আসসালামুআলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকেন এটাই কাম্য। আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো এক রহস্যময় ঘটনা। আপনারা যারা রহস্যের গল্প করতে অনেক পছন্দ করেন তাদের কাছে গল্পটি অসাধারণ লাগবে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি। ঢাকাতে একটা বড় মাপের শিল্পপতি ছিলেন তার ছিল দুই ছেলে এবং একটি মেয়ে। একবার ভ্যাকেশনের সময় তার ছেলেমেয়েগুলো দাবি করলো যে তারা ঘুরতে যাবে। তারা সিলেটের চা বাগানে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল অনেক খোঁজাখুঁজির পর তারা একটি বাংলো ম্যানেজ করতে সক্ষম হলো। তবে সেই বাংলাতে শুধুমাত্র একটি কেয়ারটেকার ছাড়া আর কেউ ছিল না তাদের থাকার আগেই কেয়ারটেকার তাদের সতর্ক করে দিল যে এই বাগানে কিন্তু ভূত আছে। আপনারা সাবধানে চলাচল করবেন। সবথেকে ভালো হয় যদি আপনারা এই কেয়ারটেকার এর কথা শোনেন। আপনারা চাইলে এখনি অন্য কটেজ ঠিক করতে পারেন। আমি আপনাকে হেল্প করব। তারা কেয়ারটেকারের কথায় কান দিলো না। কেয়ারটেকার আরও জানিয়ে দিল যে মাঝরাতে এই বাংলাতে একটি মেয়ের কান্নার শব্দ শোনা যায।় এটা শোনার পরেও তারা খুব একটা বিচলিত হলো না কারণ তারা এসবে বিশ্বাস করে না। পরের দিন ঠিক ভোরবেলায় বাগানে মেয়েটির লাশ খুঁজে পাওয়া গেল। বোনের লাশ দেখে দুই ভাই কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং পুলিশে ফোন দেন। কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ বাগান বাড়িতে এসে হাজির হলো। পুলিশ বাগানের কেয়ারটেকারকে তলব করলেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। কেয়ারটেকার তাদের বললেন যে এ ব্যাপারে তিনি সঠিক কিছু জানেন না তবে তার মনে হয় যে কোন হিংস্র পশু এমন কাজ করেছে অথবা এখানে রাত্রে যে ভূত চলাচল করে সেই করেছে। পুলিশ তখনও কিছু বলল না শুধু বলে গেল আপনাকে যখন থানায় ডাকবো তখন হাজির হবেন। এরপর পুলিশ মেয়েটির দুই ভাই কেউ কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করে তারপর থানায় ফিরে গেলেন। যাবার সময় গোপনে মেয়েটির একটি ভাইকে পিস্তল দিয়ে গেলেন আর বললেন যে বা যারা আপনার বোনকে হত্যা করেছে তারা চাইলে কিন্তু আপনাকে মারতে আসতে পারে তাই সাবধানে থাকার জন্য আপনাকে এটা দিয়ে গেলাম। এরপরের দিন সবকিছু ঠিকঠাকই চলল। তারপরের দিন রাত্রে হঠাৎ করে মাঝরাতে আবার সেই মেয়েটির কান্না শুনতে পাওয়া যায়। এবার যে ভাইটির কাছে পিস্তল ছিল তিনি পিস্তল নিয়ে আস্তে আস্তে বাগান বাড়ির দিকে এগিয়ে গেলেন। তারপর অন্ধকারে আচমকা কিছু গোলাগুলি ছুড়লেন এরপর থেকে শব্দটা আর খুঁজে পাওয়া গেল না। ঠিক তখনই তিনি থানায় আবার ফোন দেন। থানা থেকে পুলিশ আসার পর বাড়ির কেয়ারটেকার কে খোঁজ করেন। তাকে খুঁজে না পেয়ে তার বাড়িতে গিয়ে হাজির হলেন। গিয়ে দেখলেন তিনি কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন তার জ্বর হয়েছে তাই আজ কাজে যাইনি। পুলিশ যখন ফিরে যেতে যাবেন তখন হঠাৎ খেয়াল করলো যে তার পায়ের কাছে কাঁথার একপাশে রক্তেভেজা। তখন পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি আমতা আমতা করতে থাকেন তখন পুলিশের আর কিছু বোঝার বাকি থাকল না। তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে আরো ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন তখন কেয়ারটেকার সবকিছু স্বীকার করে বললেন এই বাগান বাড়ির মালিক অনেক দিন ধরে দেশের বাইরে, আমি চেয়েছিলাম এই বাগান বাড়িটি বিক্রি করে চলে যাব। কিন্তু আমি যেদিন বিক্রি করতে চাইলাম ঠিক সেদিনই ওনার ঢাকা থেকে এসে হাজির হলেন। তাই আমি পেয়েছিলাম তাদেরকে ভূতের ভয় দেখিয়ে খান থেকে বিদায় করব। কিন্তু সব কিছু বলার পরেও তারা এখান থেকে যায়নি। ওই দিন রাত্রে আমি টেপরেকর্ডারে একটা মেয়ের কান্নার আওয়াজ বাজাচ্ছিলাম। ওই দুই ভাইয়ের বোন রাত্রে এসে আমাকে দেখে ফেলে আর সবকিছু জেনে যায়। তখন মেয়েটিকে হত্যা করা ছাড়া ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না। এজন্যই আমি মেয়েটিকে হত্যা করি। কিন্তু বিশ্বাস করেন স্যার আমি এমনটা কখনোই চাইনি, আমি শুধু চেয়েছিলাম এই বাগান বাড়ি বিক্রি করে বিদেশ পালিয়ে যাব। কিন্তু তা করার আগেই সবকিছু উলটপালট হয়ে গেল। সবকিছু জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ তাকে হাজতে রেখে দিল এবং কিছুদিন পর তাকে আদালতে হাজির করা হলো এবং ফাঁসি দেওয়া হলো।আজকের এই গল্প যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রচুর পরিমাণে শেয়ার করুন।
জীবন ছায়া (গল্পের নবম পর্ব )|
অনিকের এসে বলে মায়া সুমন চলে গেছে |হ্যা মা চলে ও চলে গেছে |এই বলে মায়া কেঁদে দিলো | কিরে...