তোমাকে যে পছন্দ করে তুমি তাকে পছন্দ করো না।
আবার তুমি যাকে পছন্দ করো,সে হয়তো তোমাকে পছন্দ করে না।এভাবেই আমাদের পছন্দের চক্রটা ঘুরতে থাকে।
আমরা ভালোবেসে কেউ কাউকে পাই না।কারন আমরা প্রত্যেকেই নিজের মনের মতো করে কাউকে কাছে পেতে চাই।
প্রতিটা মানুষেরই নিজস্ব একটা পছন্দ থাকে।এবং সেটা থাকবেই,এটাই তো স্বাভাবিক।
কিন্তু সেই পছন্দের উপর এতটাই জোর করা উচিত নয়,যাতে অন্য সব সৌন্দর্য গুলো তোমার কাছে না আসতে পারে।তাহলে তুমি বুঝতেই পারবে না আসল সৌন্দর্যটা আসলে কোথায়।সব সময় নিজের মনের দিকে তাকিয়ে থাকতে নেই।নিজের মনকে বিশ্বাস করতে নেই।কারন মন সব সময় সঠিক বলে না,মাঝে মাঝে ভুল ও বলে।
মন যদি সব সময় সঠিক ই বলতো,তাহলে এই জগতে কেউ দুঃখী হতো না,থাকতো না কারো কোনো কষ্ট।তাই মাঝে মাঝে মনের বিরুদ্ধে চলতে হয়..তাহলে মনের সাথে নিজের পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়।
~কথায় আছে মেয়েরা পছন্দ মত ছেলে খুঁজতে খুঁজতে এক সময় নিজেই বুড়ি হয়ে যায়।
আর ছেলেরা মনের মতো মেয়ে খুঁজতে খুঁজতে এক সময় মাথায় টাক পড়ে যায়।সর্বশেষে তাদের কপালে এমনই একজন জুটে যারা তাদের কল্পনার জগতেই ছিলো না।তোমার জীবনে হয়তো বার বার প্রোপোজ আসবে..কিন্তু ভালোবাসাটা বার বার আসবে না।কারন প্রোপোজ করাটা খুব সহজ কিন্তু প্রোপোজের মান রক্ষার্থে সেই অনুপাতে ভালোবাসাটা খুবই কঠিন।
~আমাদের মনটা আসলে সত্যিই আজব।যাকে পাবো না কখনো,বেহায়া মনটা তাকে নিয়েই ভাবে।তাকে কাছে পাবার জন্য আকুল হয়ে থাকে।
পৃথিবীতে যদি কঠিন কোনো কাজ থাকে তাহলে সেটা হলো নিজের মনকে বুঝানো।মন যাকে চায় তাকেই পেতে হবে।কিন্তু পাগল মনটা এটা বুঝতে চায় না। আমি যাকে চাই তার ও তো একটা স্বপ্ন আছে,তার ও তো একটা চাওয়া পাওয়া আছে।সে কি আদৌ আমাকে চায়….??
আমরা আসলেই বোকা যারা আমাদেরকে ভালোবাসে,
আমাদেরকে আগলে একটু বাঁচতে চায়,আমরা তাদেরকেই দূরে সরিয়ে দেই।অর্থ আর স্বার্থ মানুষকে পশু বানিয়ে দেয়,অর্থের গরমে অনেক চেনা মানুষের মুখ কেমন জানি অচেনা হয়ে যায়।আর স্বার্থ মানুষকে পশুর চেয়ে খারাপ বানিয়ে দেয়।মানুষ কখনো ইচ্ছা করে বদলায় না।যখন সে তার মনের ইচ্ছা পূরন করতে পারে না।ঠিক তখনই. আস্তে আস্তে বদলে যেতে শুরু করে।তাই সব সময় নিজের মনের ইচ্ছার দিকে না তাকিয়ে..পাশের মানুষ গুলো কি চায় সেটা ও মাথায় রাখা উচিত।