ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ধাক্কা লেগেছে সেই মূলত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপর। তবে এর প্রভাব বাংলাদেশে কিছু অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সুন্দরবন,খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছে আম্ফান।
আম্ফানের তান্ডবে পটুয়াখালী,সাতক্ষীরা,পিরোজপুর,বরগুনা সহ এখনো পর্যন্ত ৭ জন লোক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আরো নিহত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না।
এছাড়াও বিভিন্ন মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে যশোরে গাছ চাপা পড়ে মা ও মেয়ের দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
দিবাগত রাতে ৯টা ১০ মিনিট থেকে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার বেগে সাতক্ষীরায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় অ্যালবাম।
যদিও এটি, বিকাল থেকে একটু একটু করে উপকূল অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করেছে। তবে বিভিন্ন জেলায় অনেক গরম অনেক এবং গাছপালা ভেঙে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এখনো সমুদ্র উত্তাল এবং নদীগুলো বেশ উত্তাল। নোয়াখালীতে বেরিবাঁধ ভেঙে কয়েক শ মানুষের গড় পানিতে তলিয়ে গেছে। আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়ে গেছে নদীর পানি। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান থেকে উত্তর- উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সাতক্ষীরা জেলা ও তার নিকটবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। তবে আজকের দিনটা বেশ বিপদজনক বলে ধারণা করেছেন তারপর আস্তে আস্তে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
পটুয়াখালী: গতকাল রাতে পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে রাশেদ নামের ৬ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রচারনা,জনসচেতনতা তৈরি করতে গেলে শাহ আলম নামে এক ব্যক্তি নৌকাডুবিতে নিহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তিটি দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি লোক বলে জানা গেছে।
ভোলা: ভোলা উপজেলা চরফ্যাশনে গাছের নিচে চাপা পড়ে সিদ্দিক ফকির (৭০) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছে। এছাড়াও মেঘনা নদীতে নৌকাডুবির পর এক জেলের লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
সাতক্ষীরা: ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে গাছের ডাল ভেঙে এক নারী নিহত হয়েছে। নিহত নারীটির নাম করিমুন্নেসা। গতকাল নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পিরোজপুর: পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে নিজের ঘরের মেঝে ভেঙে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত ব্যক্তিটির নাম ৫৫ বছর বয়সী মুজিবুর রহমান।
বরগুনা: বরগুনা সদর উপজেলা বন্যার জলে প্লাবিত পানিতে ডুবে মোঃ সোহেল নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
এছাড়া লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, ফিরোজপুর, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় এর মাধ্যমে প্রায় 33 লাখ মানুষ বিদ্যুতবিহীন অবস্থায় রাত কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) কর্মকর্তারা।
So sorry to heard about this !
Humm
So sad!
😥
Nice
Hmm
Very good
Good
ok
That was very dangerous
Gd
ধন্যবাদ
Nice
খুব কষ্ট লাগলো
Hm
Ok
Good
ok