Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

জাফলং কেমন। বা কী ধরনের জায়গা

বাংলাদেশের আট টি বিভাগ রয়েছে তার মধ্যে সিলেট একটি বিভাগ। আর সিলেটের সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো জাফলং। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক লোক জন যায় এই জাফলং কি ধরনের জায়গা দেখতে। আর আজকে আমি এই গল্পে বলবো জাফলং কি ধরনের জায়গা ওখান কার মানুষ জন কেমন তো শুরু করা যাক আজকের এই গল্প। আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই জানেন জাফলং এর পানি সব সময় ঠান্ডা থাকে। জাফলং জায়গা টি নদী আর এই জায়গার চারে দিকে পাহাড় আর পাহাড় আর এই সব পাহাড়ে চাকমা, মারমা, গারো এসব জাতি দের দেখতে পাওয়া যায় আর এসব মানুষদের সারা বছর এই ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে হয়। কিন্তু আমাদের এলাকায় এক বছরে দুই ধরনের মৌসোম ছয় মাস গরম আর ছয় মাস ঠান্ডা। সিলেটে ও এক বছরে দুই মৌসুম হয়। আপনারা হয়তো ভাবছেন যদি ওখানে ও এক বছরে দুই মৌসুম হয় তাহলে জাফলং এর পানি ঠান্ডা হয় কি ভাবে তাই না। কিন্তু চিন্তা করবেন না আমি এটা বলার জন্যই এই গল্প লিখছি। আসলে জাফলং এর পানি হিমবাহ গলে আসে তাই জাফলং এর পানি সব সময় ঠান্ডা থাকে। তবুও অই মানুষ দের ঠান্ডা পানিতে ডুব পারতে হয় আর আমাদের এখানে ঠান্ডার সময় পানি খুব ঠান্ডা হয় আর এই সময় ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা গোসল করতে চায় না আর গরমের সময় এক বার পানিতে নামলে আর উঠতে চায় না। কিন্তু সিলেটের এই জায়গায় সারা বছর জুড়ে এই ঠান্ডা পানিতে ডুব পারতে হয় ছোট ছোট ছেলে মেয়ে দের কেও। এবার আসা যাক আসল কথায় এই জায়গা টি কেমন আপনাদের মধ্যে যদি কেউ গিয়ে থাকেন তাহলে আপনার কেমন লেগেছে এই জায়গা টি তা আমি জানিনা কিন্তু আমার অনেক ভালো লেগেছে এই জায়গা টি। এখান কার মানুষ জন ও অনেক ভালো। জাফলং থেকে একটু দূরে চা বাগান রয়েছে আর আমি দেখলাম অনেক মহিলা চা পাতা তুলছেন। আমি অনেক গুলো ছবি তোলাম। অনেক ভালো লাগলো এক কথায় এই জায়গা টি অনেক সুন্দর। জীবনে যদি বেঁচে থাকি তাহলে আর এক বার জাবো জাফলং।

বাংলাদেশে অনেক ধরনের জাতি রয়েছে আর তার মধ্যে হিন্দু ধর্ম আর ইসলাম ধর্ম এই জাতি দুটি বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রয়েছে। আর এই জাতি দুটি নিজের ধর্ম মেনে চলে। আর হিন্দু ধর্মের মানুষ রা মনে করে জাফলং ঈশ্বরের সৃষ্টি আর ইসলাম ধর্মের মানুষ রা মনে করে জাফলং আল্লাহর সৃষ্টি। এই জায়গা টি কে সৃষ্টি করেছে তা আমারা জানি না তবে অনুভব করতে পারি যে আমার ধর্ম যেটা আর এই ধর্মের মালিক যে তাকে আমরা মনে করি পৃথিবী সৃষ্টির করে ছেন। আমাদের মাঝে যে সব প্রাকৃতিক কান্ড ঘটে এসব কান্ড এক জনি ঘটায়। শুধু আমাদের ধর্ম ভিন্ন বলে আমরা বুঝতে পারি না। কিন্তু জাফলং এর একটা কথা প্রাচীন কাল থেকে বিশ্বাস করে আসা হচ্ছে জাফলং এর নদীর পাথর বাচ্চা প্রসব করে মানে ছোট ছোট পাথর প্রথম করে। এই কথাটা আমিও আমিও বিশ্বাস করতে পারিনি কিন্তু পরে অনেক মানুষের মুখে শুনতে পেলাম যে এই কথাটা সত্য। আর তাছাড়া এই জায়গায় যখন পাথর বাচ্চা প্রসব করে তখন শুধু কয়েক টি মানুষ ছাড়া কেউ দেখতে পাইনি পাথরের বাচ্চা প্রসব করতে আর যারা দেখেছে তারা অনেক আগেই মারা গেছে। আরো একটি মজার ঘটনা ও নাকি ঘটে এই জায়গায় সেই ঘটনা টি হলো।

এখান কার পাথর নাকি ভেসে থাকতে পারে আর ভেসে থাকা পাথর আর বাচ্চা প্রসব করা পাথর নাকি এক বলে মনে করে অনেকে। একটা কথা হয়তো আপনারা সবাই জানেন জাফলং জায়গা টিতে অনেক পাথর রয়েছে। আর সব পাথর তো আর বাচ্চা প্রসব করতে পারে না শুধু কয়েক টি পাথর বাচ্চা প্রসব করতে পারে আর এই পাথর গুলো ভেসে থাকতে পারে। কারন সব পাথর যদি ভেসে থাকে তাহলে জাহাজের অনেক ক্ষতি হবে আর তাছাড়া ও মাছ বেঁচে থাকতে পারবে না এই কারণে সব পাথর ভেসে থাকতে বা বাচ্চা প্রসব করতে পারে না। তো এই হলো জাফলং এর ঘটনা আশা করি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। আপনাদের ভালো লাগলেই আমি খুশি। তো আজকে এখানে সমাপ্ত আবার ফিরে আসবে আরেক টি গল্প নিয়ে।

Related Posts

7 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No