বর্তমান দুই হাজার বিশ সালকে বলা হয় করোনার ক্যলেন্ডার।একটু বিস্মিত হলেন তাইনা? হ্যাঁ দুই হাজার বিশ হলো করোনার সাল।।।
কারণ করোনা প্রথম শনাক্ত হয় চীনৈর উহান শহরে।।দিনটি ছিল দুই হাজার উনিশ সালের একত্রিশ এ ডিসেম্বর।এর নতুন ইংরেজি বছর থেকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এই করোনা।
এখন বর্তমানে এর প্রকোপ এতটাই বেড়ে গেছে যে সারা বিশ্ববাসী এখন আতঙ্কীত হয়ে আছে।
প্রকৃতির কি খেলা দেখুন।।এই বর্তমান সময়ে পাখিরা উড়ে বেড়াচ্ছে আর আমরা ঘরবন্দি।।কোন কোন দেশে চলছে লকডাউন।তারা একেবারেই ঘরের বাইরে বের হতে পারছে না।যেমন,বর্তমানে আমেরিকা হলো করোনা ভাইরাস এ আক্রান্তের মাঝে টপে আছে ।যেখানে দিন গেলে দুই থেকে আড়াই হিজার মানুষ না মরলেই না।আরো আছে ইতালি,ফ্রান্স রাশিয়া ইত্যাদি।একেই বলে নিয়তি।কার ভাগ্য এ যে কী লেখা আছে তা একমাত্র আমাদের সৃষ্টিকর্তাই বলতে পারে।তাই অহংকার টা বাদ দিয়ে আসুন একজন স্বাভাবিক মানুষের মত চলার চেষ্টা করি।।
যাইহোক আসল আলোচনাই আসা যাক।।
এখন করোনা ভাইরাস হলো এক ধরনের ভিন্নধর্মী ভাইরাস।এই ভাইরাস এ কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হলে জ্বর গলা ব্যথা মাথা যন্ত্রনা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।।কিন্তু জ্বর বা গলাব্যথা হলেই যে করোনা ভাইরাস এমন কোন কথা নেই।
এই কথাটি আমাদের সকলেরই জানাউচিত যে জ্বর কোন রোগ নয়।এটা সকল রোগের লক্ষণ।।।বর্তমানে এটা আমাদের দেশ বাংলাদেশের মানুষের মাঝেও ছড়িয়ে পড়েছে।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
কিন্তু ছড়িয়ে পড়েছে বলে আমাদের আতঙ্ককীত না হয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।একমাত্র সচেতনতাই পারে আমাদের এই মহামারী থেকে মুক্তি দিতে।।যখন এই রোগ বিদেশ অথাৎ চীনে প্রথম ধরা পড়ে তখন আমরা বলেছিলাম যে বিদেশেই তো হয়েছে আমাদের দেশে তো নয়! আবার যখন ছড়িতে যেতে থাকল তখন বললাম যে আমাদের দেশে তো কারো হয়নি।।তাহলে আবার কী?কিন্তু হঠাৎ করে যখন প্রথমে বাংলাদেশ এ একজন মাত্র মানুষের এই করোনা ভাইরাস ধরা পড়ল তখন একেবারে পাঁচ টাকার দশ টাকার মাস্ক দাম উঠে গেল চল্লিশ থেকে 50 টাকা।এছাড়াও বাড়ল অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।
হায়রে বাঙালী.।তোমরা এই মহা দূর্যোগের দিনে একটু সাহায্য করবে কি তোমরাই দেশের মানুষকে আরো দুর্দিনের দিকে নিয়ে যাচ্ছ।
এটাই আমাদের বাঙালি জাত।।
মাস্ক পরে কিছুই হয়না।মাস্ক ভাইরাস থেকে ঠেকাই চার পার্সেন্ট আর বেকটেরিয়া থেকে একটু বেশি ঠেকাই।।
আমি বলছিনা যে আপনারা কেউ মাস্ক পরবেন না।মাস্ক পরা ভালো।।
বাতাসের ধুলাবালি এর মধ্যে শুধু যে ভাইরাস থাকে তা কিন্তু নই।
এর সাথে অন্যান্য রোগ জীবাণু ও থাকে।মাস্ক আমাদের এগুলো থেকে রক্ষা করবে।।
আসুন আমরা সবাই একটু সচেতন হই।তাহলেই সম্ভব কিন্তু এই মহামারী থেকে বাচতে।
আর একটা কথা মনে রাখবেন আল্লাহ চাইলে কিই না করতে পারেন।।আল্লাহর ঊপর ভরসা করুন।বেশি বেশি বাড়িতে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।।
আল্লাহ নিশ্চই আমাদের ফেরাবে না ইনশাআল্লাহ।।
সকলকে ধন্যবাদ।।