ডিম খেতে কম বেশী সকলেই পছন্দ করে। নানা ধরনের নাশতা , কেক ,বিস্কুট প্রভৃতি তৈরি করতে ডিমের তুলনা হয় না ।
ডিম সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এর রয়েছে হরেক রকম স্বাস্থ্যকরী উপকারিতা । আজকের পোস্টে ডিমের নানাবিধ উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নিই সুস্বাস্থ্যের জন্য ডিম এর উপকারিতা সম্পর্কে।
🔷ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে : ডিম ভিটামিন ডি এর প্রাকৃতিক খাদ্য উৎসের মধ্যে অন্যতম। ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য অপরিহার্য এবং সর্বোত্তম হাড়ের স্বাস্থ্যের বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। মানুষের দেহের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে হাড় রক্ষা করতে ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
🔷প্রোটিনের চাহিদা পূরণে: একটা বড় ডিম এ ছয় গ্রাম এর মতো উচ্চ মানের প্রোটিন ও বিপুল পরিমাণে অত্যাবশকীয় পুষ্টি উপাদান থাকে । কাজেই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে ডিম এর গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম।
🔷লৌহের ঘাটতি পূরণে : রক্তে লৌহের অভাবজনিত কারণে অনেক মানুষ ক্লান্তি, মাথাব্যাথা এবং বিরক্তির অস্পষ্ট উপসর্গের সম্মুখীন হয়ে থাকেন । লৌহ রক্তে অক্সিজেন বহনকারী হিসেবে এবং শরীরের মধ্যে শক্তি বিপাক এবং অন্যান্য অনেক ফাংশন এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।সুতরাং লৌহের ঘাটতি পূরণে ডিমের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক।
🔷 সুস্থ চুল এবং নখ এর জন্য:চুল এবং নখে শরীরের অনেক বায়োকেমিক্যাল ভারসাম্য এবং সংকট প্রতিফলিত হয় । ডিম সুস্বাস্থ্য ও নখের উন্নয়নে সাহায্য করতে পারে , কারণ এতে সালফার-অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বিস্তৃত রয়েছে । কাজেই সুস্থ চুল এবং নখ এর জন্য বিশেষজ্ঞগণ খাদ্য তালিকায় ডিম যোগ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ।
🔷 দেহের ওজন নিয়ন্ত্রন করতে :
মানুষের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে ডিমের ভূমিকা অনেক। যারা পেশির ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম উপযুক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে যে ডিম মানবদেহে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগাকে কমিয়ে দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। কাজেই
দেহের ওজন নিয়ন্ত্রন করতে ডিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য ।
এছাড়াও ডিমের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।