বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দেশ।বাংলাদেশের রূপের কোনো তুলনা হয় না।বাংলার সৌন্দর্যে সারা বিশ্ব মুগ্ধ।যুগে যুগে অসংখ্য কবি-সাহিত্যিক এবং লেখকেরা বাংলার রূপের প্রশংসা করে গেছেন।তারা তাদের রচনার মাধ্যমে বাংলার রূপকে বিশ্ববাসীর কাভহে তুলে ধরার চেষ্টা করে গেছেন।কিন্তু বাংলা তার চেয়ে আরো বেশি সুন্দর।বাংলাকে যেনো সৃষ্টি কর্তা নিজের মনের মত করে অফুরন্ত সৌন্দর্য দান করেছেন।আর সেই সৌন্দর্য দেখে যেকেও বাংলার প্রেমে পড়ে যাবে।প্রতিবছর অনেক বিদেশি পর্যটক আসে আমাদের দেশে আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।বাংলার সৌন্দর্যের প্রধান কারণ হলো বাংলার ঋতু বৈচিত্র্যতা।পৃথিবীর কোনো দেশে এতো ঋতুর সমাবেশ ঘটে না যতগুলো ঋতুর আগমন বাংলায় ঘটে। ঋতুচক্রের দ্বিতীয় ঋতু হলো বর্ষাকাল।আষাঢ় -শ্রাবণ এই দুই মাস বাংলাদেশে বর্ষাকাল বিরাজ করে। বাংলাদেশে জুনের মাঝামাঝি সময়ে বর্ষা আসে এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি অবধি বর্ষা থাকে। যখন গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে প্রকৃতি জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যায়, চারদিক পানিশূন্যতায় ভোগে,মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যায়,কৃষিজমি শুকিয়ে যায়৷ মানুষ একটু বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতে থাকে দিনরাত।অবিশেষে তখন বর্ষা আসে রক্ষকের বেশে।বর্ষা এসে প্রকৃতিকে রক্ষা করে।তার স্নিগ্ধ শীতল পরশ দিয়ে সব কিছু শীতল করে তুলে।তার ছোয়ায় গাছে গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়,খাল-বিল,নদনদী, পুকুর সব পানিতে টইটম্বুর হয়ে যায়।মাটির৷ উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।গাছেরা নতুন প্রান খুজে পায় বর্ষার ছোয়ায়।বর্ষাকালে আকাশ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়।সূর্য কদাচিত দেখা যায়।আমাদের নদনদীগুলো কানায় কানায় পূর্ন হয়ে যায়।মাটি এবং রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে যায়।মানুষ ঠিকভাবে চলাচল করতে পারে না।বাংলাদেশ প্রধানত কৃষি প্রিধান দেশ।বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি কৃষির উপর নির্ভর করে।আর কৃষির সমৃদ্ধি প্রকৃতির দয়ার উপর নির্ভর করে অর্থাৎ বর্ষাকালের যথাযথ বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভর করে।যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে আমাদের দেশের কৃষকদের ভোগান্তির সীমা থাকে না।তারা ঠিকভাবে চাষাবাদ করতে পারে না যার ফলে শুধু তাদের জীবন ই নয় পুরো দেশের সাধারনের জীবন খাদ্যসংকটে পড়ে কারণ তারা যে ফসল উৎপাদন করে তার উপর দেশ নির্ভর করে থাকে।যদি ঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত হয় তাহলে আমাদের কৃষকদের আনন্দের সীমা থাকে না। তারা সঠিক সময়ে চাষ করতে পারে এবং ভালো ফসল উৎপাদন করতে পারে।বৃষ্টির পানি ছাড়া আমাদের দেশে ধান এবং পাট চাষ কোনো মতে ই সম্ভব নয়।বৃষ্টিপাত ছাড়া আমাদের কৃষি নিস্তেজ হয়ে পড়ে।বৃষ্টির পানি সকল নোংরা আবর্জনা ধুয়ে নিয়ে যায় এবং পরিবেশ কে শান্ত নির্মল ও পরিচ্ছন্ন করে।বর্ষাকালে প্রকৃতি নবসাজে সজ্জিত হয়ে উঠে।প্রকৃতিতে বর্ষায় আগমন ঘটে বিভিন্ন মৌসুমি সবজি ফল এবং ফুলের।চারিদিকে পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে থাকে।গাছে গাছে নতুন কচি পাতা জন্মায়।বিভিন্ন নতুন নতুন সবজির আগমনে বাঙালীর খাদ্যতালিকায় বৈচিত্র্যতা সৃষ্টি হয়।মানুষের জীবনের একঘেয়েমিতা দূর হয়।
কিন্তু৷ বর্ষাকালে মানুষকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন ও হতে হয়।কখনো কখনো একটানা অনেকদিন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে থাকে যা কৃষিজমির জন্য অনেক ক্ষতিকর।এর ফলে ফসল নষ্ট হয়ে যায় এবং কৃষকরা অবেক ভোগান্তিতে পড়ে।বর্ষাকালে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না তারা সাধারণত বাড়িতে ই থাকে সারাদিন যার ফলে তাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি সাধন হয়।বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির দিনে৷ বিদ্যালয়ে যায় না যে কয়েকজন যায় তারাও রাস্তায় ভিজে যায় যার ফলে আর ক্লাস হয় না।সেই দিনটা যদিও শিক্ষার্থীদের জন্য খুব আনন্দের একটি দিন কিন্তু এতে তাদের পরাশোনার ক্ষতি হয়।সারাদিন ব্যাপী বৃষ্টিপাত হলে মানুষ খুব বিরক্তিকর ভাবে সময় কাটায়।বর্ষাকালে কেও ছাতা ছাড়া বাইরে বের হতে পারে না।রাস্তাঘাট সব কর্দমাক্ত হয়ে থাকে মানুষ ঠিকভাবে হাটতে পারে না।যে কাওকে বাইরে বের হতে হলে মাথার উপর ছাতা,হাতে জুতো এবং হাটু অবধি কাপড় ভাজ করে হাটতে হয়।কখনো কখনো মানুষ রাস্তায় পিছলে পড়ে যায় এবং তাদের কাপড় ময়লা হয়ে যায়।কখনো কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয় আবার কখনো কখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়।যারা দিনমজুর তারা বর্ষাকালে অনেক ভোগান্তিতে পড়ে।তারা বৃষ্টির কারণে বাইরে যেতেও পারে না আর কাজ করে তাদের নিত্যদিনের আহার্যও যোগাড় করতে পারে না।ফলে সে এবং তার পরিবার কে অনাহারে দিন কাটাতে হয়। গরু-ছাগল এবং অন্যান্য সকল গৃহপালিত প্রাণীরা তাদের ঘরে ই সারাদিন থাকে এবং খাবারের জন্য ডাকতে থাকে।কখনো কখনো বর্ষার বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যাসহ আরো অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি হয় যার ফলে হাজার হাজার মানুষ নিস্ব
সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ?
সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ? বাবা- মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক টা অবিচ্ছিন্ন , ছিন্ন করতে চাইলে ও হয়...