আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর সম্পর্কে কিছু তথ্য। তো চলুন শুরু করা যাক। দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশির বুকে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ পেতে চাইলে চলে আসুন কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী হাওরে। বিশাল বেরিবাঁধের এক পাশে সাগর সমান পানির রাজ্য দ্বীপের মতো ভেসে থাকা ছোট ছোট গ্রাম, দুপাশে পানি নিয়ে মাঝে বয়ে চলা সরু রাস্তা, মাছ ধরতে জেলেদের ব্যস্ততা, দিগন্তে রঙিন সূর্যাস্ত এবং খাবারের জন্য আছে হাওরের তরতাজা মাছ, এ সবকিছু মিলিয়ে নিঃসন্দেহে হাওর ভ্রমণ হতে পারে আপনার জীবনে মনে রাখার মত একটি সেরা ভ্রমণ। ঢাকা বা কিশোরগঞ্জ জেলার আশপাশ থেকে একদিনে ঘুরে আসতে পারবেন নিকলী হাওরে। ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে এ দুইভাবে নিকলী হাওরে যেতে পারবেন।
ঢাকা থেকে ট্রেনে একদিনে ঘুরে আসতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই আন্তঃনগর ১১০০ এর প্রভাতী ট্রেনে আসতে হবে। এ ট্রেন বুধবারের ছাড়া কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল ৭টায় বিমানবন্দর, টঙ্গী, নরসিংদী এবং ভৈরব স্টেশন হয়ে কিশোরগঞ্জ আসে। ট্রেনের টিকিটের ভাড়া ১২৫ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। স্টেশন থেকে সিএনজি বা গাড়ি দিয়ে আসতে পারেন নিকলী বাজারে। এখান থেকে নিকলী যেতে প্রায় সময় লাগবে ১ ঘন্টা। সিএনজি রিজার্ভ নিলে খরচ হবে ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকা। আর সময় লাগবে প্রায় ৪০ মিনিট। দিনে ঘুরে রাতে ফিরে আসতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সকাল ৭টার আগে বাসে রওনা দিতে হবে। আর যদি কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে নিকলে যেতে চান তাহলে কিশোরগঞ্জ রেল স্টেশন সংলগ্ন নিকলীগামী সিএনজি রেলওয়ে স্টেশনে চলে আসুন।কিশোরগঞ্জ শহর থেকে নিকলী দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। সিএনজি স্টেশন থেকে লোকালে অথবা সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে নিকলী যেতে প্রায় ১ ঘন্টার মত সময় লাগে।আগামী দিন নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব। ধন্যবাদ সবাইকে।