ফাইল ফটো
চীনের তৈরি ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পরিক্ষার অনুমতির সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে জানানো হবে । স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা ভাইরাসের আক্রমনে নাজেহাল বিশ্ব । এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনা ভাইরা –এর টিকা আবিস্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । রায়য়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিস্কারের স্থান অধিকার করেছে ইতিমধ্যে । আর সেই টিকা মানব শরিলে পরিক্ষার কাজ শুরু করেদিয়েছে দেশটি । আর সেই ভ্যাকসিন খোদ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মেয়ের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে ।
চীন তাদের তৈরি করনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে মানব শরীলে পরিক্ষার অনুমতি চেয়েছে । চীনেরর তৈরি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে মানব শরীলে পরিক্ষা করতে দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, জাহিদ মালেক । বুধবার বিকেলে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার এক অনলাইন বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ।
তিনি আরো জানান, বিশ্বের অনান্য আরো দেশ ও কোম্পানিগুলো তাদের উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) সরবরাহ করার জন্য বিভিন্ন দেশেরগুলোর সাথে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন । এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নাও আছে । তিনি আরো বলেন এসব ভ্যাকসিন যে দেশ বা কোম্পানিগুলো সরবরাহ করার জন্য চুক্তি করছেন তারা যাদের কাছ থেকে আগে টাকা এডভান্স পেয়েছেন তাদেরকেই আগে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবেন কোম্পানিগুলো বলে যানা গেছে ।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও এসব কোম্পানিগুলোর সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে । এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী । তিনি বলেন, যেসব কোম্পানিগুলো চুক্তি করছে তাদের এডভান্সের ব্যাপার ও তাদের সর্ত এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে প্রধানমন্ত্রীর সাথে । পরে প্রধানমন্ত্রীর সিধান্ত অন্যযায়ী কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে । আর বাংলাদেশে মানব শরীলে করোনা ভ্যাকসিনের পরিক্ষা চীনকে করতে দেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারেও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটি প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনা করে আগামী সপ্তাহে সিধান্ত নিবে ।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে কমিটির মিটিং-এ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে
মন্ত্রী বলেন, ‘মিটিংয়ে এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে চীন বাংলাদেশে কত মানুষের ওপর পরীক্ষা করবে, এ ক্ষেত্রে চীন আমাদের কত টাকা দেবে, পরীক্ষা হলে চীন কী শর্তে ভ্যাকসিন দেবে—সেসব নিয়ে সিদ্ধান্তের পর চীনকে পরীক্ষা করতে দেওয়া হবে।’
গত ৪ আগস্ট সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত এক সভা শেষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান জানিয়েছিলেন, চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির ভ্যাকসিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানি তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের বাংলাদেশে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য আইসিডিডিআর, বির মাধ্যমে আবেদন করেছে। আবেদনটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এ বিষয়ে আজ আইসিডিডিআর,বির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে আমরা জরুরি বৈঠক করেছি।’
স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি দেশের কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড সাতটি হাসপাতালের ৪ হাজার ২০০ স্বাস্থ্য কর্মীর মাঝে এ পরীক্ষা সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে।