★জীবনে ব্যস্ত থাকাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি।আপনি যত ব্যস্ত থাকবেন ততো বেশি ভালো থাকবেন।আপনি দেখবেন সারাদিন যখন আপনি কোনো কাজ না করবেন,তখন আপনার মাথায় হাজারো আলতো ফালতো চিন্তা আসতে শুরু করবে।এমন কিছু পুরনো স্মৃতি মনে হবে,যেটা আপনাকে ডিপ্রেশনে নিয়ে যাবে।
আপনার বার বার নিজেকে খুব একা মনে হবে।তখন মনে মনে কাউকে খুজতে থাকবেন।আপনি জানেন একা থাকলে যতটা ভালো থাকা যায়,কাউকে নিজের জীবনের সাথে ঝরালে ততোটা ভালো থাকা যায় না।কিন্তু তারপরে ও আপনার অলস মস্তিষ্ক আপনাকে এই কাজটাই করতে বাধ্য করবে।
ব্যস্ততা মানুষের নিদ্রাহীনতা দূর করে। সারাদিন কাজ করার পর আপনার শরীরে যে একটা ক্লান্তি ভাব আসবে,রাতে বালিশে মাথা রাখতেই দেখবেন আপনার ঘুম চলে আসবে।ঘুম মানুষের সবচেয়ে বেশি জরুরি, দু একবার না খেয়ে হয়তো আপনি ভালো থাকতে পারবেন।কিন্তু দু একদিন না ঘুমালে কোনো কিছুই ভালো লাগে না।টানা কয়েক রাত না ঘুমালে, আর কোনো ব্যস্ততা না থাকলে, সব কিছু এলোমেলো লাগে।
কথায় আছে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।হ্যা ঠিক তাই।আপনি যখন কোনো কাজ করবেন না তখন আপনার মস্তিষ্ক বিভিন্ন আজে বাজে চিন্তা করতে থাকবে,নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করতে থাকবে।নিজেকে অসুখী ভাবতে শুরু করবে।চারপাশে এতো মানুষ থাকা সত্ত্বেও নিজেকে একা ভাবতে শুরু করবে।ফেইসবুকে যখন দেখে কত মানুষ বিয়ে করেছে,চাকরি পেয়েছে,তারা সুখে আছে এমন কোনো পোষ্ট দিয়েছে তখন এগুলো দেখলে অলস মস্তিষ্কের মানুষ মনে মনে ভাবতে থাকে আমাদের জীবনে তো এগুলো নেই।তখন তাদের ভিতরে একটা খারাপ লাগা কাজ।সেটা যদি ব্যস্ত থাকতো তাহলে হয়তো তাদের মস্তিষ্কে এতসব ভাবনা আসতো না।কারন একটা ব্যস্ত মানুষের কখনোই এতো কিছু ভাবার সময় নেই।
আর সবচেয়ে বড় কথা হলো,যখন আপনি ব্যস্ত থাকবেন,আপনার যদি কোনো কষ্ট থেকে থাকে,সেটা আস্তে আস্তে খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।আজকের এই ব্যস্ততা একদিন আপনাকে খুব ভালো থাকতে শিখিয়ে দিবে।যারা আপনাকে কষ্ট দিয়েছে,যারা আপনাকে হতাশায় ডুবিয়ে দিয়েছে,সেই মানুষ গুলো একদিন আপনাকে দেখে আফসোস করবে।খুব বেশি আফসোস করবে।ব্যস্ত থাকতে থাকতে একটা সময় যখন নিজের জীবনটা অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে,তখন আপনি নিজেই ভাববেন,এই ব্যস্ততাই ভালো।আমি আমার এই ব্যস্ততার ভাগ কাউকে দিতে চাই না।তখন আপনার নিজেকে ভাগ্যবান মানুষ গুলোর মাঝেই একজন মনে হবে।আপনার সুখ খুজতে হবে না,খুব নিজেই এসে আপনার কাছে ধরা দিবে।