আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।আজকে আপনাদের জানাব এবার অন্যরকম ঈদ কাটার কথা।
বাঙালী সমাজে বড় অংশই মুসলিম।তাই প্রতিবছরের রোজার ঈদ উদযাপনে নতুন মাত্রা যোগ হয় দেশে।এই সময় সবাই ঈদের জামাত পড়তে মসজিদে যায়,বাসায় বাসায় হরেকরকম খাবার যেমন-সেমাই,নুডলস,বিরিয়ানী ইত্যাদি তৈরী হয়,একে অপরকে কোলাকুলি করে,সেলামি দেয়,আত্নীয়-স্বজনদের বাসায় বেড়াতে যাওয়া,ঘুরতে যাওয়া আরো কতভাবে রমজানের ত্রিশটি রোজা শেষে এই ঈদটি মুসলমানরা উদযাপন করে থাকে।অথচ এবার কিছুই হলো না।এর প্রধান কারণ হলো কোভিড-১৯ মহামারী।এই করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বে তার ভয়াল থাবা বসিয়েছে।ফলে দেশে দেশে লাশের স্তূপ পড়ে আছে।এই রোগের অন্যতম কারণ হলো এটি ছোঁয়াচে,মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়।কোন মানুষ এটিতে আক্রান্ত হলে ঐ আক্রান্ত হাঁচি,কাশি,স্পর্শের মাধ্যমে অন্য মানুষের দেহে ছড়াতে পারে এটি।তাই দেশে দেশে চলছে লকডাউন,এর ফলে মানুষ সামাজিক দূরত্বের মাধ্যমে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে।এছাড়া এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক না থাকায় এটি প্রতিরোধই প্রধান উপায় বলা হচ্ছে।আমাদের দেশেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে।ফলে সরকারও এখানে ঘরে থাকতে,হাত ধুতে,সামাজিক দূরত্ব মানতে বলছে।এই মহামারির মধ্য দিয়ে এবারের ঈদটিও অন্যরকম কাটল,যা আগে কখনো হয় নি।মানুষ আগে শত বিপর্যয়েও একসাথে ঈদ উদযাপন করেছে,কিন্তু এবার এই অদৃশ্য ভাইরাসের কারণে সবাই ঘরেই ঈদ কাটাতে বাধ্য হয়েছে।কিছু মানুষ সরকারের বিধিনিষেধ সত্ত্বেও গ্রামে চলে গেলেও শহরের মানুষ ঘরবন্দী ঈদ কাটিয়েছে।মানুষ ঈদ জামাত পড়লেও সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানতে হয়েছে,কোলাকুলিও করতে পারে নি।এছাড়া ঘুরাঘুরি বাদই দিয়েছে মহামারীর কারণে।আমার পরিচিত এক ব্যাংকার তার পরিবারসহ ঘরেই ঈদ কাটিয়েছে।তার কারণ করোনা মহামারী।তাই উনারা নিজেদের মতো ঘরেই ঈদ কাটিয়েছে।কিন্তু যারা ডাক্তার,পুলিশ ইত্যাদি পেশায় রয়েছেন তাদেরকে কর্মস্হলে ঈদ কাটাতে হয়েছে।বিশেষ করে ডাক্তারদের ঘর এখন হাসপাতাল।করোনাভাইরাস মহামারীর যুদ্ধে জয়ী না হয়ে যে তারা বাসায় ফিরতে পারবেন না।এছাড়া অন্যান্য পেশার মানুষরা জীবিকার প্রয়োজনে পরিবার নিয়ে এই মহামারীতে লড়াই করে যাচ্ছেন।সবার একটাই প্রত্যাশা,এই মহামারী শেষে স্বাভাবিক হোক পৃথিবী,সবাই যেন আগের মতো ঈদ উদযাপন করতে পারে।