আসলেই করণা ভাইরাসে আক্রান্ত আইনমন্ত্রী ?

করণা ভাইরাসে আক্রান্ত নন আইনমন্ত্রী:
কেমন আছেন আপনারা আশা করি সকলেই ভাল আছেন। সম্প্রতি করনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সকলের ধারণা করেছিলেন তিনি কোন ভাইরাসে আক্রান্ত কিন্তু অবশেষে জানা গেল তিনি করনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। এবং এই তথ্য জানিয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের পাবলিক রিলেশন্স অফিসার ড. মো. রেজাউল করিম।
এই অফিসার আরো বলেন যে আইনমন্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। এবং তিনি এখন বাসায় আছেন। কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে যা আদৌ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন। এইসব তথ্য কে তিনি গুজব ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য যে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল থেকে আইনমন্ত্রীর খোঁজখবর নেওয়ার জন্য আইনমন্ত্রীকে ফোন দেওয়া হয় এবং সেই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টি আইন মন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যকে অসম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করে যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তিনি এজমার কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে অসম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ হয় যেখানে বলা হয়েছিল যে করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আরে অসম্পূর্ণ তত্ত্বটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে আইনমন্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এই ধরনের গুজব। যাক খুবই দুঃখজনক।
আইনমন্ত্রী ইতিমধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় অবস্থান করছেন এবং তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বলে নিজেই জানিয়েছেন সকলের উদ্দেশ্যে।
উল্লেখ্য যে করোনাসভাইরাস আর পাথর ভাবে শুরু থেকে করোনা ভাইরাস কে নিয়ে অনেক ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে। যার ফলে জন-সাধারণের মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল। গুজব সৃষ্টির দায়ে ইতিমধ্যে অনেক গুজব কারী ব্যক্তিকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে আর গুজব কে নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে এগোচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে করোনাভাইরাস কে নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে কেউ গুজব সৃষ্টি করলে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ গুজব সৃষ্টিকারী পোস্ট করলে তাহলে পোস্ট দাতা সহ যে দেশে পোস্টে লাইক বা কমেন্ট বা শেয়ার বা উভয়ই করেছেন সেই সকল ব্যক্তি কে আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের ভাগ্যে জুটতে পারে জেল বা জরিমানা অথবা উভয়ই। তাই অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইক কমেন্ট শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন এবং সাবধানে এইসব মাধ্যম গুলো ব্যবহার করুন।
আমার এই পোষ্টে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সঠিক তথ্যটি কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন ধন্যবাদ।

Related Posts