নওগাঁ এখন আমের নতুন রাজধানী হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে

বাংলাদেশের ফল-মূলের ভেতর ভোক্তাদের কাছে আমই বেশী প্রাধাণ্য পেয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর দিক দিয়ে কৃষি জমিতে আম চাষে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে কৃষকেরা। কৃষকেরা হেক্টর হেক্টর জমিতে আম চাষ করে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে। বাংলাদেশের মাটিতে বিভিন্ন প্রকার আমের চাষাবাদ হয়ে থাকে এবং এর ভেতর হিম সাগর, ফজলি, ল্যাংরা ও আমরুপলী জাতের আমকেই বেশী প্রাধাণ্য দেওয়া হয়ে থাকে।

আমরুপলী জাতের আম সম্পূর্ণই নতুন ধরণের আম। বর্তমানে এই আমরুপলী জাতের আম চাষাবাদ করে  কৃষক সবচেয়ে বেশী লাভবান হচ্ছেন। বাংলাদেশে আম উৎপাদনের শীর্ষ জেলা হচ্ছে রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা। এই দুই জেলা আম উৎপাদন ও সরবারহে বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে। রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার আম খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে এবং এই জেলার আমের চাহিদা বাংলাদেশের সব জায়গাতেই আছে। বর্তমানে নঁওগা জেলাকে আম উৎপাদনের নতুন রাজধানী হিসেবে বিবেচিত করা হচ্ছে।

গত কয়েক বছর নঁওগা জেলাতে বিপুল পরিমাণে আম উৎপাদন করে বাজারজাতকরণ করা হয়েছে এবং রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জের মত নঁওগার আমও সারাদেশেই বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে। নঁওগা জেলার বিস্তৃীর্ণ উঁচু এবং শুঁকনো অঞ্চলের ভেতর পত্নীতলা, পোরশা, নিয়ামতপুর, সাপাহার উপজেলাসহ চাষযোগ্য জমিতে আমে চাষ করা হচ্ছে। নঁওগা জেলাকে আম চাষের নতুন রাজধানী হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের নঁওগা জেলাতে আম চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০০৯ সালে এবং এর পর থেকেই নঁওগা জেলায় কৃষকেরা আম চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। নঁওগাতে বিভিন্ন ধরণের আমের চাষ হয়ে থাকে এবং এর ভেতর হিমসাগর, ফজলি, ল্যাংরা ও আমরুপলী জাতের আম চাষাবাদ হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের বিগত বছরের ২০১৮-২০১৯ সালের ভেতর আম চাসের উৎপাদন ‍ছিল প্রায় ২৩ লাখ ৭২ হাজার টনে থেকে বেশী। বাংলাদেশের নতুন আমের রাজধানী নঁওগা থেকে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৮৬ টন আম। অন্যদিকে রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকার আম চাষের উৎপাদন ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৪২৬ টন ও ২ রক্ষ ৭৫ হাজার টন। জরিপে দেখা যাচ্ছে নঁওগা জেলাতে আম চাষের উৎপাদন রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে অনেক বেশী। কৃষিবিদদের মতে, এবছরও নঁওগা জেলাতে রেকর্ড সংখ্যক আমের উৎপাদন হবে।

নঁওগা জেলার আম চাষীরা ইতোমধ্যে হেক্টর হেক্টর জমিতে আম চাষীর উপযোগী করে তুলেছে এবং সার-প্রয়োগ ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে নঁওগার আম চাষীরা চাষাবাদযোগ্য জমি তেরী করেছেন। গ্রীষ্মকাল আসলেই আম বাগানের পরিচর্যা ও নতুন করে চারা রোপনের পদক্ষেপ হতে নেই কৃষকেরা। নঁওগা জেলার আম সারাদেশেই খ্যাতি ও সুনাম অর্জন করবে বলে আশা করছে কৃষকেরা।

সূত্র: এগ্রিকেয়ার২৪.কম

Related Posts