হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন সেবনের কারণে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে;
সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন যে কারণে মুক্তি পেতে নিয়মিত সেবন করুন হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন তারে দাবিতে অনেকে সমর্থন করলেও কেউ কেউ করে এই নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। ট্রাম্পের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অনেক দেশেই হাইড্রক্সি ক্লোরিনের মজুদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং সব দেশেই এই ওষুধটি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার সবাইকে অনুরোধ করেছিল যে কোন গবেষণা ব্যতীত এই ওষুধটি সেবন না করার প্রতি।
তারই প্রেক্ষিতে ব্যাপক গবেষণার পর জানা গেল যে হাইড্রোক্লোরিক বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি।
হাইড্রক্সি মূলত একটি ম্যালেরিয়ার ওষুধ আর এই ওষুধ করোনা প্রতিরোধে ব্যবহার করায় করো না আক্রান্ত রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে বলে জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি হসপিটাল জুরিখের সর্বশেষ এক গবেষণায়।
আমেরিকার এমন দাবির পর এই ওষুধ থেকে গেম চেঞ্জার হিসেবে ধরে নিয়েছে অনেকে এবং এই ওষুধ টা নিয়ে মাতামাতি বেড়েছে অনেকগুণ বেশি আমাদের দেশেও এই ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়েছে কৱনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য।
হাভার্ডে গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে এই ওষুধটি প্রয়োগের ফলে কিছু রোগী সুস্থ হলেও তাদের দীর্ঘমেয়াদি অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে। আর এমনিতেও ঔষুধটি হার্ডের নিয়মিত স্পন্দন দুর্বল করে অনিয়মিত করে তোলে। অতিমাত্রায় এই ওষুধ গ্রহণের ফলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা গেছে। কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন যে এই ওষুধটি করোনা প্রাথমিক চিকিৎসায় কার্যকর কিন্তু যাদের শারীরিক জটিলতা আছে এবং করোনাভাইরাস এর পাশাপাশি অন্যান্য রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে রোগটি কোন কাজ করছে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই করোনাভাইরাস নিয়ে বেশি মাতামাতি করাটা অর্থহীন বলে জানিয়েছেন হাবার্ডের বিশেষজ্ঞ দল।
উল্লেখ্য যে হাইড্রক্সি ক্লোরো কুইন ব্যতীত সুস্থ হওয়া প্রায় 96 হাজার করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে যে, তারা হাইড্রক্সি কুইন গ্রহণ না করেও করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন এছাড়াও এখন পর্যন্ত তারা সুস্থ আছেন এবং অন্যান্য কোন রোগের উপসর্গএখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি অপরদিকে যারা হাইড্রোক্লোরিক গ্রহণ করেছেন এবং এই ওষুধ গ্রহণের ফলে সুস্থ হয়েছেন তাদের বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা ও বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে হাডের দুর্বলতা অন্যতম।
উল্লেখ্য যে ব্রাজিলে কয়েক মাস আগে এই হাইড্রোক্লোরিক নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তাদের বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী অকাল মৃত্যুর করলে ঢলে পড়ে। তার সাথে সাথে তারা এ গবেষণা বন্ধ করে দেয়।
তবে যাইহোক এখন সবথেকে আশার কথা হচ্ছে যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দাবি করেছে যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তারা করোনা প্রতিরোধী 100% কার্যকর ভ্যাকসিন বাজারে আনছে। আশা করছি খুব দ্রুতই এ বিশ্ব থেকে করোনা ভাইরাস দূর হবে।
Hacked Twitter account linked to Indian Prime Minister Narendra Modi’s personal website
The grant was sought after a Twitter account linked to Indian Prime Minister Narendra Modi's personal website was hacked. Twitter...