বন্ধুরা শুভ সকাল। তোমাদের সাথে আমি আলোচনা করব কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে। বিষয়টি হলো, পুষ্টির অভাবে আমাদের শরীরে যেসব রোগ-ব্যাধি হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা।
পুষ্টির অভাবে আমাদের শরীরে অনেক রকম রোগ হতে পারে। তার মধ্যে কিছু অন্যতম রোগের কথা তোমাদেরকে শেয়ার করব। যেমন-১/গয়টার-প্রচলিত অর্থে গলগন্ড বলতে থাইরয়েড গ্রন্থির যেকোনো ফোলাকে বোঝায়। টিউমার, ক্যান্সার, প্রদাহসহ নানা কারণে থাইরয়েড ফুলে যেতে পারে, সেগুলো গয়টার নয়। নানা কারণে গয়টার হতে পারে। খাবারে আয়োডিনের অভাবে গয়টার তথা গলগন্ড হতে পারে।
২/রাতকানা-ভিটামিন ‘এ’ অভাবে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেরোফথ্যালমিয়া নামক রোগ হয়। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রক্তের মাত্রা ও তীব্র তা বাড়তে থাকে। সাধারণত দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এ রোগ। রোগটা বেড়ে গেলে কর্নিয়া ঘোলাটে হয়ে যায়। এই রোগ প্রতিরোধের জন্য ভিটামিন’এ’সমৃদ্ধ খাদ্য, যেমন -কলিজা, সবুজ শাকসবজি, রঙিন ফল, এবং মলা-ঢ্যালা মাছ খাওয়া উচিত।
৩/রিকেটস-এটি কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ নয়, ভিটামিন’ডি’এর অভাবে এ রোগ হয়। অন্তে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ, দাঁত ও হাড় গঠন প্রভৃতি শারীরবৃত্তীয় কাজে এই ভিটামিন প্রয়োজন। দুধ, মাখন, ডিম, হাঙ্গরের তেলে প্রচুর ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে মানুষের ত্বকে থাকা কোলেস্ট্রল থেকেও এটি তৈরি হয়, তবে সে ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি তৈরির শেষ ধাপটি সংঘটিত হয় কিডনিতে।
৪/রক্তশূন্যতা-আমাদের দেশে শিশু ও নারীদের ক্ষেত্রে রক্তশূন্যতা একটি সাধারন রোগ। রক্তশূন্যতা হচ্ছে দেহের এমন একটি অবস্থা, যখন বয়স এবং লিঙ্গ ভেদে রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘনত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। খাদ্যের মুখ্য উপাদান লৌহ, ফলিক এসিড, ভিটামিন বি-12ইত্যাদির অভাবে এ রোগ দেখা যায়। লৌহের ঘাটতি জনিত রক্তস্বল্পতা বা রক্তশূন্যতা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে।
এই রোগ প্রতিরোধের জন্য লৌহ সমৃদ্ধ খাবার, যেমন-যকৃত, মাংস, ডিম, চিনাবাদাম, শাকসবজি, বরবটি, মসুর ডাল, খেজুরের গুড় এসব খেতে হবে।
বন্ধুরা আজ আর লিখব না। যদি তোমাদের ভালো লেগে থাকে আমার লেখা, তাহলে অবশ্যই পাশে থাকবে। ধন্যবাদ।