শিক্ষা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি জ্যাতির মেরুদন্ড দাঁড় করতে হলে শিক্ষার বিকল্প নেই। সেই শিক্ষার চালিকা শক্তি হচ্ছে শিক্ষক। আমাদের প্রধান মন্ত্রী শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য যা যা করণীয় তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যথাসম্ভব সব ধরণের চেষ্টা করেছেন বা করে যাচ্ছেন।
দেশের উন্নয়নের জন্য এবং জাতি গঠনের জন্য শিক্ষা একটি অপরিহার্য বিষয়। তাই শিক্ষার বিস্তারের জন্য শিক্ষকদের বেতন ভাতা অনেক বৃদ্ধি করে দিয়েছেন যাতে শিক্ষকদের কোনো কষ্ট না হয়। শিক্ষকদের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পরও তাদের পেট ভরে না। নিবন্ধন প্রাপ্ত মাধ্যমিক স্কুল গুলো সরকারি প্রায় ৯০% বেতন পায়। এরপরও দেশের এমন ক্রান্তি লগ্নে প্রত্যেক স্টুডেন্টদের অভিভাবকের মোবাইল sms করে বেতন চাচ্ছে। আর ের প্রত্যেক মাসে বেতন নিচ্ছেন এবং প্রত্যেক বছর এক শ্রেণী থেকে অন্য শ্রেণী তে উঠার সময় অতিরিক্ত ফী প্রদান করতে হয়। এটা কোনো দেশে হওয়া উচিত নয়।
কারণ বাস্তবতা হচ্ছে তারা। সরকারি বেতনও নিচ্ছে আবার অতিরিক্ত বেতনও নিচ্ছে মাসে মাসে। তারপর আছে আরেকটা সমস্যা সেটা হলো কোচিং বাণিজ্য। সেটা সরকার একেবারে নিষেধ করেছেন। এরপরও তারা এসব অপকর্ম গুলো করে যাচ্ছেন। শিক্ষা হলো জাতির মেরুদন্ড।
একসময় মানুষ শিক্ষকদের সম্মান করতো আর এখন সেই রকম সম্মান করে না। একজনের ভালো মানের শিক্ষক এখন আর এই দেশে দেখা যায় না। আগে পড়াশুনার জন্য মানুষকে এতো হয়রানির শিকার হতে হতো না। তখন শিক্ষকদের এতো লোভ লালসা ছিলোনা।
তারা ছাত্রদের মনে প্রাণে নিজের সন্তানের মতো মনে করে ভালো মানের শিক্ষা উপহার দিতেন এতে তারা কোনো কার্পণ্য করতেন না। আর এখন করোনার প্রভাবে মানুষের জীবন যখন হতাশাগ্রস্থ বেশিরভাগ মানুষের রোজগার শুন্যের কোঠায়। যেখানে মানুষের জীবনই চলে না সেখানে সেখানে স্কুল থেকে ম্যাসেজ আসছে বেতন পরিশোধের জন্য। অনলাইনে শিক্ষা দেওয়ার অজুহাত দিয়ে বেতন নেওয়ার একটা অপকৌশল দাঁড় করাচ্ছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
বেশিরভাগ মানুষের ঘরে কম্পিউটার বা ভালো মানের কোনো মোবাইল ফোন নেই যা দিয়ে তারা অনলাইন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন উপরোক্ত বিষয়াবলী বিবেচনা করে ছাত্রদের কাছ থেকে যেন বেতন না নেওয়া হয় যতদিন করোনা ভাইরাস শেষ না হয়।