ভালোবাসা কি?
এর সংজ্ঞা সঠিক ভাবে কেউ দিতে পারবে না।ভালোবাসার সংজ্ঞা সঠিক ভাবে নির্বাচন করাও কঠিন। কারণ,ভালোবাসা একেক জনের কাছে একেক রকম।কেউ বা ভালোবেসে খুশি আর কেউ বা ঘৃণা করে খুশি। কেউ বা একবেলা ঠিক ভাবে পেট ভরে খেয়ে খুশি আর কেউ বা সেই অন্য ফেলে দিয়ে খুশি। আজব,দুনিয়াতে আজব প্রকৃতির মতোই মানুষ গুলোও আজব। তাই তাদের ভালোবাসার ধরণও একেক জনের একেক রকম।
“ভালোবাসা ভালোবাসে শুধুই তাকে
ভালোবাসায় ভালোবেসে বেঁধে যে রাখে”।
কবও
কবির কবিতাটা মায়ায় ঘেরা ভালোবাসা প্রমাণে প্রমাণিত করে।তবে এই ভালোবাসা একটা পুরুষ আর একটা মহিলার জন্য। ভালোবাসা শুধু একটি পুরুষ আর একটা মহিলার শারীরিক তৃপ্তি পূরণ করে না মনেরও করে।তাই কবি বলেছেন,”ভালোবাসাটা শুধু তার জন্যই যে ভালোবাসাতে পারে”।
ভালোবাসাটা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।যেমন,বাবা তার ছেলে-মেয়েকে আদর যত্ন করে লালনপালন করে এটা তার ছেলে – মেয়ের জন্য ভালোবাসা। আর বাবা-মা বৃদ্ধ হয়ে গেছে তাদের সেবা যত্ন করাই হলো তাদের জন্য ভালোবাসা।
একটা পথ শিশু রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় এক বেলা খেতে পারলে পরের বেলা খেতে পারে না।তার প্রতি কেউ মায়া দেখিয়ে এক বেলা খাওয়ালো,এটা হচ্ছ পথ শিশুদের প্রতি ভালোবাসা। মানুষ ছোট বেলায় শিশু থাকলেও বৃদ্ধ কালে বুড়ো হলেও ছোট কালের মতো অবুঝ হয়ে যায়।তার সকল প্রকার সেবা করার মধ্যে কেউ কেউ ভালোবাসা খুঁজে পাই।
তাছাড়া একজন পুরুষ আর একজন নারীর মাঝে যে ভালোবাসা আমরা দেখি তা হলো স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা। স্বামী কে আদর যত্ন করার মধ্যে কেউ কেউ ভালোবাসা খুঁজে পাই।কেউ কেউ স্বামীকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গনের মাধ্যমে ভালোবাসা খুঁজে পাই।
ভালোবাসা খুঁজার অনেক পথ আছে যা মানুষকে মরিয়া করে ফেলে।সেই মানুষটি ছাড়া পুরো পৃথিবীটা শূন্য লাগে।ভালো লাগার জিনিস
টাই যদি না থাকো তাহলে ভালোবাসার কোনো মূল্য থাকে না।সেই বস্তুটি মূল্যহীন হয়ে যায়।তাই ভালোবাসার প্রথম শর্তই হচ্ছে ভালো লাগা।আর সেই ভালোবাসা থেকেই ভালোবাসা শুরু হয়।
আমরা স্কুল, কলেজে অনেক ছেলে-মেয়ের কথা শুনি তারা প্রেম করে। আসলে সেটা প্রেম না,সেটা কিছু মূহুর্তের আকর্ষণ মাত্র। কিছুদিন পরে সময় আর পরিস্থিতের চাপে, ভালোবাসার সব বুদ চলে যায়।তাই ভালোবাসা কোনো আনজাম প্রেম না যে প্রথম দেখায় হয়ে যাবে।
তাই আগেই বলেছিলাম ভালোবাসাকে কখনো সংজ্ঞায়িত করা যায় না।ভালোবাসা একেক জনের কাছে একেক রকম হয়ে থাকে।
তাই যে যার মতো ভালোবেসে যান প্রিয় ব্যাক্তিকে বা বস্তুকে। আর তাকে খুশি করার মাধ্যমে বেঁচে থাকুক আপনাদের ভালোবাসা আজীবন। ভালো লাগায় ভালোবাসা, আপনার সঙ্গী হয়ে থাকুক আজীবন।ভালো থাকুন ভালোবেসে, ভালোবাসার মানুষটিকে ঘিরে।
চাকরি পাওয়া কি আসলেই সোনার হরিণ
বর্তমান সময়ে চাকরির বাজারে হাহাকার কথাটি সকলের মুখে প্রায় শুনা যায়। চাকরি পাওয়া বর্তমানে সোনার হরিণ হয়ে দাড়িয়েছে। চাকরি পাওয়া...