আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির বিলাসিতার জীবন নিয়ে। মুকেশ আম্বানির অবিশ্বাস্য উত্তান। মুকেশ আম্বানি হচ্ছেন শুধু ভারত নয় বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদশালী মানুষের একজন। তার বাবার হাত ধরে এ ব্যবসার গোড়াপত্তন হয়। প্রথম জীবনে তার বাবা ছিলেন পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী। বেতন পেতেন ৩০০ রূপি। মুকেশ আম্বানিকে নতুন করে পরিচয় কিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী তিনি। তার রিলায়েন্স কোম্পানি ব্যবসা জগতে সফলতার একটি। ছড়িয়ে আছে বিশ্বজুড়ে। এ গ্রুপের মালিক তিনি। তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন রিলায়েন্স গ্রুপকে। ব্যবসায়িক উন্নতি সঙ্গে যোগ হয়েছে অর্থ, বিত্ত, সম্মান, মর্যাদা। বিখ্যাত ফোর্স ম্যাগাজিনের করা বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় নিজের জায়গাটা বেশ শক্ত করেই ধরে রেখেছেন তিনি । আর ভারতের হিসেবে তার প্রতিদ্বন্দ্বি এখন তিনি নিজেই। মুকেশ আম্বানি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদশালী মানুষের একজন। তার মোট সম্পত্তি আনুমানিক মূল্য হচ্ছে ২১.২ বিলিয়ন ডলার। মুকেশ আম্বানির পরিবার ভারতীয় নাগরিক হলেও তার জন্ম কিন্ত ইয়েমেনে। জন্ম সাল ১৯৫৭ সালের ১৯শে এপ্রিল। তিনি তার বাবা মায়ের প্রথম সন্তান। স্কুল বয়সে অনন্য মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিলেন তিনি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেনফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন। এরপর ১৯৮০ সালে তিনি স্টেনফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। তখনও তিনি ধনকুবের হয়ে ওঠেননি। অন্য আর দশটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো চলছিল জীবন। মুকেশ এবং তার পরিবার প্রথমে মুম্বাইয়ের বুবেনেশ্বর এলাকায় থাকতেন। জানেন সেই বাড়িতে কয়টি শোবার ঘর ছিল। গোটা অ্যাপার্টম্যান্টে মাত্র দুটি শোবার ঘর ছিল। কিন্তু দৃশ্যপট বদলাতে শুরু করে রিলায়েন্স গ্রুপের উত্তানের মাধ্যমে। ৬০ এর দশকে রিলায়েন্স গ্রুপ এর বিট মজবুত হতে শুরু করে। দিন বদলে যায় মুকেশ পরিবারের। অর্থ, বিত্ত, যশ, খ্যাতি সবই এসেছে এ রিলায়েন্স গ্রুপের মাধ্যমে। দুই বেডরুমে সেই অ্যাপার্টম্যান্ট এখন শুধু স্মৃতি। বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি আন্টিলাতে এখন বসবাস মুকেশ পরিবারের। রিলায়েন্স কোম্পানি আজকের এই ব্যবসায়িক অনন্য উচ্চতা কিন্ত শুধু মুকেশ আম্বানির মেধা আর শ্রমের ফসল নয়। যদিও রিলায়েন্স কোম্পানির মাধ্যমে আজকের ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি। এ রিলায়েন্স কোম্পানির শক্ত বিট তৈরী করে দিয়েছেন আম্বানির বাবা। বাবার স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো। আম্বানি চলে গেলেন এডেনে। সেখানে বড় ভাইয়ের সাথে কাজ শুরু করেন। তার বাবা ধীরে ধীরে তিলের ব্যবসা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান লাভ করেন। নিজে একটি কারখানা গড়ার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর পেছনে পেছনে ঘুরে বেড়ান। সবাই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। ব্যাংগুলোর কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ঠ করার পন্থা অবলম্বন করেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীরাদের আকৃষ্ঠ তিনি বিনিয়োগকারীরা স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ারও উদ্যোগ নেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের চোখে পড়েন তিনি। বিনিয়োগকারীদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন রিলায়েন্স কোম্পানিকে। অনেকে হয়ত জানেন না রিলায়েন্স গ্রুপ শুরুতে ইয়েমেন থেকে মসলা আমদানি করত। মসলা আমদানির ব্যবসা নিয়ে পথচলা শুরু করে রিলায়েন্স গ্রুপ। ধীরে ধীরে তার ব্যবসার প্রসার করতে শুরু করে। মসলা আমদানি করার পাশাপাশি পরবর্তীতে তারা সুতার ব্যবসা শুরু করে। এদিকে মুকেশ আম্বানির পড়াশুনা শেষ হয়েছে ১৯৮০ সালে। মুকেশ আম্বানি দেশে ফিরে সুতার ব্যবসা সামলানোর দায়িত্ব নেন। মুকেশ আম্বানির মেধা দুরদ্বর্শি সেই সিদ্ধান্ত ও কঠোর পরিশ্রমের রিলায়েন্স গ্রুপ দ্রুত উন্নতি লাভ করতে শুরু করে। একপর্যায়ে সরকারের কাছ থেকে পিএফআই ব্যবসার লাইসেন্স পেয়ে যায় রিলায়েন্স। এটাকে রিলায়েন্স গ্রুপের টার্নিং পয়েন্ট বলা যায়। মুকেশ তার বাবার সুতা উৎপাদনের ব্যবসা সারাদেশে ছড়িয়ে দেন। তাদের ব্যবসার সাথে যুক্ত হয় রিলায়েন্স পেট্রোক্যামিক্যাল,পেট্রোলিয়াম পরিশুদ্ধকরন, টেলিকমিউনিকেশন এবং তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান ইত্যাদি। চারদিকে ব্যবসা ছড়িয়ে দিয়ে মুকেশ আম্বানি আলোড়ন তুলেন গোটা ভারতে। আন্তজার্তিক পরিমণ্ডলে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। দিনে দিনে এ আয়ের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। মুকেশ আম্বানি অনেক বাড়ির মালিক। কিন্তু যেখানে পরিবার নিয়ে রয়েছেন সেই ২৭ তলা আন্টিলিয়ার এর কথা সবাই জানেন। এর বিস্তৃতি ৪ লাখ বর্গফুট। জমির দামসহ এ ভবনের দাম ১ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয়ত বহুতলের গ্যারেজ। সেই গ্যারেজে ১৬৮ টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। তার বাড়িতে আরও আছে মুভি টিয়েটর। এখানে ৫০ জন মানুষ একযোগে সিনেমা দেখে। আরও আছে তুষারপাত এর কক্ষ। গরমে সেখানে বসে তুষারপাত উপভোগ করা যায়। সাড়ে আট কোটি রূপির বিএমডব্লিউ সহ গাড়ির বহর। ধন্যবাদ সবাইকে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
সবকিছুতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করুন।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ সকল কাজে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করাটা অনেক ভালো ব্যাপার। কিন্তু আমাদের সমাজে এমনও অনেকে আছেন, যারা মধ্যমপন্থা...