বর্তমান সময়ে ফেসবুক বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া। কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী ও প্রাপ্তবয়স্করাও প্রতিনিয়ত ঘন্টার পর ঘন্টা এই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস, ছবি ও ভিডিও ইত্যাদি দেখে সময় ব্যয় করে। এক গবেষণা থেকে জানা যায়, এই ফেসবুকের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি আমাদের সময়, মানসিক প্রশান্তি ও স্বাস্থ্য নষ্ট করে থাকে।
কিন্তু আমরা একটু সচেতন হলেই এই বিষয়গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পারি। যাই হোক আমাদের আজকের মূল বিষয় নিয়ে কথা বলা যাক। বর্তমানে সারাবিশ্বে প্রায় দুইশো কোটিরও অধিক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছে। সঠিক কিছু পদ্ধতি অবলম্বন এর মাধ্যমে ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তো চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন উপায় অবলম্বন এর মাধ্যমে আমরা ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবো।
প্রথমে নিজেকে প্রস্তুত করুনঃ নিজেকে প্রস্তুত করা বলতে বোঝানো হচ্ছে ফেসবুকে কাজ করে উপার্জনের জন্য নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করা বা উপস্থাপন করা আপনার দক্ষতা উপস্থাপনা যত ভালো হবে অর্থাৎ আপনার কাজ যত ভালো হবে উপার্জনের সম্ভাবনা ততো বেশি তৈরি হবে।
ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ তৈরি করাঃ যখন আপনি আপনার কাজে যথেষ্ট দক্ষ হয়ে উঠবেন, যেমন ধরুন লেখালেখি, ভিডিও তৈরি, গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ফটোগ্রাফি ইত্যাদি যেকোনো কাজই হোক না কেন প্রথমে সেই কাজে দক্ষ হওয়ার পর ফেসবুকে পেজ অথবা গ্রুপ তৈরি করা। আপনি যে টপিক নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক সেই বিষয়ে একটি পেজ ও গ্রুপ তৈরি করুন।
পেজে ও গ্রুপে অডিয়েন্স তৈরি করাঃ পেজ বা গ্রুপ তৈরীর পর আপনার প্রথম কাজ হলো অন্য যেসব ফেসবুক ইউজার রয়েছে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তার জন্য ভাল কনটেন্ট আবশ্যিক। যত বেশি সম্ভব ভাল ভাল কনটেন্ট উপহার দিতে হবে আপনার অডিয়েন্সকে। যখন আপনার পেজ বা গ্রুপ অডিয়েন্স থেকে ভাল রেসপন্স পেতে থাকবে, তখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো আপনার ওয়েব সাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করার জন্য ভাল ভাল আর্টিকেল সাইটে পাবলিশ করুন ও সেই আর্টিকেলগুলো কে ফেসবুক পেজ ও গ্রুপের শেয়ার করুন।
ফেসবুক থেকে কি কি উপায়ে অর্থ উপার্জন করা যায়ঃ উপরে উল্লেখিত কাজগুলো সম্পন্ন করার পর আপনি ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন। তো চলুন এবার জানা যাক কিভাবে ও কি কি উপায়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়?
প্রোডাক্ট সেল করাঃ বর্তমানে আপনি যে কোন ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে এই ফেসবুক আপনাকে দারুণভাবে সহায়তা করবে। আপনার পেজের মাধ্যমে প্রোডাক্ট এর ছবি মূল্য ইত্যাদি অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য মাধ্যমে সহজেই বিক্রি বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়ঃ বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আপনার জন্য ইউনিক আইডি ও বিভিন্ন মার্কেটিং জিনিস পত্র প্রদান করবে আপনার ব্যবসা জেনারেটর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এই পদ্ধতিতে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বিভিন্ন ছোট-বড় কোম্পানির এফিলিয়েটর হিসেবে জয়েন করে তাদের পণ্য গুলো আপনার পেজের মাধ্যমে বিক্রি করলে সেখান থেকে ভালো পরিমাণ এর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনার পেজ ও গ্রুপ এর অডিয়েন্স যত বেশি হবে এবং অডিয়েন্স যত বেশি রেসপন্স করবে তত বেশি আপনার উপার্জনের পরিমাণ বাড়তে থাকবে।
কিভাবে ফেসবুক থেকে উপার্জনের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব?
ব্যবসার ক্ষেত্রে সহজ একটা ফর্মুলা হলো আপনার প্রডাক্ট বা সার্ভিস যত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন ততবেশি বিক্রি সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে এ ক্ষেত্রে পণ্য বা সার্ভিস এর মান অবশ্যই ভালো হতে হবে।
ফেসবুকের ক্ষেত্রেও এটি একই রকম। আপনি যদি অল্প সময়ের মধ্যে অধিক মানুষের নিকট আপনার পণ্য বা সেবা পৌঁছাতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার পেজটি বুস্ট করতে পারেন। পেজ বুস্ট করার সময় আপনার পণ্য বা সার্ভিস কি ধরনের মানুষের কাছে ও কোন বয়সের মানুষের কাছে পৌঁছাতে চান তা নির্ধারণ করে দেয়ার চেষ্টা করুন।
উপরিউক্ত উপায় গুলো সঠিকভাবে অবলম্বনের মাধ্যমে আপনি ইনকামের। পরিমাণ বাড়াতে পারবেন সব সময় সঠিক উপায় অবলম্বনের মাধ্যমে ধৈর্য সহকারে চেষ্টা করুন এবং এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ইন্টারনেটে বেশি বেশি রিসার্স করুন। তাহলে অবশ্যই কাজে সফল হতে পারবেন।