আজকের টপিকটি সকলেরই চেনা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা যেটিকে সংক্ষেপে VR
হিসেবেই চিনি।আরও বেশী চিনি মোবাইলে ব্যবহারযোগ্য VR BOX হিসেবে। তবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে খুটিনাটি অনেক কিছুই হয়তো আমরা জানি না।তাই আজকের টপিক টি এমনভাবে সাজিয়েছি যেন VR বা Virtual Reality
সম্পর্কে অনেক ধারণাই পেতে পারেন ।তাই মনযোগ দিয়ে পড়লে অনেক কিছুই জানতে পারবেন আপনারা। তো চলুন শুরু করা যাক আজকে সেই ইন্টারেস্টিং টপিক.
ভার্চুয়াল জগৎ আছে বলে যে একটা ব্যপার আছে সেটা নিঃসন্দেহে আমরা সবাই জানি।ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এমন জগৎ যে জগৎে আমরা কিছু নির্দিষ্ট গ্যাজেটের মাধ্যমে নিজেদের নিয়ে যেতে পারি,এমন একটা জগত যে জগৎকে আমারা বাস্তব জগতের ন্যায় দেখতে পারি অথচ সেই জগতের কোন বাস্তবিক অস্তিত্বই নেই।এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মূলত সিমুলেশন তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে 3D image. গঠন করা সম্ভব।ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে আমরা পাখির ন্যায় উড়তে পারি,মহাকাশচারী হতে পারি, বড় বড় প্রাণীদের যেমন ম্যামাথ,ডাইনোসর,নীল তিমি এদেরকে একদম সামনে থেকে দেখতে পারি।চিন্তা করুন ব্যাপারটা আশ্চর্যজনক নয়?ভার্চুয়াল রিয়েলিটি তে কিছু গ্যাজেট ব্যবহার করে, ফলে সহজেই সেই জগৎের আওয়াজ শুনতে পারবেন,বৃহৎ প্রাণীদের গর্জন শুনতে পারবেন ইত্যাদি।ভার্চুয়াল রিয়েলিটি তে আপনি শব্দ,অনুভূতি,স্পর্শ সবই পাবেন।
শব্দঃভার্চুয়াল রিয়েলিটি থেকে শব্দ যেকোন বিশেষ স্থান থেকে উৎসারিত ওবং ডাইনামিক বলে মনে হতে পারে।এই শব্দ 3D উৎসের সাথে যুক্ত থাকে।ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে শব্দ একদম High Quality।
দৃষ্টিঃVR এ ব্যবহৃত চশমা এবং ডিসপ্লে তো পর্দা এবং বহুমাত্রিক ডিসপ্লে থাকে।এগুলোর জন্যই একদম বাস্তবের ন্যায় বা 3D Image অথবা Video দেখা সম্ভব হয়।
মস্তিষ্কঃমানুষের মস্কিষ্কের উপর পরিচালিত গবেষণা কম্পিউটার জেনারেটেড World কে নতুন অবয়ব দিচ্ছে, যার সাহায্যে তথ্যকে যথাযথ ভাবে বিশ্লেষণ করা যায় ফলে Artificial Feelings তার মস্তিষ্কে প্রেরণ করা সম্ভব হয়েছে।এর ফলে বাস্তবের মতো ভার্চুয়াল জগৎ কেও আমরা অনুভব করতে পারি।
স্পর্শ:ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে বিশেষ ধরণের জুটা,গ্লাভস,স্যুট ব্যবহার করা হয় ফলে ভার্চুয়াল জগৎকে আমরা স্পর্শ করতে সক্ষম হয়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ব্যবহার করা হয় এমন কিছু যন্ত্রপাতি হলোঃ 1)Head Mounted Display (HMD)
2)Data Glove
3)High quality Audio system
4)Reality Engine
Virtual Realty এর গ্যাজেটসমূহ
- Samsung Gear VR
Zeiss VROne
Microsoft HoloLens
Samsung Gear 360
GoPro Odyssey
Google Cardboard Viewer ইত্যাদি।
কিছু সফটওয়্যার যেগুলো এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ব্যবহৃত হয় যেমন
Vizard,3d studio max,Maya ইত্যাদি।
ভার্চুয়াল রিয়োলিটি কর্মক্ষেত্রেও ব্যাপক ব্যবহৃত হয়।যেমন বিমান চালকরা প্রশিক্ষণ নিতে পারেন এই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি ব্যবহার করার মাধ্যমে, এই পদ্ধতিকে বলা হয় টেলিপ্রিজেন্স।আবার নতুন ড্রাইভার রা প্রশিক্ষণ নিতে পারেন এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে ফলে রাস্তাঘাটে নতুনদের গাড়ি চালানোর ঝুঁকি নিতে হয় না।তারা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করেই দক্ষ ড্রাইভারে পরিণত হতে পারে।চিকিৎসা ক্ষেত্রেও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয় যেমন সার্জিক্যাল প্রশিক্ষণ MIST Virtual Reality Laproscopic দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।এছাড়াও সামরিক,শিক্ষা আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এই Virtual Reality।। সুতরাং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রায়োগিক দিক ও ব্যাপক।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে আশা করি নতুন অনেক কিছুই আপনারা জানতে পেরেছেন।সময় নিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন৷