপুত্র পথ চলতে লাগলো। কত পাহাড় পর্বত, নদ-নদী সব পেরিয়ে এগোতে লাগলো। সামনে দেখতে পেল বিশাল এক বন। কিন্তু মজার কথা হলো ওই বনে কোন পাখির ডাক নেই। বাঘ ভাল্লুক নেই, সিংহের গর্জন নেই, সব নিস্তব্ধ। রাজপুত্র বিন্দুমাত্র ভয় পেলোনা। সোজা এগিয়ে চললো। কিছুদুর এগিয়েই দেখতে পেল এক প্রকাণ্ড রাজপুরী। এত বড় রাজপুরী সে কখনও দেখেনি। রাজপুত্র অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে রাজপুরীর দিকে। কিন্তু এত বড় যে প্রাসাদ সেখানে কোন বাদ্যযন্ত্র বাজে না। মানুষের কণ্ঠস্বর শোনা যায় না। দেখে মনে হয় ঐ প্রাসাদের সবাই মৃত। এমনকি এখানে গাছের পাতাটা পর্যন্ত নড়ে না। সব নিস্তব্ধ নিস্তব্ধ। কোন শব্দ নেই। রাজপুত্র রাজপুরীর ভিতরে ঢুকলো। চারদিক ভাল করে দেখতে লাগলো। ভাবলো যদি কোন মানুষ দেখা যায়। একটা জায়গায় এসে থমকে দাঁড়ালো। দেখে কত হাতি, ঘোড়া, সেপাই, কত সৈন্য সামন্ত সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে। রাজপুত্রদের ওদের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে ডাকলো। কিন্তু কেউ কোনো সাড়া দিল না। ওর দিকে ফিরেও দেখল না। রাজপুত্র অবাক! এবার ওদের সামনে গিয়ে দেখে, সবাই যে পাথরের মূর্তি। কারো চোখের পলক পড়ে না, মাথার চুল নরে না। সবাই কেমন স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তারপর একটা ঘরে ঢুকে সে দেখে সেখানে হাজার রকমের অস্ত্রশস্ত্র টাঙানো রয়েছে। কিন্তু পাহারাদার সিপাহীরা সব পাথরের মূর্তি।
এ গল্পটি অনেক বড়, লেখাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই পর্ব ১ এ পর্যন্তই থাক। এটি এ্যপোব হলে আমি পর্ব ২ দিয়ে দিব।
ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন। আসসালামুয়ালাইকুম।