একটি দেশের একটি ছেলে ছিল।নাম তার রিমন।তার গ্রামের নাম ছিল হরিতপুর।তার গ্রামের লোকজন ছিল নিতান্তই গাইয়া।তাদের ভবিষ্য বলতে কিছু ছিল না।তাদের দৈনন্দিন জীবন-যাপন খুবই খারাপ ছিল।এক বেলা খায়তে পারলে পরের বেলাই না খেয়ে থাকতে হতো।তাদের জীবনের কোনো পরিবর্তন তারা করতে পারেনি।তাদের এমন মতামত ছিল যে প্রতিদিন অন্যের বাড়িতে মাগুন কামলা খাটবে আর এক সময় মরে যাবে।ফলে জীবন শেষ হয়ে যাবে।আর কোন চিন্তা করতে হবে না।
কিন্তু রিমন এসব দেখে নিজের গ্রামের ওপর খুব ধিক্কার জানাই।মাঝে মাঝে ভাবে তার এই গ্রামে জন্ম লাভ করাই বৃথা হয়েছে।তাই সে সব সময় ভাবতো এই রকম জীবন থাকার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।
একদিন সে চিন্তা করলো,এই রকম চলতে থাকলে সেই ও তার গ্রামের মানুষের মতো হয়ে যাবে।তাই সে চিন্তা করলো,সে লেখা-পড়া করবে,তার জীবনেও সুখ আনবে।তাই সে পরিবার কে তার মনের কথা বললো,কিন্তু পরিবার তার কথা তো শুনবে দূরে থাক।তাকে সবাই আর ও খারাপ ভাবতে লাগলো।তার বড় ভাই বললো বাপ দাদার কাম কাজ ছাইড়া কি কইরা ভাত খামু।তার মা বোন সবাই তার কথার দ্বিমত প্রকাশ করলো।
পরে সে তার এক র্দু’সম্পকের আত্মীয়ের সাথে এক এলাকায় এসে পরলো।আর সে সেখানে কাজ আর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে লাগলো।সে সব ক্লাসেই ভালো রেজাল্ট করতে লাগলো।আর সব শেষে B.C.S ও পেয়ে গেলো।ফলে সে খুব ভালো একটা চাকরি পেয়ে গেলো আর সে আস্তে আস্তে বিত্তবান হয়ে যেতে লাগলো।হঠাৎ তার পরিবারের কথা তার মনে পড়লো।তাই সে তার গ্রামে চলে গেল।আর সেখানে সে গিয়ে দেখে তার পরিবারের এমন অবস্থা যে তারা দিনে এক বেলা খেতে পারলে সারা দিন না খেয়ে থাকতে হয়।তবে সে যাওয়ার সাথে সাথেই কেউ তাকে চিন্তেই পরলো না।
কারণ,আজকের রিমন আর বিশ বছর আগের রিমন এক না।সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে,কে সেই ছেলে সোট কোট পড়া।রিমনের মা রিমনকে জিজ্ঞেস করলো,আনে কেডা।রিমন বললো আমি রিমন। আমাকে তুমরা চিন্তে পারো নাই।তার মা বললো এতো সুন্দর গাড়ি আর কোট সুট কই পাইলি।সে বললো সে অনেক কথা।আগে আমাকে কিছু খেতে দাও খুব খুদা লাগছে।কিন্তু তার মা বললো বাবা আমাদের বাসায় তো কোনো খাওন নাই।রাতে তার ভাই আসলো,আর তার ভাইকে বললো ভাই চলো আমরা শহরে চলে যায়।সেখানে আমার ঘর-বাড়ি, গাড়ি সব আছে।
তার পর তারা চলে গেল।আর তাদের দুখ দূর হলো।
বি.দ্র.সঠিক কাজ করলে এক সময় না এক সময় সফলতা আসবেই।সফলতা আসতে বাধ্য থাকবে।তাই কাজ করো সঠিকটা যেটা তুমাকে সফলতা দেখাবে।