হ্যালো ফ্রেন্ডস! সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালই আছেন। গতবার একটি মজার কৌতুক দিয়েছিলাম। তো মোটামুটি ভালই সাড়া পেয়েছি। তাই অনেক আশায় বুক বেঁধে এবার আরোও কয়েকটি মজার কৌতুক নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে। আশা করি ভাল লাগবে।
তো চলুন হাসতে শুরু করি! আরে না না, এখনই না, আগেতো কৌতুক পড়া শুরু করুন!!
গণিত কথনঃ
গণিতে দুর্বল দু’জন চাকুরি প্রার্থী ইন্টার্ভিউ দেওয়ার জন্য ইন্টারভিউ রুমের বাইরে বসে রয়েছেন।
প্রথম জনের ডাক পড়লে তিনি ভেতরে ঢুকলেন।
অফিসারঃ মনে করুন, আপনি ট্রেনে যাত্রা করছেন। যাত্রাকালে আপনার অত্যধিক গরম লাগছে। আপনি কী করবেন?
চাকুরি প্রার্থীঃ ট্রেনের জানালা খুলে দেবো।
অফিসারঃ বাহ, খুব ভালো।
ঃ এখন বলুন –
“জানালার ক্ষেত্রফল ১.৫ বর্গ মিটার, ট্রেনের কামরার ঘনফল ১৩ ঘনমিটার, পশ্চিমদিকে ট্রেনের গতিবেগ ৮০কিমি/ঘন্টা এবং হাওয়ার গতিবেগ দক্ষিণ দিকে ৫মাইল/সেকেন্ড হলে ট্রেনের কামরা ঠাণ্ডা হতে কত সময় লাগবে?”
চাকুরি প্রার্থী কোন উত্তর দিতে পারলেন না। বেরিয়ে এসে দ্বিতীয় চাকুরি প্রার্থীকে প্রশ্নের বিষয়ে জানালেন।
এবার দ্বিতীয় জন ভিতরে ঢুকলেন।
অফিসারঃ মনে করুন, আপনি ট্রেনে যাত্রা করছেন। যাত্রাকালে আপনার অত্যধিক গরম লাগছে। আপনি কী করবেন?
দ্বিতীয় চাকুরি প্রার্থীঃ কোট খুলে ফেলবো।
অফিসারঃ তারপরেও গরম লাগলে কী করবেন?
দ্বিতীয় চাকুরি প্রার্থীঃ জামা খুলে ফেলবো।
অফিসারঃ তারপরেও গরম লাগলে?
দ্বিতীয় চাকুরি প্রার্থীঃ প্যান্ট খুলে ফেলবো।
অফিসার (বিরক্ত হয়ে)ঃ তারপরেও গরম লাগলে?
দ্বিতীয় চাকুরি প্রার্থীঃ জাঙ্গিয়া খুলে ফেলবো।
অফিসার (প্রচণ্ড রেগে গিয়ে)ঃ তারপরেও যদি গরম লাগে?
দ্বিতীয় চাকুরি প্রার্থীঃ স্যার, আমি গরমে মরে যাবো, কিন্তু ট্রেনের জানালা খুলবো না ……
২য় জোকস…………………………
বাবা বল্টুকে ইংরেজি শিখাচ্ছে। .
বাবা: মাই হেড মানে আমার মাথা।
বল্টু : মাই হেড মানে বাবার মাথা।
পাশ থেকে ভাইয়া বললো- দূর বোকা, ‘মাই হেড মানে আমার মাথা।’
বল্টু : মাই হেড মানে ভাইয়ার মাথা।
বল্টুর বড় বোন্ উল বুনতে বুনতে তা শুনে বললো।
ঃ এই বল্টু, মাই হেড মানে ভাইয়ার মাথা না। আমার মাথা, আমার মাথা।
বল্টু : ও বুঝছি। মাই হেড মানে আপার মাথা।
মা রান্নাঘর থেকে শুনতে পেয়ে চেঁচিয়ে বলল-
ঃ কি যা তা বলছিস! মাই হেড মানে আমার মাথা। পড় তাড়াতাড়ি।
বল্টু বিরক্ত হয়ে বলল
ঃ ও বুঝছি, ‘মাই হেড মানে চোদ্দ গুষ্টির মাথা!’
তৃতীয় জোকস (এটি লেটেষ্ট একটি কৌতুক)
এক ঘাড়ত্যাড়া এক লোক গেছে করোনা টেস্ট করাতে।
ডাক্তার বললেন
ঃ ৩৫০০/- টাকা লাগবে।
ঃ এত টাকা কেন? আমি তো জানি এটা ফ্রীতে করা হয়।
ঃ আপনি বোধ হয় সরকারি আদেশ শুনেন নাই। এখন থেকে প্রাইভেটে করোনা টেস্ট করাতে ৩৫০০/= থেকে ৩০০০০/= পর্যন্ত নেয়া হবে। সেই হিসাবে আমরা তো সর্বনিন্মটাই নিচ্ছি।
এটা শুনে ভদ্রলোক ডাক্তারের মুখের ওপর হাচিঁ দিয়ে দৌড়ে পালালো।
ভয় পেয়ে ডাক্তার নিজের করোনা টেস্ট করে নিলেন।
দুদিন পর ঐ লোক চেম্বারে ফোন করে জানতে চাইলো ডাক্তার কি কোয়ারেন্টাইনে নাকি ছুটিতে গেছেন?
ডাক্তারের এসিস্ট্যান্ট জানালো ডাক্তার কোয়ারেন্টাইনে যাননি, চেম্বারেই আছেন, সুস্হ আছেন।
ভদ্রলোক নিশ্চিন্ত হলো “যাক বাবা ডাক্তার নেগেটিভ মানে আমিও নেগেটিভ।
আগের পোষ্টটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন –
ধন্যবাদ সবাইকে। সবাই ভাল থাকবেন, আল্লাহ্ হাফিজ।