মানুষের মনের ভাবকে দীর্ঘদিন স্থানীয় করতে মানুষ ডাইরি ব্যবহার করে।ঠিক তেমনি আজ ডায়েরি নিয়ে একটি গল্প লিখবে।
সুজন আর সাথীর ৫ বছরের সম্পর্কে অতিবাহিত হচ্ছে। কিন্তু পরিবারের জন্য সাথী তার ভালোবাসার কথা তার বাবাকে বলতে পারছে না,যদি তার বাবা তার ওপর রাগ করেন।আর এমনিতেই সাথীর বাবা খুবই রাগী।সুজন সাথীকে কল দিয়েছে আজই তাদের শেষ দেখা হবে।তাই সাথী নীল শাড়ী পরে,কপালে লাল টিপ দিয়ে,ঠোঁটে লাল লিপিসটিক দিয়ে যাচ্ছে। সেই চিরো চেনা নদীর পাড়ে,যেখানে সুজন আর সাথীর প্রথম দেখা হয়েছিল।সাথী গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,সুজন কিছুখন পর আসলো।সাথী অনেক বুজালো,কিন্তু সুজন শুধু কেঁদেই যাচ্ছে। কিন্তু সাথীর কিছু করার নেই।তাই সে বাড়িতে এসে পড়লো।আর এসেই কাঁদছে আর ডাইরিতে তার সাথে সুজনের যা যা হয়েছে এবং আজকের দিনের কাহিনিও লিখে রাখছে।
এর পর আর সুজনের সাথে সাথীর দেখা হয়নি।তার দুই দিন পরই সাথীর গায়ে হলুদ।বিয়ে বাড়িতে সবাই যার যার মতো আনন্দ করছে।কিন্তু যার বিয়ে তার মনেই কোনো আনন্দ নেই।তাই সে তার মনের সুখে কাঁদছে দরজা বন্ধ করে।গায়ে হলুদও আজ শেষ হয়ে গেল।কাল সাথীর বিয়ে।তাই সাথীকে সবাই মিলে সাজাতে লাগলো,সাথীকে আজ পরীর মতো লাগছে।হালকা মেকাপে লাল শাড়িতে।সাথীর ছোট ফুপু সাথীর জন্য গহনা খুজতে খুজতে সাথীর ডাইরি পেয়ে যায়।সে ডায়েরিটা পড়তে থাকে।ফলে সে,সাথী আর সুজনের সব রকম সম্পর্ক জেনে যায়।সাথে সাথেই সাথীর বাবাকে জানাই,আর তার বাবা সাথেই বিয়ে বন্ধ করে সুজনকে কল দেয়।কিন্তু কলটি সুজন না ধরে সুজনের বাবা ধরে।ফলে সুজনের বাবাকে সুজনের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে সুজনের খোঁজ সে জাননে না।তার পর সাথীর বাবা সাথীর কাছে এসে বলতেছে,আমাকে বললেই “পরতি,দেখতি আমি রাজি হয় কি না,আমাকে না বলেই তোর জীবনটা শেষ করতে যাচ্ছিস”। সাথী কেঁদে দিয়ে বলে “কি করবো বাবা,তুমাকে যে বড্ড ভালোবাসি”।তখন সাথী সুজনকে কল দেয় কিন্তু সুজন কল আর ধরে না।সে বুঝতে পারে সুজন কোথায় আছে।তাই সে সেই চিরচেনা নদীর পাড়ে চলে যায়,বউ সাজে।সুজন সাথীকে দেখে খুব অবাক।সাথী সুজনের হাত ধরে টেনে বলতেছে চলো কাজী অফিসে যায়।সুজন তো অবাক,ব্যপারটা কি।সুজনকে কাজী অফিসের সামনে নিয়ে যায়।আর তখন গিয়ে দেখে সাথীর বাবা আর সুজনের বাবা-মা এক সাথে দাঁড়িয়ে আছে।সুজন দেখেই বুঝতে পেরেছে, হয়তো সাথীর বাবা তাদের কে মেনে নিয়েছে।তাই সুজন তাদেরকে দেখে মুছকি হাসি দেয়। তখন সাথীর বাবা সুজনকে নিয়ে কাজী অফিসে ঢুকে সাথী আর সুজনকে বিয়ে করিয়ে দেয়।ফলে দুজনের ৫ বছরের ভালোবাসা আজ স্বার্থক হলো,বিয়ের মাধ্যমে।