আসসালামু আলাইকুম
হে আমের প্রান প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সকলে কেমন আছেন,আশা করি আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভাল আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি,তাই সকলে মিলে শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব তাহল কীভাবে নিজের জীবনকে গড়ে তোলবেন? আসলে প্রত্যেক মানুষ চায় তার জীবনটা সুন্দর হোক।কিন্তু সুন্দর পদ্বতি না জানার কারনে আমরা আজ হতাশ হয়ে আল্লাহ তায়ালার রহমত হতে নৈরাশ হয়ে যাই।অথচ আল্লাহ তায়ালা মহা পবিএ আল কোরআনে বলরছেন যে,তোমরা আমার রহমত থেকে নৈরাশ হইওনা।তো বন্দুগন আমাদের নৈরাশ হওয়ার একমাএ কারন হল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বালা মসিবতে নিপতিত হওয়া।যখন বান্দা মসিবতে নিপতিত হবে তখন এর মোকাবেলায় আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যখন তোমরা বালা মসিবতে নিপতিত হও তোমরা তখন নামাজ এবং ধৈর্য এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কর। তো বন্ধুগন আমরা যখন বিপদে পড়ি তখন আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা না করে আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করি,যার ফলে আমাদের মসিবত কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে দাঁড়ায়।ফলে আমরা আল্লাহ তায়ালার রহমত থেকে নৈরাশ হয়ে যাই।এটাই আমাদের অধপতনের মূখ্য বিষয়। ইসলামি ইতিহাসের একটি বিশাল ঘঠনা রয়েছে যা আমি সংক্ষেপে বলতেছি।বদর এর যুদ্ধ হল আল্লাহর বিশাল রহমতেরর একটি যুদ্ধ।কাফেররা সংখ্যায় মুসলমানদের থেকে তিন গুন ছিল,মুসলমানদের সৈন্য সংখ্যা ছিল ৩১৩ জনআর কাফেরদের সৈন্য সংখ্যা ১০০০ জন। কাফেরদের হাতিয়ার ছিল ব্যাপক আর মুসলমানদের হাতিয়ার খুব কম । যুদ্ধ শুরু হল কাফেররা আক্রমন করা আরম্ভ করল তারা একে একে মুসলমান সৈন্যদলকে হত্যা করতে থাকে।বিশ্বনবী সাঃ আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ হলেন না ,দু হাত তোলে আল্লাহর কাছে আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করেন,আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে নির্দেশ আসে বিশ্বনবী সাঃ যেন এক মুঠ বালি কাফের দিকে নিক্ষেপ করে। বিশ্বনবী সাঃ এক মুঠ বালি কাফেরদের দিকে নিক্ষেপ করেন সাথে সাথে কাফেররা অন্ধ এবং দিশেহারা হয়েগেল ।তারা রনক্ষেএ ছেড়ে পালাতে লাগল।মুসলমান সৈন্যরা কাফেরদেরকে হত্যা ও বন্দি করল।মুসলমানরা বিজয় লাভ করল।আল্লাহর রহমত বর্ষিত হওয়ার কারনে মুসলমানরা বিজয় লাভ করে।মৃত্যুর মত বয়াবহ অবস্থায় বিশ্বনবী সাঃ আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ হন নাই।
অতএব আমরা যদি আমাদের জীবনের কঠিন সময়েও আল্লাহর রহমত এর উপর অটল থাকি তাহলে আমরা কোনদিনও ব্যার্থ হবনা ইনশাআল্লাহ।