~নারী যখন মা হয় তখন তার কোনো ভুল নেই।কিন্তু একটা নারী যখন কারো ঘরের বউ হয়ে যায়,তখন তাকে প্রতি পদে পদে দোষী সাভ্যস্ত করা হয়।
যদি ও কথাটা শুনতে তিক্ত লাগলে ও এটাই বাস্তব।আমাদের বর্তমান সমাজের পরিস্থিতি এমনই।আসলে বর্তমান সমাজ নয়,সেই আদিকাল থেকেই এমনটা হয়ে আসছে।একটা মেয়ে যখন বিয়ে হয়ে শশুর বাড়িতে যায়,তখন তাকে আগেই বলে দেওয়া হয় এটা তোমার নিজের বাড়ি নয়।এখানে তোমাকে ওদের কথা মতো চলতে হবে।ফলে তার ভিতরে আগে থেকেই একটা নেগেটিভ চিন্তা চলে।তাকে ভয়ে ভয়ে সব কিছু করতে হয়।শশুর শাশুড়ির সাথে চলতে গিয়ে শুরু হয়ে যায় ঝগড়াঝাঁটি। সত্যিই সংসারের মূল হাতিয়ার হচ্ছে, একটা নারীর প্রতি আরেকটা নারীর হিংসা।একটা সংসার তখনই সুন্দর হয় যখন একটা শাশুড়ী তার ছেলের বউকে নিজের মেয়ের মতো মনে করে।তবে এটা ও ঠিক মেয়েটাকে ও তার শাশুড়িকে মায়ের মতো দেখতে হবে।মেয়েটা হয়তো শাশুড়ির চেয়ে অনেকটা ছোট,তাই সে ভুল করতেই পারে।শাশুড়ির উচিত তার ভুল গুলোকে নিজের মেয়ের মতো মনে করে শুধরে দেওয়া।
যখন একটা শাশুড়ি তার ছেলের বউকে তার মেয়ের মতো আদর করবে।তখন তার ছেলের বউটা ও তাকে মায়ের মতোই মনে করবে।
ছেলের বাড়ির কোনো মেহমান যদি কোনো মেয়ের বাড়িতে যায়।তাহলে তাকে কতই না আদর আপ্যায়ন করা হয়।কি খাওয়াবে না খাওয়াবে এটা নিয়া ধুম পরে যায়।কিন্তু মেয়ের বাড়ির একটা মানুষ যখন ছেলের বাড়িতে যায়,তখন তাকে কতটুকু আপ্যায়ন করা হয়?সেটা হয়তো আমার চেয়ে আপনারাই ভালো জানেন।
ছেলের বউ যদি তরকারিতে একটু লবন কম বা বেশি দেয়,তাহলে তাকে হাজারো কথা শুনিয়ে দেন,কিন্তু আজ যদি এটা আপনার মেয়ে হতো তাহলে কি আপনি এটা পারতেন?কখনোই পারতেন না।কারন সে তো আপনার নিজের মেয়ে।
শুধু শাশুড়ি না,একটু ভুল হলেই সবার কথা শুনতে হয় বউকে।কোনো দিন যদি ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়,তাহলে তাকে শুনতে হয় হাজারো কথা।অথচ নিজের মেয়েটা কিন্তু ঠিকই ১০ টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকে।একজন স্ত্রীর ছোটখাটো ভুল হলে বেশির ভাগ স্বামীই সেটা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেন।কিন্তগ বেশির শাশুড়িই এটা দেখে সহ্য হয় না।ছেলের অনুপস্থিতিতে ঠিকই দাবার গুটির মতো চাল চালতে থাকে।মোট কথা ছেলের বউয়ের সামান্য অপরাধ তার কাছে সহ্য হয় না।যদি ও কথা গুলো শুনতে অনেকেরই খারাপ লাগবে। কিন্তু এটাই বাস্তব।তাই ছেলের বউকে একটু ভালোবাসা দিয়ে দেখুন,দেখবেন সে আপনাকে তার সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবে।