শিক্ষা জীবনকে বলা হয় ভবিষ্যৎ গঠনের উত্তম সময়। কারণ একজন শিক্ষার্থীর আচার, আচরণ দক্ষতাই বলে দিবে সে ভবিষ্যতে নিজেকে কেমন মানুষ হিসেবে গঠন করবে। শিক্ষা জীবনে আপনি যে শিক্ষা অর্জন করবেন ভবিষ্যতে আপনার কর্ম জীবনে সেই শিক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। তাই নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন একজন শিক্ষার্থীর জীবনে শিক্ষা জীবনের প্রতিটি পর্যায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
একজন শিক্ষার্থীকে তাই শিক্ষা জীবনের প্রতিটি পর্যায়কে খুবই সঠিক উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।নিজেকে ভবিষ্যতের কান্ডারি হিসেবে গঠন করতে হলে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ছাত্র জীবন থেকে একটু একটু করে ভবিষ্যৎ জীবনের প্রস্তুতি নিতে হবে।নিজেকে শিক্ষা জীবনে পাঠ্য পুস্তক এর পাশাপাশি নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর উপর কাজ করতে হবে। তাই আজ এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যা আপনাকে ভবিষ্যৎ এর জন্য অনেকটা এগিয়ে রাখবে।
১.শিক্ষা জীবনে কম্পিউটার এর উপর পুরোপুরি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বাংলা এবং ইংরেজি টাইপিং নখ দরপনে রাখতে হবে।
২.বিভিন্ন ডকুমেন্ট তৈরির পাশাপাশি, পিডিএফ ফাইল তৈরি করা জানতে হবে।
৩.মাইক্রোসফট এক্সেল,মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট এর কাজ জানার দক্ষতা অর্জন করতে হবে ছাত্রজীবনের শুরুতে।
৪.প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পাবলিক স্পিকিং।কারণ কর্ম জীবনের শুরুতেই তাকে অনেক মানুষের সাথে মিশতে হবে তখন এই দক্ষতা তাকে ভালোমতো কাজে দিবে।
৫.কর্ম জীবনে মানুষ প্রজেন্টেশনের মুখোমুখি হয়ে থাকে।তাই যদি কোন শিক্ষার্থী ছাত্র জীবন থেকে প্রজেন্টেশন এর দক্ষতা অর্জন করে থাকে তাহলে সেই শিক্ষার্থীর কর্ম জীবন হবে সাফল্য গাঁথা।
৬.পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস এর সাথে যুক্ত রাখতে হবে।
৭.ছাত্র জীবন থেকে নিজেকে সাবলম্বি মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পরিবারের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে হবে। সেই সাথে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার চেষ্টা করতে হবে।
৮.নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে নৈতিকতা মেনে চলার অভ্যেস করতে হবে।কারণ সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট বর্তমানে ডিজিটাল সিভি হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।
৯.বলা হয়ে থাকে বই মানুষের জীবনের উৎকৃষ্ট বন্ধু।তাই বই পড়ার অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে ছাত্রজীবন থেকে।
১০.কমিউনিকেশন বিল্ড আপ গড়ে তুলতে হবে সেই ছাত্র জীবন থেকে।
১১.ছাত্র জীবন থেকেই প্রতিদিন নতুন কিছু শিখার অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে।তার জন্য প্রয়োজন হলো কোন কিছু ভালো ভাবে রিসার্চ করার অভ্যেস গড়ে তোলা।কোন কিছু কেন হলো কিভাবে হলো সেই সম্পর্কে জানার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
১২.দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে ইংরেজি ভাষার উপর। কারণ ইংরেজি এমন একটি ভাষা যে ভাষা জানলেই আপনার ভালো মানের কাজ পাওয়া কেউ আটকাটে পারবেনা।
১৩.শিখতে পারেন বেসিক কিছু হার্ডওয়্যার এর দক্ষতা। যার মাধ্যমে আপনি নিজের সমস্যা নিজেই সমাধান করতে পারবেন।
জেনে নিন ফাস্ট চার্জিং এর খুঁটিনাটি এবং সঠিক ব্যবহার
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের জীবনকে প্রতিটি মুহূর্তে আরও এগিয়ে নিয়ে...