প্রতিটি জিনিসের প্রতি সকালের এই কৌতূহল থাকে। আর এই কৌতূহল থেকেই পৃথিবীর সেই ছোট্ট অবস্থা থেকে আজকের এই আধুনিক বিশ্বের শুরু ।স্বাভাবিকভাবেই হয়তো আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে প্রাচীন মানুষেরা মহাকাশ নিয়ে কি ভাবতো ।তাই এসম্পর্কে এখন লিখছি। আকাশের বস্তুগুলোর নিয়মিত ঘুরতে থাকা দেখে মানুষ সময় এবং স্থান এর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শিখেছে। পাথরের যুগের মানুষেরা তাদের কোটার তীরের ডগা,সুচ,এবং ভরসাড় ফলকের আকৃতি তৈরি করতো আকাশের তারাদের বিন্যাস দেখে। আকাশের যা কিছুই ঘটত তাই আমাদের পূর্বসূরিদের কাছে গল্প কাহিনী বলে মনে হতো। তাদের কাছে যেন প্রতিটি ঘটনারই কোনো না কোনো অর্থ ছিল। আকাশের মধ্যে নিহিত ছিল প্রচণ্ড শক্তি ।চাঁদ এর গতিপথ পরিবর্তনের সাথে সাথে স্রোতের অভিমুখ পরিবর্তিত হয়।সূর্য এবং নক্ষত্রের অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে ঋতুর পরিবর্তন ঘটে। এইসব অবস্থা দেখে প্রাচীন মানুষের অভাব তো কেন এরকম হয়।কলম্বিয়ার অধিবাসীরা, প্রাচীন ইন্ডিয়ানরা আকাশকে বর্ণনা করেছিল মস্তিষ্ক হিসেবে।যার দুটি বলয় ঐ আকাশ গঙ্গা ছায়াপথ দ্বারা বিভক্ত। তারা বলে, তাদের মস্তিষ্কের সাথে আকাশের সম্পর্ক রয়েছে। হাজার হাজার নক্ষত্রের পরিপূর্ণ আমাদের আকাশ।এই নক্ষত্র কোনটি অধিকতর উজ্জ্বল। কোনটি গ্রহ গুলোর চাইতে বেশি উজ্জ্বল। যেগুলো বিভিন্ন নক্ষত্রের চারপাশ পরিভ্রমণ করছে। আমাদের ছায়াপথ আকাশ গঙ্গা নামে পরিচিত। এর বিশাল পথটিকে আকাশের দুই প্রান্তের সেতুবন্ধন হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে ।আদিবাসীরা সূর্য এবং আকাশের অন্যান্য বস্তু সমূহকে অস্ত গেলে মনে করত এগুলো মৃত্যুবরণ করেছে। তাছাড়া হাজার হাজার বছর আগে মানুষ যখন গুহায় বসবাস করত অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত আকাশের দিকে ।পৃথিবী আর আকাশ সম্পর্কে আদিম মানুষের ভয়-ভীতি ছিল ।শ্রদ্ধা ছিল ।চারপাশের প্রকৃতিতে ঘটতো না না পরিবর্তন। চাঁদ সূর্যের উদয় ও অস্ত যেত। মাঝে হঠাৎ উল্কাপাত হত । সূর্যগ্রহণ চন্দ্রগ্রহণ হত ।ঋতু পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগতো প্রকৃতিতে।নক্ষত্রখচিত আকাশের দিকে বিষয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতো মানুষ ।জ্ঞানের অভাবে কল্পনার পাখায় ভর করে ভাসতো মানুষ।
বাস্তব জীবনে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বটি দেখতে পারেন এমন 3 টি উপায়
আসসালামু আলায়কুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা তুহু। সকল প্রশংসা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। আশা করি সকলে আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছেন। আমি...