আসসালামু আলাইকুম সকল সম্মানিত পাঠকগণ।আশা করি সকলে ভালো আছেন এই অবরুদ্ধকর করোনা আতংকের মুহুর্তে। করোনায় মানুষের অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন ক্ষতি হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের এবং হত দরিদ্র মানুষের।শিক্ষা ব্যাবস্থা বলতে গেলে থেমেই পড়েছে।কিন্তু বিভিন্ন উদ্যমী ব্যাক্তিদের প্রচেষ্টার কারণে “অনলাইন ক্লাস ” শুরু হয়েছে।কেউ বা ভিডিও করে ,কেউ বা ফেসবুকে লাইভ এ এসে ক্লাস নিচ্ছে।লকডাউন চলাকালীন এ সময়ে তাদের এ প্রচেষ্টা যথাযথ কার্যকরী ভুমিকা পালন করছে। ফলে শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে থাকলেও অলস সময় পার করছে না।তারা চর্চার মধ্যে থাকছে।ফলে তাদের পড়াশোনা টা বজায় থাকছে ।সকল শিক্ষার্থীদের এই উপদেশ টা দিতে চাই যে,লকডাউন এর এই সময় টাকে কাজে লাগাতে হবে।তুমি যেই শ্রেণির ই শিক্ষার্থী হও না কেন তোমার উচিত নিজের সৃজনশীলতার প্রতি শুরু দেয়া।এসময় তুমি ইউটিউব এ দেখে বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ করতে পারো।নিজের মেধার বিকাশ সাধন করতে পারো।পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা টা কেও বজায় রাখতে পারো।এছাড়াও তুমি নিজেও বিভিন্ন বিষয় এ প্রশিক্ষণ নিতে পারো-যা তোমার মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে তো সাহায্য করবেই,পাশাপাশি তোমার চিন্তন দক্ষতা বৃদ্ধি করবে,তোমার নতুন বিষয়ে জানার আগ্রহ তৈরি করবে,তুমি একটি নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা লাভ করবে,তোমার ভিতরে এক নতুন ধরনের স্ফুরতি জাগ্রত করবে।এছাড়াও লকডাউন এর এই সময়টাতে তুমি তোমার পড়া রিভিশন দিয়ে নিতে পারো ভালোমতো।
অযথা মুভি দেখে বা গেমস খেলে সময় নষ্ট না করে পড়াশোনার পরিমাণ টা বাড়াতে পারো।আমি বলছি না যে এগুলো একদম ই কোরো না,সম্পুর্ন ভাবে বাদ দিয়ে দাও।আমি বলছি অতিরিক্ত না করতে।আসলে একটা কথা সবাই ই জানো,অতিরিক্ত কোনকিছুই ভালো নয়।তাই বাসায় বসে খেলাধুলা,টিভি দেখা দেখা,গেম খেলার পাশাপাশি পড়াশোনাটাও ঠিকমতো বজায় রেখো।আসলে এই দুর্যোগ মুহুর্তে সকলেই নিরুপায়।একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা ব্যাতীত সহায় বলতে আর কিছুই নেই।তাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রেখে নিজের পথে এগিয়ে জাও।এছাড়াও তুমি এসময় তোমার সব কাজের জন্য একটি রুটিন বানিয়ে নিতে পারো।ধরো প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে উঠবে।এখন রোজার মাস,পবিত্র রমজান মাস।তাই তুমি মুসলিম হয়ে থাকলে রোজা পালন করবে।সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বসবে।একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পড়ে হয়তো কিছুক্ষণ টিভি দেখলে।এরপর দুপুরে একটু ঘুমালে।তারপর বিকালে পরিবারের সাথে সময় কাটালে।একসাথে ইফতার করলে।তারপর সন্ধেবেলা পড়তে বসলে।পড়া হয়ে গেলে একটু গেমস খেলে নিলে।এছাড়াও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে একটু ব্যায়াম করে নিতে পারো,স্বাস্থের পক্ষে ভালো হবে।এভাবে তুমি নিজের জীবন টাকে একটি শৃংখলার মাঝে আনতে পারবে।