★প্রায় সবারই একটা না একটা মনের মানুষ থাকে,তাকে নিয়ে ছোট ছোট স্বপ্ন থাকে।কেউ তার স্বপ্ন গুলোকে পূরন করতে পারে।আবার কেউ পরিবারের দোহাই দিয়ে সুন্দর সম্পর্কটাকে শেষ করে দিচ্ছে। আরে তোমার পরিবারকে যদি তুমি এতই ভালোবাসো তাহলে কেনো মিথ্যা সম্পর্কে জড়ালে?কেনো একটা মানুষের অনুভূতি গুলো নিয়ে খেলা করলে?যাকে আপনার ভালো লাগবে না, তাকে সোজাসোজি বলে দিন,যে তোমাকে আমার ভালো লাগে না।শুধু শুধু তার সাথে মিথ্যা ভালোবাসার অভিনয় করে তাকে একটা সময় দূরে সরিয়ে দিবেন না।কারন কোনো কিছু না পাওয়ার কষ্ট সহ্য করা যায়।কিন্তু পেয়ে হারানোর কষ্টটা কখনোই সহ্য করা যায় না।
প্রায় সবার বাবা মা ই তার সন্তানকে অনেক ভালোবাসে,তারা চায় তার সন্তানটা সারা জীবন ভালো থাকুক,সুখে থাকুক।তবে কিছু বাবা মা আছে তারা সন্তানের ভালো চায়,অথচ সন্তানের ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দিতে চায় না।সেই সব বাবা মায়ের কাছে আমার অনুরোধ,নিজের ইচ্ছাটাকে সবসময় সন্তানের উপর চাপিয়ে দিবেন না।হয়তো তারা আপনার অনেক ছোট,কিন্তু তাদের ও তো একটা চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে।যারা সারা জীবন একসাথে থাকবে,তাদের জীবন সঙ্গী নির্বাচন করার অধিকার কি তাদের নেই।হয়তো আপনি তাকে জোর করে বিয়ে দিতে পারবেন।কিন্তু তার মনের সুখ এনে দিতে পারবেন না।
আজ হয়তো ছেলেটি বেকার,তাই আপনার তাকে পছন্দ হলো না,তার কাছে নিজের মেয়েকে বিয়ে দিলেন না।হয়তো অন্য একটা ধনীর সুন্দর ছেলের কাছে বিয়ে দিলেন,কিন্ত খেয়াল রাখবেন সেই ধনীর ছেলেটা যেনো পরকীয়া না করে।আপনার মেয়েকে উঠতে বসতে কথা না শুনায়।আপনার মেয়ের পছন্দ করা ছেলেটা হয়তো যোগ্য ছিলো না,তাই তাকে মেনে নিতে পারেন নি।কিন্তু একটা কথা শুনে রাখুন,এই পৃথিবীতে কেউ যোগ্য হয়ে জন্ম গ্রহন করে না তাকে যোগ্য করে নিতে হয়।তাই সেই সব বাবা মায়ের কাছে আমার অনুরোধ আপনার মেয়ে কাউকে পছন্দমতো করলে,তার সাথে তাকে এক করে দিন,অন্তত দুটো জীবন বাচবে হাসিখুশিতে।একটা কথা মনে রাখবেন,সম্পদ,আর সুন্দর চেহারা কখনো সুখ এনে দেয় না।মনের সুখই বড় সুখ।
আপনার ছেলে হয়তো গরীব একটা মেয়েকে পছন্দ করে,তাই আপনার তাকে পছন্দ হলো না।নিজের সিদ্ধান্তকে ছেলের উপর চাপিয়ে দিলেন।এতে কি হলো আপনার ছেলেটা কি সুখী হলো?না উল্টো সে তার ভালোবাসার মানুষটাকে না পেয়ে,আস্তে আস্তে তার জীবনটাই শেষ করে দিবে।
তাই নিজের চাওয়া পাওয়াটাকে সবসময় সন্তানের উপর চাপিয়ে দিবেন না।তাদের ও একটা মন আছে।তাই তাদের চাওয়া পাওয়ার মূল্য দিন।