আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভিউয়ার্স,
আশা করি আপনারা ভালো আছেন। ঘরে থেকে যথাযথ নিয়ম পালন করেই সুস্থ আছেন।
আপনারা হয়তো আমার সাথে একমত হতেও পারেন যে প্রত্যেকটা নেতিবাচক অবস্থার মধ্যেই কোন না কোন ইতিবাচক উপায় থাকে যেটা আমাদের মেধা বুদ্ধি খাটিয়ে খুঁজে নিতে হয়। আমরা হয়তো প্রায় সবাই একটা নেতিবাচক সময় পার করছি। হয়তো আরও অনেক লম্বা সময় ধরে এ অবস্থা পার করতে হতে পারে। আর তাই আমাদের সবার উচিত নিজেদের প্রয়োজনেই কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া যা আমাদেরকে প্রতিকূল পরিবেশে টিকেয়ে রাখতে সাহায্য করবে।
আজ দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আমরা তথা পৃথিবীর সকল মানুষেরাই একটা নাজুক সময়ের মধ্য দিয়েই জীবন অতিবাহিত করছি। এ অবস্থায় কঠিন অবস্থাতে কিভাবে নিজে নিজে একা কারও সাহায্য ছাড়া চলতে হয় সে বিষয়ে দীক্ষা অর্জন করতে পারেন। কীভাবে কোনো সাহায্যকারী ছাড়াই চলতে অভ্যস্ত হতে হয় সেটা করছেন এবং আস্তে আস্তে এটাতে অভ্যস্ত হয়ে যান।
লকডাউনের এই কঠিন সময়টাতে আপনাদের পরিবারের সব সদস্য মিলে দলগতভাবে কাজ করতে পারেন। কেউ ঝাড়ু দিবেন, কেউ ঘর মুছবেন, আবার কেউ রান্নার তরকারি ও মাছ মাংস কেটে কুটে দিবেন, কেউ রান্না করবেন এভাবে কোনো রকম কষ্ট ছাড়াই আপনারা সবকিছু সামলাতে পারবেন। এতে করে অতিরিক্ত কাজের লোক আপনার পরিবারে দরকার হবেনা। নিজেরাও সবাই একসময় পাক্কা রাধুনি হয়ে উঠতে পারবেন।
যারা অফিসের কাজের চাপে নিয়মিত ব্যয়াম করার সময় পান না তারা বিকেলে নিয়মিত সবাই মিলে ছাদবাগানের অথবা বাড়ির আঙ্গিনায় তৈরি বাগানের পরিচর্যা করতে পারেন। তারপর সন্ধ্যায় একসঙ্গে বসে নাটক সিনেমা এমনকি ইনডোর খেলায় মেতে উঠতে পারেন। এতে সবার মধ্যে পারিবারিক বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।
আসলেই আমরা করোনা কালে যে সময়টা পার করছি তাতে আমাদের মতো সদা ব্যস্ত মানুষদের জন্য খুবই কাজের হয়েছে। সবাই মিলে ভাগ করে বাড়ির কাজগুলো যদি করা যায়, তাহলে অনায়াসে সব দুর্ভোগ অতিক্রম করা যায়। এমনকি নিজেরাও একসময় কাজের কাজি হতে পারবো।
ঘরের ও বাড়ির নিয়মিত টুকিটাকি কাজের পাশাপাশি আমরা চাইলেই কিছু হাতের সৃজনশীল কারুকাজ শিখতে ও করতে পারি যা আমাদের ঘরের শোভা বর্ধন করবে। সেই সাথে এসব কাজে নিজেরাও পারদর্শী হতে পারবো।
সৃষ্টিকর্তা সবাইকে ভালো ও সৃজনশীল কাজের মধ্য দিয়ে খারাপ সময়টা অতিবাহিত করার সুযোগ মেধা দান করুন। আমিন….
সবাই ভালো থাকবেন। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ….