ছাড়পত্র পাওয়া মাত্রই ব্যাপকভাবে উৎপাদন শুরু হবে চীনের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন। এ বার চিনা সংস্থা দাবি করল, ছাড়পত্র হাতে এলেই গণহারে ভ্যাকসিনের উত্পাদন শুরু হয়ে যাবে।
ডিসেম্বরে শুরু হওয়া কোভিড-১৯ ক্রমান্বয়ে মহামারি আকারে বাড়তে থাকে।ইতিমধ্যে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ছড়িয়ে পরেছে এর আক্রমন। প্রতিটি দেশেই তান্ডব চালাচ্ছে কোভিড -১৯ সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাস।
যার কারণে পৃথিবী মরিয়া হয়ে উঠেছে এর প্রতিষেধক তৈরিতে।
বিশ্বজুড়ে ৮০টি গবেষণাগারে ভয়ঙ্কর এই করোনার ভ্যাকসিন তৈরির গবেষনা চলছে। তবে চিনা সংস্থা সিনোভাক এর দাবি করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে।
এখন ছাড়পত্রের অপেক্ষায় তাদের এই ভ্যাকসিনটি। ছাড়পত্র পাওয়া মাত্রই ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন উত্পাদনে যাবে সংস্থাটি।সিনোভাকের আরও দাবি, তাদের গবেষণাগারে প্রস্তুত ভ্যাকসিনই করোনা নির্মূলের জন্য সবচেয়ে কার্যকর হবে। সিনোভাকের দাবি, বাঁদরের শরীরে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে এই ভ্যাকসিনের। তারা বাঁদরের পর মানব শরীরেও পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে।তবে, গণহারে উৎপাদন শুরুর জন্য তাদেরকে পেরোতে হবে তিনটি ধাপ। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলোর প্রথম দু’টি পর্যায় শেষ হয়েছে।
চীন ইতিমধ্যে সিনোভ্যাক সহ চারটি সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে। জানা গেছে সিনোভ্যাক ১৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবীর উপর ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালিয়েছে।সেচ্ছাসেবীরা চিনের পূর্ব জিয়াংসু প্রদেশের অধিবাসী। তবে সিনোভাক তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ, তৃতীয় ধাপ সম্পন্ন করতে তাদের কয়েক হাজার সেচ্ছাসেবীর প্রয়োজন হবে। কিন্তু ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য চীনে ভাইরাস সংক্রমিত পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক তারা পাচ্ছে না। সিনোভ্যাকের তথ্যমতে সেচ্ছাসেবী সংগ্রহের জন্য বর্তমানে তারা ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে কথা বলছে। তৃতীয় ধাপে সফল হলেই তারা বানিজ্যিকভাবে টিকা উৎপাদন শুরু করবে।
অন্যদিকে সারা গিলভার্টের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ও আবিষ্কার করেছে ভ্যাকসিন।এটিও এখন মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে।
এর আবিষ্কারক সারা গিলভার্ট এর সফলতা নিয়ে আশাবাদী।
এর আগেও তিনি সফল হয়েছিলেন ভ্যাকসিন তৈরিতে।
তাই এবারও তার উপরই আস্থা রাখছেন অনেকে।