করোনা ভাইরাস এখন সারা দুনিয়ার একটা বিপদের নাম যার কারনে ৫৬ হাজার মানুষ মারা গেছে। যার কারনে ১০ লক্ষ মানুষ আজ আপন জনদের কাছ থেকে দূরে রয়েছে। এই রোগ থেকে শুধু যুবক রাই বেশি মুক্তি পায়। শিশু বৃদ্ধদের এই রোগ হলে তারা মারা যেতে পারে। এই রোগ এর কোন ওষুধ এখন বের করতে পারেনি কোন দেশ। তবে অনেক দেশিই দাবি করেছে তাদের যদি এক বছর বা দেড় বছর সময় দেওয়া হয় তাহলে তারা এই রোগের ওষুধ বের করতে পারব।এই রোগ থেকে বাচার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। সচেতন হলেই এই রোগ থেকে বাচা যাবে।
এই রোগে আক্রান্তের কারনঃমূলত বায়ুমন্ডলে মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।ভাইরাস আছে এমন কোন কিছু স্পর্শ করে হাত না ধুয়ে মুখে, নাকে, চোখে লাগালে এই রোগ হয়।আক্রান্ত ব্যাক্তির হাচি,কাশির মাধ্যমে।আক্রান্ত ব্যাক্তিকে স্পর্শ করলে।পয়ঃনিষ্কাশনের মাধ্যমে।
এই রোগের লক্ষনগুলো হলঃসর্দি,কাশি,জ্বর,গলা ব্যাথা ও মাথা ব্যাথা। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে নিউমনিয়া রোগ দেখা দেয়।বার বার অজ্ঞান হয়ে যায়।প্রচন্ড জ্বর সাথে শ্বাস কষ্ট হয় এবং শারিরীক দুর্বলতা দেখা দেয়।
এই রোগ থেকে বাচার উপায়ঃখাবার আগে ও পরে, হাচি কাশির পর বা হাত ময়লা হলে সাবানন দিয়ে হাত ধুতে হবে।ঘরের বাইরে ও জন বহুল ও গন পরিবহন স্থানে মাস্ক ব্যবহার করা।জন সম্মুখে হাচি কাশির সময় রুমাল টিস্যু বা হাত এর কনুই এর উপরের অংশ ব্যবহার করা। জ্বর, মাথা ব্যাথা, শ্বাস কষ্ট দেখা দিলে ডাক্তার এর কাছে যাওয়া। হাত না ধুয়ে কোন কিছু না খাওয়া এবং চোখ মুখে নাকে হাত না দেওয়া। ঠান্ডা জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকা।ডিম গোশত মাছ ভাল ভাবে রান্না করে খাওয়া। অসুস্থ ব্যক্তির খুব কাছে না যাওয়া তিন মিটার দূরে অব্যবস্থান করা। কোন পশু পাখি হাত দিয়ে না ধরা ধরলেও সাবান দিয়ে হাত দোয়া।সব সময় কম পানি গ্রহন করুন।ময়লা কাপড় বেশি দিন ব্যবহার না করা। ধুয়ে পরিস্কার করা। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা যাবে না।
কখন হাত ধৌত করতে হবেঃখাবার গ্রহন এবং খাবার প্রস্তুত করার আগে ও পরে।বাথরুম থেকে আসার পর। হাচি কাশি দেওয়ার পর।রোগিকে সেবা দেওয়ার পর।কোন কিছু স্পর্শ করার পর হাতে ময়লা হলে।
এই রোগ থেকে বাচার জন্য এই সূরাটি আমরা বেশি বেশি পাঠ করবো তা হলোঃ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারাছি,ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি মিনাল সায়্যিইল আসক্বাম।