চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনার ভাইরাস ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এখন পর্যন্ত, বিশ্বজুড়ে করোনার ভাইরাসের কারণে ৮০,১২৮ জন লোক আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে, ৭৭,৬৫৮ জন লোক কেবল চীনে। বিশ্বে অসুস্থ মানুষদের মধ্যে ২৭০০ জন মারা গেছেন। মোট হতাহতের মধ্যে ২৬৬৩ জন কেবলমাত্র চীন থেকে। এই ভাইরাসটি ভারত, আমেরিকা, তিব্বত, থাইল্যান্ড, জাপান এবং মঙ্গোলিয়ায় মানুষকে ধরছে। চীনের উহানের হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সম্পর্কে সাম্প্রতিক এক গবেষণা অনুসারে অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, শুকনো কাশি, পেশী ব্যথা, শ্বাসকষ্ট।
করোনার ভাইরাস কী?
করোনার ভাইরাস এমন ভাইরাসজনিত একটি পরিবারে অন্তর্ভুক্ত যার সংক্রমণ থেকে সর্দি থেকে শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত সমস্যা হতে পারে। এই ভাইরাস এর আগে কখনও দেখা যায়নি।
ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। ডাব্লুএইচও এর মতে, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট হওয়া এর লক্ষণ। এখনও অবধি ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার জন্য কোনও ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়নি।
এই রোগের লক্ষণগুলি কী কী?
তথ্য মতে, এর সংক্রমণের কারণে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, নাকের প্রবাহ এবং গলা ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই ভাইরাসটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। অতএব, এ সম্পর্কে দুর্দান্ত যত্ন নেওয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরে চিনে ভাইরাসটি প্রথম ধরা পড়ে। এটি অন্যান্য দেশে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কী কী?
স্বাস্থ্য মন্ত্রক করোনার ভাইরাস প্রতিরোধে নির্দেশিকা জারি করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত। অ্যালকোহল-ভিত্তিক হাত ঘষাও ব্যবহার করা যেতে পারে।
– কাশি এবং ছোলার সময় নাক এবং মুখ রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে ডেকে রাখুন।
– যাদের ঠান্ডা ও ফ্লুর লক্ষণ রয়েছে তাদের থেকে দূরে থাকুন। ডিম এবং মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
– বন্য প্রাণীদের সাথে যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন।