সন্ত্রাস আটকাতে ছাত্রদের করণীয়ঃ
আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আশা করি এখন পর্যন্ত সবাই ভালো আছেন।আশা রাখি সবসময় ভালো থাকবেন।
ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
আমি আজ যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হচ্ছে, সন্ত্রাস ঠেকাতে বা আটকাতে ছাত্রদের করণীয়।
ছাত্ররা পারেনা এমন কোন কথা নেই ,যার প্রমান আমরা পেয়েছি ,১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময়।
১৯৫২সালে ভালো আন্দোলনে।
রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার সহ হাজার হাজার ছাত্র তার প্রমান রেখে গেছে ।
২০২০সালে এসে,
আমরা ছাত্ররা কি কিছু করতে পারি না ?
আমাদের কি কিছু করার নেই?
দেশের জন্য আমরা কি কিছু করতে পারি না?
হ্যা ,অবশ্যই পারি।
আমি আজ আলোচনা করব সমাজ থেকে সন্ত্রাস দমনে ছাত্ররা কি ভূমিকা রাখতে পারে?
সবার আগে আমরা জানব,
সন্ত্রাস কি?
সন্ত্রাস:
সন্ত্রাস বলতে নিজের উদ্দ্যেশ্য হাসিল করা।
আমি যেটা চাই সেটা পাওয়া।আমরা যদি বিভিন্ন বড় বড় অনার্স কলেজের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই, কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য মানুষ কত রকমের মারামারি, ঝগড়া ,বিবাদ কত কিছু করছে,এই গুলোর নামই সন্ত্রাস।
অন্যভাবে বলতে গেলে, ক্ষমতার মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তারের সহজ পন্থার নাম সন্ত্রাস।
সন্ত্রাসীদের কঠিন একটি মূলমন্ত্র আছে,
সেটি হচ্ছ:
.
.
জোর যার মুল্লুক তার।
এই জোর যার মুল্লুক এই কথার উপর ভিত্তি করেই সন্ত্রাসীরা বেশি সন্ত্রাস করতে পারে।
আজ শিক্ষাঙ্গানে বেশ সন্ত্রাস ছড়িয়ে গেছে।স্কুল*মাদ্রাসায়*কলেজ*ভার্সিটি সব জায়গায় ,এক কথায় সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস বিস্তার করেছে।
এখন আমরা জানব এই সন্ত্রাস দমনে ছাত্ররা কি ভূমিকা রাখতে পারেঃ
সন্ত্রাস নির্মূল করতে ছাত্ররাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।সাধারণ ছাত্রদেরকে সচেতন করে সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।সন্ত্রাসীদের একঘরে করে শিক্ষাঙ্গন থেকে দেশ থেকে সন্ত্রাস শেষ করতে হবে।জাতির শিক্ষার স্বার্থে ,দেশকে উন্নতি করতে সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন অবশ্যই কাম্য।নিজেদের শিক্ষা ও জীবন গঠনের স্বার্থে সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়ে তুলতে ছাত্ররা অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারে।অধিকাংশ ছাত্র দরিদ্র পরিবার থেকে খুব কষ্ট করে শিক্ষাঙ্গনে পা রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে নিজেকে গড়ে তোলার প্রত্যাশায়।কিন্তু অনেকেই রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সাথে জড়িয়ে পড়ে।রাজনৈতিক দলের কৌশলের চাপে পড়ে তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নেয়।শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসীর সংখ্যা সীমিত।
এদের বাচাই করে ছাত্ররা তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে।সকল ছাত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনৈতিক দলের হাতের ক্রীড়নক হিসেবে ব্যবহার হওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে।রাজনীতি আমাদের সমস্যা নয় বরং রাজনীতি নামে অনাচারই সমস্যা।তাই ছাত্ররা রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন হবে কিন্তু রাজনীতির হাতিয়ার হবে না। ছাত্র সমাজ জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না হয়ে পড়ালেখার প্রতি অধিক মনোনিবেশ করে শিক্ষার সমস্যাবলি জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে পারে ।সচেতন মহল সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ গঠনে মতামত ব্যক্ত করে আসছেন।আমরা ছাত্ররাই পারি শিক্ষাঙ্গন থেকে দেশ থেকে সন্ত্রাস দূর করতে।
ধন্যবাদ।