আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।আজকে আমি আপনাদের জানাব করোনাভাইরাসের ধরন নিয়ে উঠে আসা গবেষণার চাঞ্চল্যকর তথ্য।
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব।পাশাপাশি থেমে নেই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার গবেষণা।ভারতেও করোনার বিস্তার ঘটেছে।আর সেখানকার বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে পেয়েছেন ভাইরাসটির ১১ ধরন।’ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিকেল রিসার্চ’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিকসের বিজ্ঞানী নিধান কুমার বিশ্বাস ও পার্থপ্রতিম মজুমদার গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের ৬ তারিখ পর্যন্ত ৫৫ টি দেশের ৩ হাজার ৬৩৬ জন করোনা রোগীর দেহে ভাইরাসের আরএনএ সিকুয়েন্স নিয়ে গবেষণা করেছেন।
এখন পর্যন্ত গবেষণা করে‘ও’, ‘এ২’, ‘এ২এ’, ‘এ৩’, ‘বি’, ‘বি১’সহ মোট ১১ ধরনের ভাইরাস মিলেছে।এর মধ্যে চীনে প্রথম সংক্রমণ ঘটায় ভাইরাসটির ‘ও’ ধরন।সবচাইতে বেশি সংক্রামক ঘটিয়েছে ‘এটুএ’ ধরন।এটি জানুয়ারি ২৪ তারিখ প্রথম ধরা পড়ে।মার্চ মাসের মধ্যেই অন্যসব ধরনকে হটিয়ে ৬০ % দেশে দখল নেয় ধরনটি।তারা আরো জানান,ইউরোপ-আমেরিকায় বেশি সংক্রমণ ঘটিয়েছে ‘এটুএ’।সেখান থেকে ভারতে এসেছে ‘এটুএ’।ইরানে সংক্রমণ ঘটিয়েছে ‘এ৩’।তবে ‘ও’ এবং ‘এটুএ’ বেশি শক্তিশালী।এর মধ্যে ‘এটুএ’ বেশি সংক্রামক।
‘এটুএ’র সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন দুই বিজ্ঞানী। তাঁরা জানান, চরিত্র অনুযায়ী করোনা ফুসফুসে ঢুকে সংক্রমণ ছড়ায়। ভাইরাসটির স্পাইকে থাকা প্রোটিন মানুষের ফুসফুসে থাকা ‘এসিই২’ প্রোটিনকে কাজে লাগিয়ে কোষের উপরিভাগে ‘অ্যাংকর’ করে বা জুড়ে যায়। এর পর ফুসফুসে উপস্থিত অন্য একটি প্রোটিন তাকে কোষের ভেতরে প্রবেশ করাতে সহায়তা করে। ‘এটুএ’র ক্ষেত্রে তার স্পাইকে থাকা অ্যামিনো এসিডটি ‘অ্যাসপারটিক এসিড’ থেকে বদলে ‘গ্লাইসিন’-এ পরিণত হয়।’ যা তার সংক্রমণ ক্ষমতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।দুই বিজ্ঞানীর মতে,যেহেতু ভাইরাসটির মধ্যে এত পরিবর্তন ঘটছে তাই এটির প্রতিষেধক তৈরি বেশ চ্যালেঞ্জিং।ভাইরাসটি সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে না পারলে এটির ভ্যাকসিন তৈরি হলেও সবার শরীরে কাজ করবে না।তাই তাদের এই গবেষণা ভাইরাসটির ভ্যাকসিন তৈরিতে সাহায্য করবে বলে বিশ্বাস এই দুই বাঙালী বিজ্ঞানীর।
বন্ধুরা,আমার পোস্টটি ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।