শিরোনামটা হয়তো কিছুটা রসাত্নক তবে ভাই এটাই সত্যি যে আমি প্রায় ১০ কেজি ওজন কমিয়েছি কিছু নিয়ম মেনে।আর যেই টিপস্ গুলো পালন করেছি সেগুলো পালন করলে আপনার ক্ষতি না হলেও লাভ হবে।আর আমিও মানুষ আপনিও মানুষ। আমি এই টিপস গুলো পালন করে যদি ওজন কমাতে পারি তাহলে আপনিও পারবেন। আর তেমন কঠিন কোন নিয়ম না।অর্থাৎ সাধ্যের মধ্যে পালন করা যায় এমন নিয়মগুলোই৷ যদি অসাধ্য হতো তাহলে আমি নিজেই পালন করতাম না ভাই। যাহোক রশিকতা হয়েছে এখন কাজের কথায় আসি,আমি যে নিয়মগুলো অনুসরণ করেছি।
১)প্রতিদিন সকালে উঠে খালিপেটে লেবুর জল খেয়েছি।তবে লেবুর জলে একটুও চিনি মিশানো যাবে না। লেবুর জল হালকা কুসুম গরম হলে সবচেয়ে ভালো হয়।।লেবুর জল ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। এছাড়াও কুসুম গরম জলে এটি খেলে ঠান্ডা লাগলে সুবিধা পাবেন।
২)তারপর ২-৩ টা ব্যায়াম করতে হবে যেমন বজ্রাসন(এটি যোগব্যায়াম,এটি করার ফলে আপনার দেহ চমৎকার একটি শেপে আসবে),সিট আপ এবং হাঁটু ভেঙে সিটআপ করেছি, এর ফলে খুব সহজেই পেটের ভুরি কমে যাবে।সিট আপ ও হাঁটু ভেঙে সিট আপ ১০ টা ১০ টা করে ২০ টা দিতে পারেন। সুবিধামত আবার বাড়িয়েও নিতে পারেন।সিট আপ নিলে নিজেই বুঝবেন যে আপনার তলপেটে কতটা চাপ পড়ছে। কিছুদিন সিটআপ করলে ফলাফল নিজেই বুঝতে পারবেন।আর এত দৌড়ানোর দরকার নেই,আর অন্য ব্যায়ামেরও দরকার নেই। তবে সিটআপ করার আগে একটু হালকা হাত-পা নাড়াচাড়া করুন, যেটাকে ওয়ার্মিং-আপ বলা হয়।
৩)প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি খান।গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা হলো আপনি খাওয়ার ২০-৩০ মিনিট আগে ১ গ্লাস জল খান,এতে হজম ক্ষমতা বাড়বে।
৪)ভাতের পরিমাণ কমিয়ে দিন।আমি ভাত কমিয়ে খেতাম,পাশাপাশি আলুও কম খেতাম। আর অনেকে রাতে রুটি খায়। কিন্তু আমি মনে করি রাতে রুটি খাওয়ার চেয়ে অল্পপরিমাণে ভাত খাওয়াও অনেক বেটার।নাহলে আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন। ভাতের পরিমাণ ও কিন্তু ওজনের উপর প্রভাব ফেলে।তাই অবশ্যই কমিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।তবে লাঞ্চ ও ডিনারের তালিকা থেকে ভাত বাদ দেবেন না। কম হলেও খান।
৫)পারলে শসা খান।এটা খাওয়ার আগে খেলে অনেক ভালো।আর ভাজাপোড়া খাবেন না।প্রতিদিন সকালে অনেকেই ভাত খায়।কিন্তু ডায়েটে থাকায় অবস্থায় তিন বেলা ভাত না খেয়ে সকালে অন্য কোন আইটেম দিয়ে ব্রেকফাস্টটা সেরে নিন।
৬)ভাত খাওয়ার পাঁচমিনিট পর বজ্রাসন করুন।এতে খাবার সঠিক ভাবে হজম হবে।বজ্রাসন কীভাবে করে তা ইউটিউবে দেখলে ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন যেহেতু যোগব্যায়াম,তাই Practical না দেখলে পারবেন না। আগেও বলেছি আবারও বলছি বজ্রাসন করার ফলে আপনার বডি শেপ সত্যিই খুবই আকর্ষণীয় হবে।আবার স্মৃতি শক্তিতে ও এটির ভালো ভূমিকা আছে। তাই এটি যে কেউ আজ থেকেই শুরু করে দিতে পারেন।
আমি এই সবগুলো নিয়মই পালন করতাম।এর বেশী কিছু আর এগুলো করতে কোন সমস্যা ও হতো না।আর Hard Diet এর মতো সারাদিন না খেয়ে বসে থাকতাম না।সারাদিন ই আমার মুখ চলত তবে ভাত বাদেও মোটা মানুষের সারাদিনই খেতে ইচ্ছে করে এমনকি আমারও ইচ্ছে করত কিন্ত আমি যা খেতাম তা খুবই সামান্য পরিমাণে,তাই ওজন আজ নিয়ন্ত্রণে।আগে ৭০-৭২ এরকম থাকত । আর এখন তা সবসময়ই ৬০-৬২ এর মধ্যে থাকে । যদিও কোয়ারান্টাইনে ওজন কিছুটা বেড়েছে। যাহোক,আমার পালন করা এই নিয়ম গুলো আপনিও পালন করলে আশা করি ব্যর্থ প্রচেষ্টা হবে না।
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন,ধন্যবাদ সবাইকে।