আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই?আশা করি ভালো আছেন।বর্তমান এ বিরাজমান পরিস্থিতিতে প্রায় সকলেরলি কম বেশি সংকটের মধ্যে রয়েছে। যার ফলে প্রায় অনেকের মানুসিক স্বাস্থ্যের বিপর্যয় ঘটছে কিংবা ঘটে চলেছে।গবেষণায় দেখা গেছে এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্যরা নানা ধরণের মানুসিক অশান্তির শিকার হচ্ছে। তাহলে চলুন জেনে আসি ডিপ্রেশন নিয়ে স্ট্যাটাস, কিভাবে এর প্রতিকার পাওয়া যাবে? কিভাবে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করা যাবার ।
মানুসিক অবসাদগ্রস্থতা কিংবা মানুসিক বিপর্যয় কে সহজ ভাষায় ডিপ্রেশন বলে থাকে।ডিপ্রেশন এমন একটি সমস্যা যার সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে আপনার ব্যক্তিগত জীবনের উপর। চলুন জেনে আসি একজন ডিপ্রেশন এ আক্রান্ত ব্যক্তির কি কি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়ঃ
১.একজন ডিপ্রেশন এ আক্রান্ত ব্যক্তি ব্যক্তিগত জীবনের কোন ধরণের আনন্দ গ্রহণ করতে পাবেনা।
২.সর্বদাই তার মাঝে হতাশা কিংবা না পাওয়ার বেদনা কাজ করে।
৩.তার শারিরীক ওজন হ্রাস পায়।৩.আগের পছন্দের কাজগুলো এখন অপছন্দের কাজে পরিণত হওয়া।
৪.কোন কাজে পুরোপুরি মনোযোগ খুঁজে না পাওয়া।
৫.আস্তে আস্তে তার প্রিয় মানুষদের থেকে দূরে সরে গিয়ে নিজেকে সকলের থেকে আলাদা করে রাখা।
৬.খুবই কম ঘুম হওয়া।
৭.হঠাৎ হঠাৎ কারণে অকারণে মেজাজ খুব বিগড়ে যাওয়া ইত্যাদি। এমন আরও নানা ধরণের লক্ষণ ডিপ্রেশন আক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে পরিলক্ষিত হয়।
আপনার খুব পছন্দের একটা খেলনা যখন আপনি হারিয়ে ফেলেন তখন সেই খেলনাটির জন্য আপনি প্রথমে মন খারাপ করেন।আস্তে আস্তে সেই খেলনাটির কথা আপনি ভুলে যান। কিন্তু আসতে আসতে মানুষ যখন বড় হয় আসে পাশের পরিবর্তনগুলো যখন খুব কাছে থেকে লক্ষ্য করে তখন তার মাঝে নানান ধরণের প্রভাব পড়ে।আসতে আসতে সেই প্রভাব একসময় তাকে ডিপ্রেশন এর দিকে নিয়ে যায়।
আমাদের সমাজ ডিপ্রেশনকে সমস্যা মনেই করে না। এর ফলে প্রায় প্রতি বছর দেশের অনেক ডিপ্রেশন এ আক্রান্ত ব্যক্তি আত্নহত্যার মত পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়। কেউ বুঝে না একটা মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে মানুসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ডিপ্রেশন একটি রোগ। এখন তাই সময় হয়েছে এই রোগ নিয়ে কথা বলা, এই রোগে আক্রান্ত মানুষকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাধে কাধ মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া।আমরা একটু চেষ্টা করলে এই সমস্যার সমাধান করতে পারি খুব সহজে। আপনি যদি একজন ডিপ্রেশন এ আক্রান্ত ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আজই একজন মনোবিদ এর সাথে যোগাযোগ করুন। সেই সাথে অবশ্যই কিচু নিয়ম মেনে চলতে হবেঃ
১.পরিবারের সাথে সময় অতিবাহিত করুন। কারণ আপনি আপনার সুখ, দুঃখ, হাসি কান্না পরিবারকে তুলে ধরুন।
২.নিয়মিত ব্যায়াম চর্চা এর অভ্যেস গড়ে তুলুন। নিয়মিত ব্যায়ামচর্চা করলে শারিরীক পরিশ্রম যেমন হয় সেই সাথে মনের কষ্ট দূর করতেও ভালো ভূমিকা পালন করে।
৩.নিজেকে সবসময় ব্যস্ত রাখবেন।ফলে দৈনন্দিন বিষাদ থেকে দূরে থাকবেন।
৪.নিজের ভালো লাগার কাজগুলো করবেন। সেইসাথে দৈনন্দিন কাজগুলোও করবেন।
৫.ভালো এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করবেন।যেই জিনিস আপনাকে বেশি কষ্ট দেয় সেই সকল জিনিস থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন।
৬.নিজের মাঝে নতুন নতুন অভ্যেস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।সেই সাথে নিজেকে কাজের মাঝে এবং সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ এ থাকার চেষ্টা করুন।
৭.নিজের দিকে খেয়াল রাখুন এবং ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন