আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই , বাংলাদেশের মেঘের দেশ সাজেক ভ্রমণের সৌন্দর্যটা নিয়ে। তো চলুন শুরু করা যাক।
প্রথমে জানা দরকার সাজেক কোথায়। সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার একটা ইউনিয়ন এবং ইউনিয়নটাকে বাংলাদেশের সবথেকে বড় ইউনিয়ন বলা হয়। এ সাজেকের অবস্থান কিন্তু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফিট উপরে এবং এত উপরে যা রাঙামাটির ছাদ বলা হয় এ সাজেক কে। সাজেকের নামকরণ নিয়ে এবার বলি। আসলে এখানে সাজেক নামের একটা নদী আছে। যে নদীর সূত্র ধরে এ এলাকার নামকরণ করা হয় সাজেক। আরে নদীটাকে হচ্ছে বাংলাদেশের এবং ভারতের সীমানা হিসেবে কাউন্ট করা হয়। ভারতের মিজোরাম এলাকাকে বিভক্ত করেছে বাংলাদেশ থেকে এ নদী। সাজেকে যেতে হলে খাগড়াছড়ি দিয়ে যেতে হয়। তার কারণ হচ্ছে রাঙামাটির শহর থেকে সাজেকের দূরত্ব হচ্ছে ৯৫ কিলোমিটার। আর খাগড়াছড়ি শহর থেকে সাজেকের দূরত্ব হচ্ছে মাত্র ৬৭ কিলোমিটার। আর এ কারণে আমরা প্রধানত সবাই রাঙ্গামাটি না হয়ে খাগড়াছড়ি দিয়ে যেতে চাই। আর খাগড়াছড়ির স্থলপথটা অনেক ভালো। এবার বলি বাসের কথা। আমরা ঢাকা থেকে কিভাবে খাগড়াছড়ি যাব। খাগড়াছড়ি যাওয়ার জন্য অনেকগুলো পরিবহন আছে। আমরা সেন্ট মার্টিন পরিবহন পাব, হানিফ পাব, শ্যামলী পাব। এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দ মতো যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন। খাগড়াছড়ি যাওয়ার পর সাজেকে কোথা থেকে রওনা দিব।
খাগড়াছড়ি জেলার প্রাণকেন্দ্র শাপলা চত্বর ওইখান থেকে গাড়িতে করে সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেন। এবার বলি রিসোর্স এর কথা। সাজেকে পৌঁছানোর পর আপনাকে কোথাও না কোথাও থাকতে হবে। সে থাকার ব্যবস্থা অনেকে ঢাকা থেকে করে যায়, আবার কেউ সেখানে গিয়েও ঠিক করতে পারে। তবে আপনাদের সাজেস্ট করব সাজেক যাওয়ার আগে আপনি আপনার রুম কনফার্ম করে নিন। সাজেকে সৌন্দর্য এক কথায় অসাধারণ। চারদিকের শীতল পরিবেশ দেখে আপনার মনে হতে পারে এটা হয়তো একটি শীতকাল। কিন্তু না। এটি হচ্ছে মেঘ। সাজেকের পুরো এলাকায় থাকে মেঘে ঢাকা। কখনো কখনো মেঘের আড়ালে হারিয়ে যায় পাহাড়ে চূড়া। দূরের দৃষ্টি ফেললে দেখা যায় ভারতের মিজোরাম পাহাড়।
আগামী দিন নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব। ধন্যবাদ সবাইকে।