ভাষা কতগুলো শব্দ কিংবা বাক্যের সমষ্টিতে গড়ে উঠে না ভাষা গড়ে উঠে কতগুলো আবেগ অনুভূতি নিয়ে। আমরা বাঙালি জাতি আমাদের রয়েছে ভাষা নিয়ে লড়াই করার সংগ্রামী ইতিহাস । এই প্রাণের ভাষার জন্য,মাতৃভাষা বাংলাকে সর্বএ ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই করতে হয়েছে অনেক। সেই সকল ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই সকলকে একুশে ফেব্রুয়ারির শুভেচ্ছা। বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা।তৎকালীন পাকিস্তান অধিবেশনে বাংলার কৃতি সন্তান ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানানো হয়।সেই আলোচনা থেকে ভাষা আন্দোলন গল্পের সুত্রপাত হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চে এই নিয়ে সীমিত পর্যায়ের আলোচনা হয় যা ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণতা পায়।দিনটি ছিল ৮ ফাল্গুন ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পুলিশের১৪৪ ধারা ভেঙে রাজপথে মিছিল বের করে। পুলিশের অতর্কিত গুলিতে শহীদ হয় আবুল বরকত,সালাম, রফিক, শফিক সহ আরও অনেকে।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি সম্মান রেখে প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৯৮ সালে কানাডায় অবস্থিত দুই বীর বাঙালি আবদুস সালাম এবং রফিকুল ইসলাম জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে দাবি জানানো হয়। সেইপরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। সেই থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বাংলা ভাষা বর্তমানে ব্যবহৃত চতুর্থ বৃহত্তম ভাষা। বাংলা আমাদের প্রাণের ভাষা। আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন বাংলা। বাংলাকে সর্বস্থানে ব্যবহার করতে হবে। বাংলাকে ব্যবহার করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি স্থানে। তবেই পূর্ণতা পাবে ভাষা শহীদদের ত্যাগ।স্কুল, কলেজ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাকে ছড়িয়ে দিতে হবে। তরুণ প্রজন্মের কাছে ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তবেই তরুণ প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম ছড়িয়ে যাবে।