” তুমি কি সত্যি আমার !! ” ষষ্ঠ পর্ব

আসসালামু আলাইকুম। Hi! কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয়ই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি। ” তুমি কি সত্যি আমার ” গল্পের ষষ্ঠ পর্ব  লিখব। গল্প টি  সম্পুর্ন পড়ার অনুরোধ রইল। চলুন শুরু করা যাক।

 

পম পর্বের পর থেকে…… অবশেষে এক সপ্তাহ পর  ঈতিশা কলেজে আসল।  কলেজে এসে আমাকে দেখেই বললো, hi! সিয়াম। কেমন আছো? 

আমি: জি ভালো। তুমি কেমন আছো?

ঈতিশা: হুম, আমি ও ভালো।

আমি: এতদিন, কলেজে আস নাই কেন?

ঈতিশা: আমি তো আমার খালা বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম।

আমি: বাহ্! ভালো। তা আমাকে বলে যাওয়া যেত না বুঝি? জানো, কত চিন্তায় ছিলাম?

ঈতিশা: কেন? তোমার আবার এত চিন্তা কিসের? আসলে যাওয়ার কোন কথাই ছিল না। হঠাৎ করেই গেছি। অনেক দিন পর গেছি তো তাই আস্তে দেয় নাই। তোমার মোবাইল নাম্বার তো আমার কাছে নাই যে তোমাকে জানাব।

আমি: ওকে তোমার মোবাইল নাম্বার দাও।

ঈতিশা: সিয়াম, ম্যাম আচ্ছে। চল ক্লাসে যাই।

আমি: হুম, চল।

ম্যাম আসায় আর ওর মোবাইল নাম্বার নেওয়া হলো না। কলেজ শেষে ঈতিশা আগেই চলে গেছে। ওর সাথে আর দেখা হয় নাই। ঈতিশার তাহমিদ এর সাথে ভালো সম্পর্ক। তাহমিদ এর কাছে ঈতিশার মোবাইল নাম্বার থাকতে পারে। তাই তাহমিদ কে বললাম যে ঈতিশার মোবাইল নাম্বারটা দাও তো। তাহমিদ দিতে রাজি হলো না। বেশ কিছুক্ষণ অনুরোধ করার পর দিতে রাজি হলো। আমাকে জিজ্ঞাসা করল, তুমি ঈতিশার মোবাইল নাম্বার দিয়ে কি করবে? আমি বললাম, আমার খুব দরকার। Please, দাও। Ok দিচ্ছি। এই নাও। 01761253354. এটা কিন্তূ ওর মায়ের মোবাইল নাম্বার। ওর নিজস্ব কোন মোবাইল নাই। আমি। তাহমিদ কে অনেক ধন্যবাদ দিলাম।

বাসায় এসে fresh হয়ে খেলাম। মোবাইল টা হাতে নিয়ে sms দেওয়ার জন্য। কিন্তূ দিলাম না। তাহমিদ আমাকে বলেছিল যে, ঈতিশার নিজস্ব মোবাইল নাই। তাই ভাবলাম সন্ধ্যায় sms দিব। তাই সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে sms দিলাম।

আমি : hi!

ঈতিশা:  hmm. কে?

আমি: ঈতিশা, আমি সিয়াম।

ঈতিশা: ওও… মোবাইল নাম্বার কোথায় পেলে?

আমি: তাহমিদ এর কাছ থেকে নিয়েছি।

ঈতিশা: ও…  এটা আমার নিজস্ব মোবাইল না। আমার মায়ের মোবাইল। যখন তখন sms দিও না।

আমি: জানি। মোবাইল নাম্বার দেওয়ার সময় তাহমিদ আমাকে সব বলেছে। এজন্য সন্ধ্যায় sms দিলাম।

ঈতিশা: কি করো?

আমি: কিছু না। বসে আছি আর ভাবছি।

ঈতিশা: ও… কি ভাবে?

আমি: তোমার কথা ভাবছি। বলতে ইচ্ছা করলেও বললাম যে তেমন কিছু না। সামনে পরীক্ষা তো তাই নিয়ে একটু ভাবছি। তুমি কি করো?

ঈতিশা: আমি চা খাচ্ছি। আসো চা খাই। হূম পরীক্ষা তো কাছেই।

আমি: না, তুমি খাও। আমি অন্য দিন খাব।

ঈতিশা: okk. পড়তে বসবে না?

আমি: হুম। কিছুক্ষণের মধ্যেই পড়তে বসব। তুমি বসবে কখন?

ঈতিশা: পড়তে বসেছি।

আমি: আচ্ছা পড় তাহলে। তোমাকে আবার বিরক্ত করে ফেললাম।

ঈতিশা: আরে না। আচ্ছা পড়া পড়ি। Bye.

আমি: ok bye.

গল্প টা সম্পুর্ন পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Related Posts

20 Comments

মন্তব্য করুন