বাচতে হলে জানতে হবে।
আমাদের দেশে হাঁপানির সমস্যাটি অনেক পরিচিতো।আজকে আমরা এই হাঁপানি সম্পর্কে জানবো।এর কারন,লক্ষন,প্রতিকার,প্রতিরোধ সম্পর্কে জানবো। ভাইরাসজনিত কারণে অথবা বায়ুদূষণ বা ধুমপানের কারনে সর্দি কাশি হয়। দীর্ঘদিনের কাশি সর্দি ও হাঁচি থেকে স্থায়ীভাবে এজমা বা হাঁপানি রোগের সৃষ্টি হয় ।এটি ছোঁয়াচে বা জীবাণুবাহিত রোগ নয়।
কারণঃ
যেসব খাবার খেলে এলার্জি হয,ধোয়া ধুলোবালি,ফুলের রেন্, ইত্যাদি শ্বাস গ্রহণের সময় ফুসফুসে প্রবেশ করলে হাঁপানি হতে পারে।শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত সর্দি-কাশি হতে হাঁপানি হতে পারে।
এ রোগের লক্ষণগুলোঃ.
১,সাধারনত জ্বর থাকে ।
২,শ্বাস নেওয়ার সময় রোগীর পাঁজরের মাঝেচামড়া ভিতরের দিকে ঢুকে যায়।
৩,রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে।
৪,কাশির সাথে কখনো কখনো সাদা কফ বের হয়।
৫,ফুসফুসের বায়ুথলি ঠিকমতো অক্সিজেন সরবরাহ হয় না বা বাধাগ্রস্ত হয় ফলে রোগীর বেশি কষ্ট হয়।
৬,রোগী জোরে জোরে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করে এসময় বুকের ভেতর সাঁইসাঁই আওয়াজ হয়।
৭,শ্বাসকষ্টে দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয় ঠোট নীল হয়ে যায় গলা শিরা ফুলে যায়।
৮,হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।
যেভাবে আমরা এই রোগটি প্রতিকার করতে পারিঃ
১,আলো-বাতাস পূর্ণ গৃহে বসবাস করা।
২,যেসব খাদ্য খেলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় সেগুলো না খাওয়া।
৩,চিকিৎসা এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না তবে ঔষধ সেবনে রোগী কিছুটা আরাম বোধ করে।
৪,যেসব জিনিসের সংস্পর্শে হাঁপানি বাড়ায় তা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাক যেমন পশুর লোম,কৃত্তিম আঁশ ইত্যাদি।
৫,ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া ও সাবধানতা অবলম্বন করা
৬,ধূমপা্গুল,সাদাপাতা ,জর্দা ইত্যাদি ব্যবহার পরিহার কর।
৭,শ্বাসকষ্ট সময় রোগীকে তরল খাদ্য খাওয়ানো।
যেভাবে আমরা এই রোগের প্রতিরোধ করতেঃ
১,পারি স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করা।
২,বায়ুদূষণ বাসস্থান বা কর্মক্ষেত্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে এবং সর্বোচ্চ সংস্পর্শে পরিহার করা।
৩,হাঁপানি রোগীর শ্বাসকষ্ট লাঘবের জন্য সবসময় সাথে ওষুধ রাখাও প্রয়োজন মত ব্যাবহার কর।
সবাই ভালো থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।